সম্প্রতি এশিয়ান ফুটবল কনফেডারেশনের সাথে যুক্ত হয়েছে ইনোভেটিভ স্মার্টফোন ব্র্যান্ড টেকনো। এখন থেকে টেকনো এই সংস্থার অফিসিয়াল গ্লোবাল সাপোর্টার হিসেবে কাজ করবে। এর অংশ হিসেবে টেকনো আনুষ্ঠানিকভাবে এএফসি চ্যাম্পিয়ন্স লীগ এলিট™, এএফসি চ্যাম্পিয়ন্স লীগ টু™, এবং এএফসি নারী চ্যাম্পিয়ন্স লীগ™ ২০২৪-২০২৫ মৌসুম আয়োজনে সহায়তা করবে।
এই পার্টনারশিপ মাধ্যমে টেকনো, বাংলাদেশ সহ এশিয়ার অন্যান্য দেশের তরুণ ব্যবহারকারীদের সাথে আরও অর্থবহ সংযোগ স্থাপনের লক্ষ্যে প্রচেষ্টা চালিয়ে যাবে। বাংলাদেশের তরুণরা ফুটবল ভালোবাসে। অন্যদিকে, টেকনো ফুটবলের জন্য এই ভালোবাসার প্রতি শ্রদ্ধাশীল। এই নতুন অংশীদারিত্ব বাংলাদেশের প্রতিটি ফুটবল ভক্তের সাথে একটি সৌহার্দ্যপূর্ণ সম্পর্ক গড়ে তুলতে সহায়ক ভূমিকা রাখবে বলে আশাবাদী টেকনো। মালয়েশিয়ার কুয়ালালামপুরে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে এএফসি এবং টেকনো’র প্রতিনিধিদের উপস্থিতিতে এই চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়।
টেকনো’র চিফ মার্কেটিং অফিসার লরি বাই বলেন, “এই পার্টনারশিপ টেকনো এবং এএফসি’র একই ধরনের মূল্যবোধের প্রতিফলন। এটি শুধুমাত্র একটি স্পনসরশিপ নয়; বরং এই মাইলফলক আমাদের ‘স্টপ অ্যাট নাথিং’ ব্র্যান্ড স্পিরিট তরুণদের মাঝে ছড়িয়ে দিতে এবং তাদেরকে অনুপ্রাণিত করতে ভূমিকা রাখবে। উভয় প্রতিষ্ঠান এই পার্টনারশিপের মাধ্যমে নতুন এক যাত্রা শুরু করতে যাচ্ছে, যার মাধ্যমে এশিয়া অঞ্চলের সকল ফুটবল ভক্তদের অভিজ্ঞতায় নতুন মাত্রা যোগ করা সম্ভব হবে বলে আমি মনে করি।”
“আমরা বিশ্বাস করি, ফুটবল সবাইকে এক সূতাই বেঁধে রেখে অগ্রগতি নিশ্চিত করার ক্ষমতা রাখে। এই পার্টনারশিপের মাধ্যমে আমরা এশিয়া অঞ্চলের সকল ফুটবল ভক্তদের অভিজ্ঞতাকে আরও উপভোগ্য করতে পারবো এবং তাদের ক্ষমতায়নে কাজ করবো। এছাড়া, এখন থেকে ফ্যানরা উন্নত প্রযুক্তির সাহায্যে এশিয়ান ফুটবল কনফেডারেশনের ম্যাচগুলো নিরবচ্ছিন্নভাবে উপভোগ করতে পারবে। ফুটবলের প্রতি এই ভালোবাসার জায়গা থেকে টেকনো এবং ফুটবল অনুরাগীদের মধ্যে একটি অটুট বন্ধন তৈরি হবে বলে আমি প্রত্যাশা করি।”
এএফসি’র সাধারণ সম্পাদক দাতুক সেরি উইন্ডসর জন বলেন, “এএফসি উদ্ভাবন এবং রূপান্তরের মাধ্যমে একটি নতুন যুগের সূচনা করতে যাচ্ছে। আমরা ক্লাব ফুটবল প্রতিযোগিতার কাঠামো পুনর্গঠন করার উদ্যোগ গ্রহণ করেছি। এই অভিযাত্রায় টেকনো’র মতো একটি ইনোভেটিভ প্রযুক্তি ব্র্যান্ডকে সাথে পেয়ে আমরা আনন্দিত।”
এই পার্টনারশিপের মাধ্যমে টেকনো ফুটবল ভক্তদের সাথে সম্প্রীতির অটুট বন্ধন তৈরি করতে কাজ করে যাবে। পাশাপাশি, ফুটবলকে নতুন উচ্চতায় নিয়ে যেতে এবং ভক্তদের আকাঙ্খা পূরণে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ এই ব্র্যান্ড। আগামী দিনেও বাংলাদেশী ফুটবল ভক্তদের জন্য অনুরূপ অভিজ্ঞতা নিশ্চিত করার লক্ষ্যে সচেষ্ট থাকবে টেকনো।