মোবাইল ডেটা এবং অন্যান্য প্যাকেজে ব্যাপক পরিবর্তন আনতে প্রস্তুত টেলিকম নিয়ন্ত্রক সংস্থা। এই পরিবর্তনের ফলে অপারেটরদের অফারের সংখ্যা কমে যাবে এবং গ্রাহকরা তাদের বর্তমান প্যাকেজের অব্যবহৃত ডেটা ও টকটাইম পরবর্তী প্যাকেজের সঙ্গে পেয়ে যাবেন।
বিটিআরসির নির্দেশনা অনুযায়ী, কোনো অপারেটর নিয়মিত প্যাকেজ, গ্রাহককেন্দ্রিক বিশেষ প্যাকেজ এবং গবেষণা ও উন্নয়ন এ তিনটি বিভাগে ৯৫টি প্যাকেজ অফার করতে পারবে।
সব ধরনের গ্রাহকদের জন্য নিয়মিত প্যাকেজ হতে পারে সর্বোচ্চ ৫০টি। গ্রাহককেন্দ্রিক বিশেষ প্যাকেজও হতে পারে সর্বোচ্চ ৫০টি। বাকি ১০টি প্যাকেজ থাকবে গবেষণা ও উন্নয়ন বিভাগে।
বাজারে অসংখ্য প্যাকেজ রয়েছে যেগুলো বিভ্রান্তি তৈরি করছে। গ্রাহকরা মন্ত্রণালয়, বিটিআরসির কল সেন্টার এবং গণশুনানির সময় এ বিষয়ে অভিযোগ করছেন। এছাড়া অব্যবহৃত ডেটা ও টকটাইম ফেরত পাওয়ার দাবি ছিল অনেক আগে থেকেই।
যাতে গ্রাহকরা সহজেই তাদের পছন্দসই প্যাকেজ নির্বাচন করতে পারেন।’ নতুন নির্দেশনা দেয়ার আগে বিটিআরসি অপারেটরগুলোর কর্মকর্তাদের সঙ্গে দেখা করে এবং একটি উন্নত ব্যবস্থা স্থাপনের জন্য বাজার বিশ্লেষণ করে।
বিটিআরসির নতুন নির্দেশনা অনুযায়ী, সময়কাল নির্বিশেষে যেকোনো ডেটা প্যাকেজের মেয়াদ শেষ হওয়ার আগে একই প্যাকেজ গ্রাহক ক্রয় করলে অব্যবহৃত ডেটা পরের প্যাকেজে যোগ হয়ে যাবে।
উদাহরণস্বরূপ, যদি একজন গ্রাহক ৩ দিন মেয়াদে ৭ গিগাবাইট (জিবি) ডেটা ও ১০০ মিনিট টকটাইমের প্যাকেজ কিনে নির্ধারিত সময়ের মধ্যে তা শেষ করতে না পারেন, তাহলে অব্যবহৃত ডেটা বা টকটাইম মেয়াদ শেষে আর ব্যবহার করতে পারেন না।
কিন্তু ১৫ মার্চ থেকে গ্রাহকরা মেয়াদ শেষ হওয়ার আগে একই প্যাকেজ কিনলে অব্যবহৃত ডেটা এবং টকটাইম নতুন প্যাকেজে স্থানান্তরের সুবিধা পাবেন। ফলে অব্যবহৃত ডেটা ও টকটাইম নতুন ডেটা ও টকটাইমের সঙ্গে যোগ হয়ে যাবে।
শুধু তাই নয়, অন্য তিন ধরনের মেয়াদে নতুন প্যাকেজ কিনলেও অব্যবহৃত ডেটা স্থানান্তর করা যাবে। এর মাধ্যমে অপারেটররা প্যাকেজের কার্যকারিতা বিশ্লেষণ করতে পারবে। প্রতিটি প্যাকেজের মেয়াদ থাকবে, তিন, সাত, ১৫ ও ৩০ দিন।