সর্বশেষ অর্থবছরে অবৈধ ভয়েস কলের ব্যবসায় জড়িত থাকার অভিযোগে দেশে ১৫ লাখ ৫৭ হাজার সিম বন্ধ হয়েছে। তারপরেও এটি আগের বছরের তুলনায় ২৬ শতাংশ কম।বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশনের হিসাব বলছে, ২০১৫-১৬ অর্থবছরে অবৈধ ভয়েস কলের ব্যবসায় জড়িত থাকার অভিযোগে সবগুলো অপারেটর মিলে ২০ লাখ ৯৯ হাজার সিম বন্ধ হয়েছিল। ২০১৬-১৭ অর্থ বছরে বন্ধের এই সংখ্যা পাঁচ লাখ ৪২ হাজার কমেছে।
বিটিআরসির ২০১৬-১৭ অর্থবছরের বার্ষিক প্রতিবেদনে পাওয়া গেছে এই তথ্য।সংশ্লিষ্টরা বলছেন, ২০১৬ সালে দেশে বায়োমেট্টিক নিবন্ধনের পর সিম কেন্দ্রিক অবৈধ কার্যক্রম কমে আসতে শুরু করে। ভয়েস কলের অবৈধ ব্যবসায় সিমের ব্যবহারও এক্ষেত্রে আগের চেয়ে কমেছে বলেই তাদের মত।
বিটিআরসি মূলত আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সহযোগিতায় অভিযান চালিয়ে সিম বন্ধ করে থাকে। এই ক্ষেত্রে ২০১৬-১৭ অর্থ বছরে বন্ধ হয়েছে মাত্র ৩৩ হাজার সিম।
অন্যদিকে অপারেটরদের সেল্ফ রেগুলেটরি প্রক্রিয়ার মাধ্যমে বন্ধ হওয়া সিমের সংখ্যা ১৩ লাখ দুই হাজার। এর বাইরে দুই লাখ ২৩ হাজার সিম বন্ধ হয়েছে বিটিআরসির সিম বক্স ডিটেকশন প্রক্রিয়ায়।
সর্বশেষ অর্থবছরে, বন্ধ হওয়া হওয়া সিমের তালিকায় আগের মতোই সবার ওপরে রয়েছে টেলিটক। সাড়ে ১৫ লাখ বন্ধ সিমের মধ্যে তাদের ৫ লাখ ১৭ হাজার। যদিও আগের বছরে তাদের বন্ধ সিমের সংখ্যা ছিল ১২ লাখের ওপরে।
রবির সঙ্গে একীভূত অপারেটর এয়ারটেলের বন্ধ সিমের সংখ্যা ওই বছরে ছিল তিন লাখ ৭০ হাজার।
গ্রামীণফোনের বন্ধ হওয়া সিম তিন লাখ ৩১ হাজার। রবির সিম সংখ্যা তিন লাখ ১৩ হাজার। আর বাংলালিংকের মাত্র ২৪ হাজার ৭৭৭ টি সিম বন্ধ হয়েছে অবৈধ ভয়েস কলের ব্যবসার সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে।২০১৬ সালের শেষের দিকে বন্ধ হয়ে যাওয়া অপারেটর সিটিসেলের সিম পাওয়া গেছে ২৭টি।