ঈদ উপলক্ষে তিনটি হ্যান্ডসেট বাজারে ছাড়ছে ওয়ালটন। দেশে তৈরি এই ফোরজি হ্যান্ডসেটগুলোয় ব্যবহৃত হয়েছে ফুল-ভিউ আইপিএস ডিসপ্লে। আকর্ষণীয় ডিজাইনের ভিন্ন ভিন্ন কনফিগারেশনের ফোনগুলো ঈদের কেনাকাটায় স্মার্টফোনপ্রেমিদের পছন্দের শীর্ষে থাকবে বলে আশাবাদী ওয়ালটন কর্তৃপক্ষ।
ওয়ালটন সেল্যুলার ফোন বিপণন বিভাগের প্রধান আসিফুর রহমান খান জানান, ওই তিনটি ফোনের মডেল প্রিমো এসসিক্স ডুয়াল, প্রিমো এইচসেভেনএস এবং প্রিমো জিএমথ্রি প্লাস। গাজীপুরের চন্দ্রায় ওয়ালটনের নিজস্ব কারখানা থেকে সেটগুলো দেশের বিভিন্ন প্রান্তের শোরুমে পাঠানো হচ্ছে। অ্যান্ড্রয়েড ওরিও ৮.১ চালিত ডুয়াল সিমের ফোনগুলো দুই এক দিনের মধ্যেই ক্রেতারা হাতে পাবেন।
তিনি জানান, প্রিমো এসসিক্স ডুয়াল একটি মিড রেঞ্জের স্মার্টফোন। এর পেছনে রয়েছে ৫পি লেন্স সমৃদ্ধ পিডিএফ প্রযুক্তির ১৩ এবং ২ মেগাপিক্সেলের ডুয়াল ক্যামেরা। ৪পি লেন্স সমৃদ্ধ সামনের ক্যামেরা ৮ মেগাপিক্সেলের। ৫.৭ ইঞ্চির এইচডিপ্লাস ডিসপ্লের ফোনটিতে ব্যবহৃত হয়েছে ১.৫ গিগাহার্জের কোয়াড কোর প্রসেসর, পাওয়ার ভিআর জিই৮১০০ গ্রাফিক্স, ৩জিবি এলপিডিডিআরথ্রি র্যাম এবং ৩২জিবি স্টোরেজ, যা ২৫৬জিবি পর্যন্ত বাড়ানো যাবে। ৩৫০০ মিলিঅ্যাম্পিয়ার ব্যাটারির ফোনটির সুরক্ষায় রয়েছে ফেস আনলক এবং ফিঙ্গারপ্রিন্ট সেন্সর। কালো ও নীল রঙের হ্যান্ডসেটটির দাম পড়বে ১৪,৯৯৯ টাকা।
প্রিমো এইচসেভেনএস এবং প্রিমো জিএম৩প্লাস উভয় হ্যান্ডসেটে ব্যবহৃত হয়েছে ১.৩ গিগাহার্জের কোয়াড কোর প্রসেসর, ২ গিগাবাইট ডিডিআর৩ র্যাম এবং ১৬জিবি ইন্টারন্যাল স্টোরেজ। উভয় ফোনের সামনে ও পেছনে রয়েছে যথাক্রমে ৫ এবং ১৩ মেগাপিক্সেল ক্যামেরা।
৫.৪৫ ইঞ্চির এইচডি প্লাস ডিসপ্লের এইচসেভেনএস মডেলের অন্যান্য উল্লেখযোগ্য ফিচারের মধ্যে রয়েছে পাওয়ার ভিআর জিই৮১০০ গ্রাফিক্স, ফেস আনলক, ফিঙ্গারপ্রিন্ট, ওটিজি এবং ৩০০০ মিলিঅ্যাম্পিয়ার ব্যাটারি। ডিপ ব্লু ও গোল্ডেন রঙের ফোনটির পাওয়া যাবে ৯,১৯৯ টাকায়।
অন্যদিকে, ৫.৩৪ ইঞ্চি ডিসপ্লের জিএমথ্রি প্লাস মডেলের বিশেষ ফিচারগুলোর মধ্যে রয়েছে মালি টি৭২০ গ্রাফিক্স, ফিঙ্গারপ্রিন্ট, ওটিজি এবং ৪০০০ মিলিঅ্যাম্পিয়ার ব্যাটারি। রয়েল ব্লু এবং গোল্ডেন রঙের ফোনটির দাম পড়বে ৮,৪৯৯ টাকা।
বাংলাদেশে তৈরি এই স্মার্টফোনগুলোয় ক্রেতারা পাবেন বিশেষ রিপ্লেসমেন্ট সুবিধা। স্মার্টফোন কেনার ৩০ দিনের মধ্যে ত্রুটি ধরা পড়লে ফোনটি পাল্টে ক্রেতাকে নতুন আরেকটি ফোন দেয়া হবে। এছাড়াও, ১০১ দিনের মধ্যে প্রায়োরিটি বেসিসে ৪৮ ঘন্টার মধ্যে ক্রেতা বিক্রয়োত্তর সেবা পাবেন। তাছাড়া, স্মার্টফোনে এক বছরের এবং ব্যাটারি ও চার্জারে ছয় মাসের বিক্রয়োত্তর সেবা তো থাকছেই।
উল্লেখ্য, দেশের সব ওয়ালটন প্লাজা এবং ব্র্যান্ড ও রিটেইল আউটলেটে ০% ইন্টারেস্টে ৬ মাসের ইএমআই সুবিধায় কেনা যায় সব মডেলের ওয়ালটন স্মার্টফোন। একই সঙ্গে ১২ মাসের কিস্তি সুবিধায়ও থাকছে। সর্বোত্তম বিক্রয়োত্তর সেবার জন্য রয়েছে দেশব্যাপী বিস্তৃত সার্ভিস নেটওয়ার্ক।
ওয়ালটনের ফোরজি মোবাইল ফোন, কেন কিনবেন? কি আছে?
previous post