বাংলাদেশের অন্যতম ডিজিটাল সেবাদাতা প্রতিষ্ঠান বাংলালিংক চলমান করোনা পরিস্থিতিতে ক্ষতিগ্রস্ত ও শীতার্ত ১৪,৫০০টি পরিবারের মাঝে ত্রাণ বিতরণ করবে। বাংলাদেশ সেনা কল্যাণ সংস্থা ও বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর সহযোগিতায় এই ত্রাণ বিতরণ করা হবে।
বাংলালিংক-এর চিফ কর্পোরেট অ্যান্ড রেগুলেটরি অ্যাফেয়ার্স তাইমুর রহমান এবং বাংলাদেশ সেনা কল্যাণ সংস্থা-এর অ্যাক্টিং চেয়ারম্যান এয়ার কমোডর এম মঈনুদ্দিন ঢাকায় সেনা কল্যাণ সংস্থা-এর প্রধান কার্যালয়ে নিজ নিজ প্রতিষ্ঠানের পক্ষ থেকে ত্রাণ কর্মসূচি সংক্রান্ত একটি চুক্তি স্বাক্ষর করেন। চুক্তি স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন বাংলালিংক-এর চিফ এথিক্স অ্যান্ড কমপ্লায়েন্স অফিসার মুনিরুজ্জামান শেখ, হেড অফ কর্পোরেট কমিউনিকেশন্স অ্যান্ড সাস্টেইনিবিলিটি আংকিত সুরেকা, হেড অফ স্টেকহোল্ডার রিলেশনস হাসিনুল কুদ্দুস, হেড অফ এথিক্স অ্যান্ড কমপ্লায়েন্স অপারেশন মো. আদিল হোসেন এবং ব্রিগেডিয়ার জেনারেল ওহিদুল আলম চৌধুরী, পিপিএম, এসপিপি, এনডিসি, পিএসসি, ডিজি, আরইডি, বাংলাদেশ সেনা কল্যাণ সংস্থা।
প্রত্যেক পরিবারকে বাংলালিংক-এর পক্ষ থেকে প্রদান করা হবে ৫ কেজি চাল, ১ কেজি ডাল, ১ কেজি তেল, আধা কেজি সুজি, ১ কেজি চিনি, ১ কেজি লবণ ও ২টি সাবান।
বাংলালিংক-এর চিফ কর্পোরেট অ্যান্ড রেগুলেটরি অ্যাফেয়ার্স অফিসার তাইমুর রহমান বলেন,“করোনা মহামারি ও বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত এবং শীতার্ত পরিবারগুলির বিভিন্ন সমস্যার কথা বিবেচনা করে আমরা চলতি বছরে তৃতীয় বারের মতো ত্রাণ কর্মসূচি গ্রহণ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছি। সামাজিকভাবে দায়বদ্ধ একটি কর্পোরেট প্রতিষ্ঠান হিসেবে বাংলালিংক বিরূপ পরিস্থিতিতে বিভিন্ন জনগোষ্ঠীর পাশে দাঁড়ানোর চেষ্টা করে থাকে। দেশের বিভিন্ন প্রান্তে এই পরিবারগুলির কাছে ত্রাণ সামগ্রী পৌঁছে দিতে সাহায্য করার জন্য আমরা আবারও বাংলাদেশ সেনা কল্যাণ সংস্থা ও বাংলাদেশ সেনাবাহিনীকে ধন্যবাদ জানাই।”
বাংলাদেশ সেনা কল্যাণ সংস্থা-এর অ্যাক্টিং চেয়ারম্যান এয়ার কমোডর এম মঈনুদ্দিন বলেন,“চলমান করোনা মহামারি, শীত ও বন্যা পরবর্তী সমস্যার ফলে দেশের কিছু অঞ্চলের জনগোষ্ঠী নানা ধরনের দূর্ভোগের সম্মুখীন হচ্ছে। প্রতিকূল এই পরিস্থিতিতে ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারগুলিকে সাহায্য করার লক্ষ্যে বাংলালিংক-এর এই উদ্যোগকে আমরা স্বাগত জানাই। আমি মনে করি, এ ধরনের সম্মিলিত প্রয়াস দৃষ্টান্তমূলক উদাহরণ সৃষ্টি করে সমাজে ইতিবাচক প্রভাব ফেলতে পারে।”
এই বছর করোনা মহামারিতে ক্ষতিগ্রস্ত ৩৫,৫০০-টিরও বেশি পরিবারের মাঝে ইতোমধ্যে দুই পর্যায়ে ত্রাণ বিতরণ করেছে বাংলালিংক।