এসি এক্সচেঞ্জ অফার (AC exchange offer) পুনরায় শুরু করেছে দেশের সর্বাধিক জনপ্রিয় ও বিশ্বস্ত ব্র্যান্ড ওয়ালটন। এর আওতায় যেকোনো ব্র্র্যান্ডের পুরাতন এসির বদলে বিশেষ মূল্যছাড়ে গ্রাহকরা কিনতে পারছেন ব্যাপক বিদ্যুৎ সাশ্রয়ী ইনভার্টার প্রযুক্তির ওয়ালটন স্পিল্ট এবং ক্যাসেট ও সিলিং টাইপ কমার্শিয়াল এসি। এ সুযোগ থাকছে পরবর্তী ঘোষণা না দেয়া পর্যন্ত।
এসি এক্সচেঞ্জ অফারের আওতায় দেশের সকল ওয়ালটন প্লাজা বা পরিবেশক শোরুমে যেকোনো ব্র্যান্ডের পুরনো এসি জমা দিয়ে গ্রাহকেরা পছন্দমতো ওয়ালটনের ১ টন থেকে ২.৫ টনের যেকোনো মডেলের ইনভার্টার স্পি্লট এসি কিনতে পারছেন।
এক্ষেত্রে গ্রাহক পুরনো এসির বদলে ওয়ালটনের নতুন ইনভার্টার স্পি্লট এসির মূল্য থেকে ২০,৮০০ টাকা পর্যন্ত ডিসকাউন্ট পাচ্ছেন।
এর পাশাপাশি যেকোনো ব্র্যান্ডের পুরনো লাইট কমার্শিয়াল এসির বদলে ওয়ালটনের ১.৫ টন থেকে ৫ টন পর্যন্ত কমার্শিয়াল ক্যাসেট ও সিলিং টাইপ এসি কেনা যাচ্ছে।
এক্ষেত্রে ওয়ালটনের নতুন ক্যাসেট বা সিলিং টাইপ এসিতে গ্রাহক ৩৬,৩৬০ টাকা পর্যন্ত মূল্যছাড় পাচ্ছেন।
ঘরে বসে অনলাইনের ওয়ালটন ই-প্লাজা থেকেও গ্রাহকরা এক্সচেঞ্জ অফারে এসি অর্ডার করতে পারবেন। এর পাশাপাশি পবিত্র রমজান মাস উপলক্ষ্যে ই-প্লাজায় ১০ এপ্রিল, ২০২৩ পর্যন্ত নির্দিষ্ট মডেলের এসিতে ২০ শতাংশ পর্যন্ত মূল্যছাড় রয়েছে।
ওয়ালটন এসির হেড অব সেলস অ্যান্ড মনিটরিং মুহাইমিন উল বারী বলেন, পুরনো এসিগুলোতে অনেক বেশি বিদ্যুৎ খরচ হয়। তাছাড়া এগুলোর রক্ষণাবেক্ষণ খরচও বেশি।
রয়েছে পরিবেশ দূষণ ও দুর্ঘটনার ঝুঁকি। তাই গ্রাহকরা যাতে তাদের পুরাতন এসির বদলে ওয়ালটনের বিদ্যুৎসাশ্রয়ী ও পরিবেশবান্ধব নতুন প্রযুক্তির এসি কিনতে পারেন, সেজন্য এ·চেঞ্জের সুবিধা দেয়া হয়েছে।
এর আগে এসি এ·চেঞ্জের এই সুযোগ ক্রেতাদের মাঝে দারুণ সাড়া ফেলেছিলো। তখন অসংখ্য ক্রেতা তাদের পুরনো এসি বদলে ওয়ালটনে নতুন এসি নিয়েছেন। গ্রাহকদের চাহিদার প্রেক্ষিতেই পুনরায় ‘এসি এক্সচেঞ্জ অফার’ চালু করা হয়েছে।
কর্তৃপক্ষ জানায়, সারা বিশ্বে এখন জ্বালানি সংকট চলছে। এ অবস্থায় পুরনো এসি বদলে ওয়ালটনের বিদ্যুৎ সাশ্রয়ী ও পরিবেশবান্ধব এসি নিলে যেমন গ্রাহকদের খরচ বাঁচবে তেমনি দেশের জ্বালানি ও অর্থের সাশ্রয় হবে।
