জমে উঠেছে ওয়ালটন ফ্যানের ডিজিটাল ক্যাম্পেইন। সাশ্রয়ী মূল্যের ওয়ালটন ফ্যান কিনে বিভিন্ন পণ্য পাচ্ছেন গ্রাহকরা। এবার ওয়ালটন ফ্যান কিনে নতুন মোটরসাইকেল পেয়েছেন উত্তরার এক শিক্ষার্থী।
মাহবুব শামীম শাওন নামের ওই শিক্ষার্থী গত রবিবার (১৫ জুলাই ২০১৮) উত্তরার আজমপুর ওয়ালটন প্লাজা থেকে একটি সিলিং ফ্যান কেনেন। যার দাম মাত্র ২,৪৫০ টাকা। এরপর ডিজিটাল রেজিস্ট্রেশন করে পেয়ে যান ১০০ সিসির নতুন মোটরসাইকেল।
‘লাগলো এবার কাড়াকাড়ি, ফ্যান কিনলে নতুন গাড়ি’স্লোগানে গত ১ জুলাই শুরু হয় ওয়ালটন ফ্যানের ডিজিটাল ক্যাম্পেইন। এর আওতায় ওয়ালটন ব্র্যান্ডের যে কোনো ফ্যান বা ইলেকট্রিক পাখা কিনে রেজিস্ট্রেশন করে ক্রেতারা পেতে পারেন নতুন গাড়ি। রয়েছে মোটরসাইকেল, ফ্রিজ, টিভিসহ অসংখ্য পণ্য। এসব না পেলেও আছে নিশ্চিত ক্যাশব্যাকের সুযোগ। ডিজিটাল ক্যাম্পেইনের এই অফারে ওয়ালটন ফ্যান কিনে নতুন মোটরসাইকেল পান মাহবুব।
আজ শনিবার (২১ জুলাই ২০১৮) মাহবুব শামীমের কাছে নতুন মোটরসাইকেলটি হস্তান্তর করা হয়। তার হাতে ১০০ সিসির মোটরসাইকেলটি তুলে দেন ওয়ালটনের ডেপুটি চিফ মার্কেটিং অফিসার (ডিসিএমও) মীর মো. গোলাম ফারুক।
এ সময় অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন ওয়ালটন উত্তরা জোনের এরিয়া ম্যানেজার রায়হান কবির এবং উত্তরা প্লাজার ম্যানেজার আসাদুজ্জামান পরাগ।
মাহবুব শামীম শাওন জানান, তাদের গ্রামের বাড়ি টাঙ্গাইলের বাসাইল উপজেলায়। তবে বাবার চাকরিসূত্রে দীর্ঘদিন ধরে রাজধানীর দক্ষিণখানে বসবাস করছেন। বাবা নাসির হোসেন একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে কাজ করেন। মা গৃহিণী। দুই ভাই ও এক বোনের মধ্যে শাওন বড়। পড়াশোনা করছেন টঙ্গী কলেজে। বিএ তৃতীয় বর্ষের ছাত্র তিনি।
নতুন মোটরসাইকেল নেয়ার সময় শাওন বলেন, ‘কয়েকদিন আগে আমার রুমের ফ্যানটা নষ্ট হয়ে যায়। নতুন ফ্যান কিনতে হবে। ভাবলাম দেশীয় কোনো ব্র্যান্ডের ফ্যান কিনবো। সবার আগে চলে এলো ওয়ালটনের নাম। কারণ ৫-৬ বছর ধরে ওয়ালটনের টিভি ব্যবহার করছি। খুবই ভালো সার্ভিস পাচ্ছি। তাছাড়া, কয়েকদিন আগে পত্রিকায় দেখেছি, তাদের ফ্যান ক্রয়ে নতুন গাড়ি পাওয়ার সুযোগ আছে।’
তিনি বলেন, ‘তবে নতুন গাড়ি পাওয়ার আশায় নয়। প্রয়োজন বলে আমি সেরা দেশীয় ব্র্যান্ডের সর্বোত্তম পণ্যটা কিনতে চেয়েছিলাম। সেজন্যই ওয়ালটন প্লাজায় যাওয়া। তবে অফারের বিষয়টিও মাথায় ছিল। ভাগ্যটাও যাচাই করে দেখতে চেয়েছি।’
