ইচ্ছে করলেই এখন থেকে আর কর্পোরেট সিম বিক্রি করা যাবে না। এজন্য আগে থেকে অনুমতি নিতে হবে। এমনকি পূর্বে বিক্রীত সব কর্পোরেট সিমের নিবন্ধন যাচাই করা হবে। সংশ্লিষ্ট কোম্পানির অনুমতি ছাড়াই সেগুলোর নামে প্রয়োজনের চেয়ে বেশি সিম নিবন্ধন করে তা অনেক দামে বিক্রি করার মতো ঘটনা উদ্ঘাটিত হওয়ার পর এমন পদক্ষেপ নিয়েছে বিটিআরসি।
কমিশনের তথ্য অনুযায়ী, আগস্টের শেষে দেশে মোট কার্যকর সিমের সংখ্যা ছিল ১৫ কোটি ৪২ লাখ। এর মধ্যে ১ থেকে ২ শতাংশ কর্পোরেট সিম হিসেবে ব্যবহার করা হয় বলে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা জানান।
র্যাব ২১ অক্টোবর গ্রামীণফোনের ঊর্ধ্বতন এক কর্মকর্তাসহ একটি চক্রকে বিভিন্ন কোম্পানির অনুমোদনবিহীন পাঁচ শতাধিক কর্পোরেট সিমসহ গ্রেফতার করে। এ চক্র এসব সিম বেশি দামে বিক্রি করছিল।
এমন অনুসন্ধানের পরিপ্রেক্ষিতে সব কর্পোরেট সিমের নিবন্ধন যাচাই করে দেখতে চায় টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন বিটিআরসি। এর অংশ হিসেবে কমিশন সব অপারেটরের কাছে তাদের ইস্যু করা কর্পোরেট নম্বরের তালিকা চেয়ে সম্প্রতি চিঠি দিয়েছে।
এ নম্বরগুলো পর্যায়ক্রমে যাচাই-বাছাই করা হবে। নম্বরের তালিকা দেয়ার সঙ্গে প্রতিটি কর্পোরেট হাউসের ফোকাল পয়েন্ট কর্মকর্তার সঙ্গে যোগাযোগের জন্য ই-মেইল আইডিসহ অন্যান্য তথ্যও চেয়েছে।
আর কর্পোরেট সিম বিক্রির ক্ষেত্রে কঠোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে বিটিআরসি। এখন থেকে কোনো প্রতিষ্ঠানের কাছে কর্পোরেট নম্বর বিক্রির আগে কমিশনের কাছ থেকে এ সংক্রান্ত অনুমোদন নিতে হবে।