পাশাপাশি বিশ্বের পরিবেশও ভালো থাকবে। ওয়ালটন সব সময় ক্রেতা ও দেশের স্বার্থ বিবেচনা করে পণ্য উৎপাদন ও সেবা দিয়ে আসছে।
ওয়ালটন এসির প্রোডাক্ট ম্যানেজার এস.এম. সাকিবুর রহমান জানান, বর্তমানে বাজারে রয়েছে ১ থেকে ২.৫ টনের নানান সিরিজের ৪৯ মডেলের নান্দনিক ডিজাইন ও সর্বাধুনিক ফিচারের ওয়ালটন এসি।
এর মধ্যে ‘ইনভার্না’ সিরিজের এ·ট্রিম সেভার মডেলের এসিটি দক্ষিণ এশিয়ার সর্বোচ্চ বিদ্যুৎ সাশ্রয়ী এসি। যা বাংলাদেশ স্ট্যান্ডার্ডস অ্যান্ড টেস্টিং ইন্সটিটিউটশন (বিএসটিআই) কর্তৃক ৫.৫ স্টার এনার্জি রেটিংপ্রাপ্ত। এই এসিতে রয়েছে ফ্রস্ট ক্লিন, এয়ার প্লাজমা, থ্রি-ইন-ওয়ান কনভার্টার টেকনোলজি, স্মার্ট কন্ট্রোলসহ নানান অত্যাধুনিক প্রযুক্তি ও ফিচার।
এছাড়া, বাজারে রয়েছে ওয়ালটনের অফলাইন ভয়েস কন্ট্রোল এসি, ব্লুটুথ ও এয়ার প্লাজমা ফিচারের থ্রি ইন ওয়ান কনভার্টার প্রযুক্তির এসি।
ওয়ালটনের ক্রিস্টালাইন প্রিটো সিরিজের ব্লুটুথ প্রযুক্তির এসিটি ইন্টারনেট ছাড়াই ব্লুটুথের মাধ্যমে স্মার্টফোন থেকে নিয়ন্ত্রণ করা যায়। এসিতে ব্যবহৃত এয়ার প্লাজমা প্রযুক্তি বাতাসে বিদ্যমান ব্যাকটেরিয়া ও ভাইরাস ধ্বংস করে ঘরে
স্বাস্থ্যকর ও আরামদায়ক পরিবেশ নিশ্চিত করে।
থ্রি ইন ওয়ান কনভার্টার টেকনোলজির এসি গ্রাহকের রুমের আয়তন অনুযায়ী ১.৫ টন থেকে ১ টন এবং পৌনে এক টনে রূপান্তর সুবিধা রয়েছে।
অন্যদিকে ওয়ালটনের রয়েছে ১.৫ টন থেকে ৫ টনের ১৯ মডেলের ক্যাসেট ও সিলিং টাইপ কমার্শিয়াল এসি। যা শিক্ষা ও ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান, অফিস, কমিউনিটি সেন্টার, রেস্টুরেন্ট ইত্যাদি মাঝারি স্থাপনায় ব্যবহারের জন্য আদর্শ।
ওয়ালটন এসিতে এক বছরের রিপ্লেসমেন্টের পাশাপাশি ইনভার্টার এসির কম্প্রেসরে রয়েছে ১০ বছর পর্যন্ত ওয়ারেন্টি। আইএসও সনদপ্রাপ্ত সার্ভিস ম্যানেজমেন্ট সিস্টেমের আওতায় সারা দেশে ৭৯টি সার্ভিস সেন্টারের পাশাপাশি ৪০০ এরও বেশি সার্ভিস পার্টনারের মাধ্যমে দেশব্যাপী এসির গ্রাহকদের সেবা দিচ্ছে ওয়ালটন।
তাদের দক্ষ ও অভিজ্ঞ প্রকৌশলী এবং টেকনিশিয়ানগণ প্রতি ১০০ দিন পর পর এসি ক্রেতাদের ফ্রি সার্ভিস দিচ্ছেন।