শাওন জানান, ফ্যান কিনে তার মোবাইল নম্বর দিয়ে রেজিস্ট্রেশন করার সময় ম্যানেজার মজা করছিলেন। তিনি বলছিলেন, দেখেন নতুন গাড়ি পেয়ে যান কি না। কিছুক্ষণের মধ্যেই ওয়ালটন থেকে মোটরসাইকেল পাওয়ার মেসেজ আসে। “সেটা দেখে প্রথমে বিশ্বাসই করতে পারছিলাম না। পরে ম্যানেজারকে এসএমএসটা দেখাই। তিনি নিশ্চিত করেন। আমি অবাক হয়েছি! ভীষণ খুশি হয়েছি। সত্যি সত্যিই মোটরসাইকেল পেয়ে গেলাম। চার চাকার গাড়ি না পেলেও দুই চাকার গাড়ি তো পেলাম।’
তিনি আরও বলেন, ‘মোটরসাইকেলটি পেয়ে খুবই ভালো হয়েছে। আমি মোটরসাইকেল চালাতে পারি। বন্ধুদের কাছ থেকে নিয়ে মাঝে মাঝে চালাতাম। এখন নিজের একটি মোটরসাইকেল হয়েছে। এটা চালিয়ে কলেজে যেতে পারবো। আমার ছোটভাইও চালাতে পারে। সেও খুবই এক্সসাইটেড। ওয়ালটনের এই বাইকটি আমাদের অনেক কাজে দেবে।’
ওয়ালটন ফ্যান কেনা সম্পর্কে তিনি বলেন, ‘প্রধানত দেশপ্রেমের জায়গা থেকে ওয়ালটন ফ্যান কেনার চিন্তা করি। কারণ ওয়ালটন আমাদের নিজস্ব ব্র্যান্ড। ওয়ালটন ক্রেতাদের বিশ্বাসের জায়গা অর্জন করছে। অনেকেই দেশীয় পণ্য নিয়ে নাক সিটকায়। কিন্তু ওয়ালটন ওই পর্যায়ে নাই। তারা বিশ্বমানের পণ্য উৎপাদন করে। তাদের তৈরি পণ্য বিদেশেও রপ্তানি হয়। এসব জানি এবং বিশ্বাস করি বলেই ফ্যান কিনতে ওয়ালটনে গিয়েছি।’
শাওন জানান, তার বাবা-মা এবং ছোট ভাই ও বোনও খুবই খুশি। মাত্র ২,৪৫০ টাকার ফ্যান কিনে নতুন মোটরসাইকেল পাবেন, এটা কখনো ভাবেননি কেউই। বন্ধু-বান্ধব ও আত্মীয়-স্বজন যারাই শুনছেন, সবাই বলছেন শাওনের ভাগ্য অনেক ভালো। শাওনের হাতে নতুন মোটরসাইকেল তুলে দিয়ে ওয়ালটন প্রমাণ করেছে, ক্রেতাকে দেওয়া প্রতিশ্রুতি তারা শতভাগ পূরণ করে।
ওয়ালটন ফ্যানের বিভিন্ন অঞ্চলের পরিবেশক ও বিক্রেতারা জানান, ক্যাম্পেইন ঘিরে বিক্রয়কেন্দ্রগুলোতে এখন উৎসবমূখর পরিবেশ। ফ্যানের মতো সাশ্রয়ী মূল্যের পণ্যে এতবড় সুযোগ দেয়ায় ক্রেতারাও ভীষণ উচ্ছ্বসিত। ওয়ালটনের সিলিং, ওয়াল, টেবিল কিংবা প্যাডেস্টাল ফ্যান কিনে ক্রেতারা স্বতস্ফূর্তভাবে রেজিস্ট্রেশন করছেন। এরপর গভীর আগ্রহে অপেক্ষা করছেন ফিরতি মেসেজের। প্রত্যাশা করছেন নতুন গাড়ি কিংবা মোটরসাইকেলের। অনেকেই ফ্যান কিনতে এসে টিভি-ফ্রিজ কিংবা আরেকটি ফ্যান নিয়ে বাড়ি ফিরছেন। এগুলো না মিললেও নিশ্চিত ক্যাশব্যাক পেয়ে খুশি ক্রেতারা।
ওয়ালটন সূত্রে জানা গেছে ফ্যান কিনে নতুন গাড়ি ও অন্যান্য পণ্যসহ ক্যাশব্যাক পাওয়ার এই সুযোগ থাকবে আগামী ৩০ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত।