লোকাল ব্রডব্যান্ড নেটওয়ার্ক ওনার্স সোসাইটি (এলবিএনওএস) আয়োজিত ‘টিপি-লিংক ওয়ার্কশপ অন এফটিটিএক্স অ্যান্ড ওয়্যারলেস ব্রডব্যান্ড’ শীর্ষক এক কর্মশালা বৃহস্পতিবার ৪ অক্টোবর রাজধানীর ফার্মগেট কৃষিবিদ ইনস্টিটিউটের থ্রিডি হলে অনুষ্ঠিত হয়।
দিনব্যাপী এই কর্মশালায় ৮টি সেশনের পাশাপাশি ছিল নানা ধরনের কার্যক্রম। সারাদেশের প্রায় ২০০ ইন্টারনেট প্রদানকারী কোম্পানির প্রতিনিধিদের উপস্থিতে কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়। এফটিটিএক্স টেকনোলজি, ওয়্যারলেস ব্রডব্যান্ড, অ্যাজাইল কনফিগার্ড ও আইএসপিবান্ধব রাউটার, সুইচ ইত্যাদিসহ প্রযুক্তিবিষয়ক নানা সেশনে উপস্থিতিদের ধারনা দেয়া হয়।
কর্মশালায় লোকাল ব্রডব্র্যান্ড নেটওয়ার্ক ওনার্স সোসাইটির সভাপতি ফুয়াদ মুহাম্মদ শরফুদ্দিন বলেন, ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ার ক্ষেত্রে প্রধান যে উপকরণ সেই ব্রডব্যান্ড সংযোগ মানুষের ঘরে ঘরে পৌঁছে দেয়ার ক্ষেত্রে আমরা লোকাল ব্রডব্যান্ড নেটওয়ার্ক অপারেটর বা মালিকরাই সবচেয়ে বড় হাতিয়ার হিসেবে কাজ করছি। একবিংশ শতকের শুরুতে আমরা আমাদের আত্মকর্ম সংস্থান সৃষ্টির মাধ্যমে শিক্ষিত ও ভদ্রলোকের পেশা হিসেবে ঢাকাসহ বাংলাদেশের অন্যান্য এলাকায় ব্রডব্যান্ড সেবা প্রদানের কার্যক্রম শুরু করি।
লোকাল ব্রডব্র্যান্ড নেটওয়ার্ক ওনার্স সোসাইটির সাধারন সম্পাদক মোহাম্মদ আলমগীর হোসেন বলেন, ব্রডব্যান্ড সেবাখাতে দেশকে এগিয়ে নেয়ার উদ্দেশ্যে লোকাল ব্রডব্যান্ড নেটওয়ার্ক ওনার্স সোসাইটি দিনব্যাপী ‘ওয়ার্কশপ অন এফটিটিএক্স অ্যান্ড ওয়্যারলেস ব্রডব্যান্ড ২০১৮’ শীর্ষক কর্মশালার আয়োজন হয়েছে। বর্ধিত বিনিয়োগ ও মানবসম্পদ উন্নয়নের ওপর দেশের দ্রুত অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি অর্জন নির্ভর করে। ডিজিটাল বাংলাদেশ বাস্তবায়নে গুরুত্বপূর্ণ একটি অনুসঙ্গ হলো ব্রডব্যান্ড সেবা। এ খাতের উন্নয়ন, সেবার মান বৃদ্ধি ও দক্ষ্য জনশক্তি সৃষ্টির লক্ষ্যে আমাদের এই কর্মশালা বিশেষ অবদান রাখবে।
কর্মশালায় আরো উপস্থিত ছিলেন সংগঠনের সিনিয়র সহ-সভাপতি হুমাউন উর রশিদ সুমন, সহ-সভাপতি রুহুল আমিন খান, যুগ্ম সাধারন সম্পাদক রাইসুল ইসলাম, আনিসুর রাহমান, কোষাধ্যক্ষ মশিউর রহমান অনু, সাংগঠনিক সম্পাদক আশিকুর রহমান, সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক জামাল হোসেন, তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি সম্পাদক মারুফ আল মঈন উদ্দীনসহ অনেকে।
এক্সেল টেকনোলজিস লিমিটেড ছিল কর্মশালার টাইটেল স্পন্সর। এ ছাড়া গোল্ড স্পন্সর হিসেবে ছিল প্রোভিডেন্ট টেকনোলজি, ইন্টেগ্রা টেকনোলজিস, স্কাইভিউ, সাদিয়া এন্টারপ্রাইজ এবং সিলভার স্পন্সর ছিল অ্যারা টেকনোলজিস, রাসা টেকনোলজিস, সাউথ বাংলা কম্পিউটার্স।