দেশের প্রথম মোবাইল ফোন অপারেটর হিসেবে সব নেটওয়ার্ক সাইটে ৪.৫জি প্রযুক্তি স্থাপন করলো রবি। এর ফলে গ্রাহকদের আরো উন্নতমানের ইন্টারনেট সেবা দিতে পারবে বলে দাবি করেছে মোবাইল অপারেটরটি। প্রতিষ্ঠানটি এক বিজ্ঞপ্তিতে জানায়, রবির ১৩ হাজার ৪০০ নেটওয়ার্ক সাইটই এখন ৪.৫জি প্রযুক্তিসম্পন্ন। স্পেকট্রামের উদ্ভাবনী ব্যবহারের মাধ্যমে দেশজুড়ে সবচেয়ে বিস্তৃত ৪.৫জি কভারেজ দিচ্ছে রবি।
এ বছরের ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত পাওয়া তথ্য অনুযায়ী, রবির ৭০ শতাংশ সক্রিয় গ্রাহক ডাটা সেবা নিচ্ছে। রবির নেটওয়ার্কে ৪.৫জি সেবা উপযোগী হ্যান্ডসেট রয়েছে ৫০ দশমিক ৬ শতাংশ এবং এই গ্রাহকরা প্রতি মাসে প্রায় ৬ জিবি ৪.৫জি ডাটা ব্যবহার করছেন।
২০১৯ সালের তুলনায় ২০২০ সালে রবির ৪.৫জি গ্রাহক সংখ্যা এবং ডাটা ব্যাবহারের পরিমাণ যথাক্রমে ৭৩ ও ১৪৩ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে। ডাটা ব্যবহারের পরিমাণ ক্রমশ বাড়লেও ২০১৯ সালের তুলনায় ২০২০ সালে রবির ডাটার মূল্য ২৫ শতাংশ কমেছে।
এ পদক্ষেপকে একটি মাইলফলকে অর্জন হিসেবে উল্লেখ করে রবির ম্যানেজিং ডিরেক্টর ও সিইও মাহতাব উদ্দিন আহমেদ বলেন, এই অর্জন অগ্রসর ৪.৫জি প্রযুক্তির মাধ্যমে গ্রাহকদের জীবনে নতুন নতুন অভিজ্ঞতা দেয়া আমাদের প্রতিশ্রুতিরই প্রতিফলন। আমি আনন্দের সাথে ঘোষণা করছি, বছরজুড়ে আরও ২ হাজার ৫০০ এর বেশি সাইট স্থাপন করবে রবি। আমরা এখন সর্বস্তরের মানুষের কাছে উদ্ভাবনী ডিজিটাল জীবনধারা পৌঁছে দিতে সম্পূর্ণরূপে প্রস্তুত।
বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, দেশের সবচেয়ে বিস্তৃত ৪.৫জি নেটওয়ার্ক গড়ে তুলতে প্রযুক্তি নিরপেক্ষতার সুফল নিয়ে বিদ্যমান সকল স্পেকট্রাম ব্যান্ডে ৯০০ মেগাহার্জ, ১৮০০ মেগাহার্জ এবং ২১০০ মেগাহার্জ ৪.৫জি প্রযুক্তির সুবিধা কাজে লাগিয়েছে রবি। দেশের মোবাইল টেলিযোগাযোগ শিল্পের সবচেয়ে বড় স্পেকট্রাম শেয়ারিং নেটওয়ার্ক পরিচালনা করে অপারেটরটি। ফলে স্পেকট্রামের ওপর বাড়তি চাপ পড়লেও দ্রুত গতির ইন্টারনেট এবং উন্নত মানের ভয়েস সেবা উপভোগ করতে পারেন গ্রাহকরা।
নেটওয়ার্ক ডাটা ট্র্যাফিক প্রোফাইল অনুসারে, অভ্যন্তরীণ স্থানে মানসম্মত ডাটা ব্যবহার নিশ্চিত করতে প্রয়োজন কম ব্র্যান্ডের স্পেকট্রাম। তাই ৯০০ মেগাহার্জ ব্যান্ডে অত্যাধুনিক এল৯০০ প্রযুক্তি স্থাপন করে অভ্যন্তরীণ ক্ষেত্রে ডাটা পপুলেশন কভারেজ ২০ শতাংশ বৃদ্ধি করেছে রবি। এরফলে ১৮০০ ও ২১০০ মেগাহার্জ ব্যান্ডের ৪.৫জি সেবার মানও আশানুরূপ হয়েছে।