তদবির বেড়ে গেছে। অনেকেই স্কুল কলেজে টাকা দিয়ে ঢোকার জন্য তদবির শুরু করছেনে। নিয়োগের গণবিজ্ঞপ্তি প্রকাশের পর থেকেই প্রভাবশালী ব্যক্তিদের পদচারণায় মুখরিত এনটিআরসিএ কার্যালয়। ১৫তম শিক্ষক নিবন্ধনের আবেদন, ১৪ তম নিবন্ধিতদের সনদ বিতরণ ও নিয়োগের আবেদন নিষ্পত্তিতে ব্যস্ত সময় পার করছেন এনটিআরসিএ কর্মকর্তারা। এ ধরণের তদবীর এড়াতে রোববার (৬ জানুয়ারি) নিয়োগ প্রার্থীদের প্রতি অনুরোধ শিরোনামে একটি বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেছে বসেরকারি শিক্ষক নিবন্ধন ও প্রত্যয়ন কর্তৃপক্ষ।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, নিয়োগ প্রত্যাশীরা আবেদনের শেষদিন থেকেই বিভিন্ন্ প্রভাবশালী ব্যক্তিদের মাধ্যমে এনটিআরসিএ চেয়ারম্যানকে প্রভাভিত করার চেষ্টা করছেন। বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, নিয়োগের সুপারিশ প্রণয়নের কার্যক্রমটি সম্পূর্ণ স্বচ্ছ এবং মনুষ্য প্রভাবমুক্ত কম্পিউটার চালিত সয়ংক্রিয় প্রক্রিয়া। যেখানে মানুষ চাইলেও কোন প্রভাব বিস্তার করতে পারবেন না। মেধা তালিকা ক্রমে নিয়োগের সুপারিশ করা হবে এবং তা প্রার্থীরা নিজে দেখতে পারবেন। তাই এখানে অনিয়মের কোন সুযোগ নেই। তাই অহেতুক তদবীর করা থেকে বিরত থাকুন।
বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, নিয়োগে সামান্যতম অনিয়মের সুযোগ নেই। কেবল যোগ্যতমদের নিয়োগের সুপারিশ পাবেন আমরা তার প্রতিশ্রুতি দিচ্ছি। তদবীর নিয়োগের কাজকে বিলম্বিত করবে কিন্তু প্রভাবিত কিরতে পারবেন না। তাই ফলাফর দ্রুততম সময়ে প্রকাশের নিমিত্তে এনটিআরসিএকে সহযোগিতা করার আহ্বান জানিয়েছে এনটিআরসিএ।
বেসরকারি শিক্ষক নিবন্ধন ও প্রত্যয়ন কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান এস এম আশফাক হুসেন বলেছেন, বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ৪০ হাজার শূন্যপদে শুধুমাত্র মেধা তলিকার ক্রমানুসারে নিয়োগের সুপারিশ প্রক্রিয়া সম্পন্ন করা হবে। আধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহার করে কম্পিউটারের মাধ্যমে আবেদনগুলো যাচাই বাছাই করা হচ্ছে। এক্ষেত্রে প্রার্থীদের অন্যান্য কোন যোগ্যতা যাচাইয়ের সুযোগ নেই। আমরা একটি বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে বিষয়টি সকলের সামনে আরো স্বচ্ছ করবো। তিনি আরও বলেন, নিয়োগে সামান্যতম অনিয়মের সুযোগ নেই। কেবল যোগ্যতমদের নিয়োগের সুপারিশ করতে আমরা প্রতিজ্ঞাবদ্ধ।
এস এম আশফাক হুসেন বলেন, পূর্বে নিয়োগ সুপারিশের ক্ষেত্রে উপজেলা কোটা বিবেচনা করা হতো। হাইকোর্টের নির্দেশে তা বাতিল করা হয়েছে। হাইকোর্টের নির্দেশেই একটি জাতীয় মেধা তালিকা করেছে এনটিআরসিএ। জাতীয় মেধা তালিকার ক্রমানুসারেই নিয়োগের সুপারিশ করা হবে। সে হিসেবেই আবেদনগুলো আমরা নিষ্পত্তি করবো।
এনটিআরসিএ চেয়ারম্যান আরও বলেন, বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ৪০ হাজার পদে নিয়োগের জন্য তদবীরের জন্য অনেকেই ফোন করছে। কিন্তু তদবীরের প্রেক্ষিতে সুপারিশের কোন সুযোগ নেই। আপনাদের সাহায্য করতেই আমরা কাজ করছি। আমাদের কাজ করার সুযোগ দিন।
previous post