‘জাতীয় যুব সম্মেলন ২০২০’- এর চতুর্থ আসরের নিবন্ধন প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। নিবন্ধন প্রক্রিয়াটি শেষ হবে আগামী ১০ ফেব্রুয়ারি। কক্সবাজারের লং বিচ হোটেলে ‘জাতীয় উন্নয়নের জন্য তরুণদের ক্ষমতায়ন’ প্রতিপাদ্যে চার দিনব্যাপী এই সম্মেলনটি আগামী ২৬ ফেব্রুয়ারি শুরু হয়ে শেষ হবে ২৯ ফেব্রুয়ারি।
সর্বমোট ৬শ’ প্রতিযোগী সম্মেলনটিতে অংশগ্রহণ করতে পারবেন। এই সম্মেলনে নিবন্ধন করতে হলে আবেদনকারীদের বয়স হতে হবে ১৮ থেকে ৩৫ বছরের মধ্যে। তাদের নিজের কমিউনিটিতে নেতৃত্বের অভিজ্ঞতা থাকতে হবে পাশাপাশি, আন্তর্জাতিক ঘটনাবলী, টেকসই উন্নয়ন এবং তরুণদের বিষয়ে আগ্রহ থাকতে হবে। এছাড়াও, আবেদনকারীদের নিজেদের কমিউনিটির প্রতিনিধিত্ব করার এবং এবং উন্নয়নে জোরালো ভূমিকা রাখার পরিকল্পনা থাকতে হবে।
চার দিনের এ সম্মেলন দক্ষতা ও ইতিবাচক পরিবর্তনের প্রতিনিধি হিসেবে তরুণদের পরিচালনায় প্ল্যাটফর্ম তৈরির মাধ্যমে তরুণদের ক্ষমতায়নে জাগো ফাউন্ডেশনের ধারা অব্যাহত রাখবে। এই সম্মেলনের মাধ্যমে দেশের মেধাবী তরুণদের টেকসই উন্নয়ন ও সামাজিক উদ্যোক্তা খাতে সম্পৃক্ত করা হবে, যেখানে তারা নেতৃস্থানীয় পেশাদার, নীতিনির্ধারক ও বিভিন্ন খাতের প্র্যাকটিশনারদের সাথে মতবিনিময়ের সুযোগ পাবে।
আলোচনা, দক্ষতা বৃদ্ধি বিষয়ক কর্মশালা, বিভিন্ন নেটওয়ার্কিং সেশন এবং ধারণা বিষয়ক চ্যালেঞ্জের মাধ্যমে সম্মেলনে সারা বাংলাদেশ থেকে আগত তরুণদের প্রাসঙ্গিক জ্ঞান ও প্রয়োজনীয় তথ্যাদি দিয়ে দক্ষ করে তোলার সুযোগ করে দেওয়া হবে। এটি বছরব্যাপী তরুণদের পরিবর্তনের জন্য বিভিন্ন উদ্যোগ নেওয়া এবং প্রকল্প তৈরির সক্ষমতা বৃদ্ধিতে কার্যকরী ভূমিকা রাখবে।
সম্মেলন চলাকালীন ৩০টিরও বেশি সেশন অনুষ্ঠিত হবে। এর মধ্যে রয়েছে রাজনীতিতে তরুণদের উদ্বুদ্ধকরণ, টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে প্রাতিষ্ঠানিক অংশীদারত্ব, টেকসই শহর নির্মাণের জন্য সড়কের নিরাপত্তা নিশ্চিতকরণ, বাংলাদেশের শিল্পখাত, নেতৃত্বের গুণাবলী অর্জন, ব্যবসা খাতে প্রযুক্তি, সুশাসন, নাগরিকের দায়িত্ব ও কর্তব্য সম্পর্কে প্রয়োজনীয় শিক্ষা এবং মানবাধিকারসহ আরও অনেক কিছু।
এ নিয়ে জাগো ফাউন্ডেশনের নির্বাহী পরিচালক করভি রাকশান্দ বলেন, ‘এটা বেশ গুরুত্বপূর্ণ বিষয় যে, তরুণদের সম্পৃক্ত করে দেশের লক্ষাধিক তরুণকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করি, ‘ভলান্টিয়ার ফর বাংলাদেশ’ এর যাত্রার শুরু থেকেই এটা করার চেষ্টা করে আসছে। টেকসই উন্নয়নের প্রভাব তৈরিতে জাতীয় যুব সম্মেলনের প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী আয়োজিত অধিবেশনের মাধ্যমে তরুণদের বিকাশ ও কঠোর পরিশ্রমের মাধ্যমে দক্ষ করে গড়ে তোলা হবে, যা তাৎক্ষণিক ও কার্যকরভাবে স্থানীয় ও বৈশ্বিক বিভিন্ন সমস্যার সমাধানে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।’
সমাজের বৃহৎ সমস্যাগুলো মোকাবিলা করার পাশাপাশি এসডিজি অর্জনের মাধ্যমে সমৃদ্ধশালী বাংলাদেশ বিনির্মাণে বিগত তিন বছর জাতীয় যুব সম্মেলন আয়োজন করা হয়। চার দিনব্যাপী এই আবাসিক সম্মেলনে বিভিন্ন ক্ষেত্রের ৭৫ জনেরও বেশি বক্তা এবং একাধিক বিষয়ে দক্ষ ব্যক্তির সমন্বয়ে প্যানেল থাকবে।
এদের মধ্যে রয়েছেন কন্টেন্ট নির্মাতা ও ভিডিও ব্লগার ডিয়ার অ্যালেন, বাংলাদেশে নিযুক্ত যুক্তরাজ্যের ডেপুটি হাই কমিশনার কানবার হোসেন বর, আইপিডিসি ফাইন্যান্সের ম্যানেজিং ডিরেক্টর মোমিনুল ইসলাম, নভোএয়ারের ম্যানেজিং ডিরেক্টর মফিজুর রহমান, অ্যাপেক্সের ম্যানেজিং ডিরেক্টর সৈয়দ নাসিম মনজুর, আইডিএলসি ভেঞ্চার ক্যাপিটালের পার্টনার সামাদ মিরালী, টেন মিনিটস স্কুলের সিইও আয়মান সাদিক, ডন সামদানি ফ্যাসিলিটেশনের চিফ ইন্সপিরেশনাল অফিসার গোলাম সামদানী ডন, ইউএন ওমেনের কান্ট্রি রিপ্রেজেন্টেটিভ শোকো ইশিকাওয়া, ওয়াটারঅ্যাইডের কান্ট্রি ডিরেক্টর হাসিন জাহান এবং ইউএনডিপি বাংলাদেশের হেড অব কমিউনিকেশনস মো. আব্দুল কাইয়ুমসহ আরও অনেকে।