হ্যান্স মার্টিন হেনরিক্সন কে চীফ কর্পোরেট এ্যাফেয়ার্স অফিসার (সিসিএও) হিসাবে নিয়োগ দিয়েছে গ্রামীণফোন। ১৫ মে ২০২২ সাল থেকে এই নিয়োগ কার্যকর হবে। হ্যান্স মার্টিন গ্রামীণফোনের পূর্ববর্তী সিসিএও ওলে বিয়র্ণ শুলস্তা’র স্থলাভিষিক্ত হবেন যিনি ২০২১ সালের ৩০ জুন গ্রামীণফোন থেকে বিদায় নেন। পরবর্তী সময়ে হোসেন সাদাত গ্রামীণফোনের এক্টিং সিসিএও হিসাবে গুরুত্বপূর্ন ভুমিকা পালন করেন।
গ্রামীণফোনে যোগদানের পূর্বে হ্যান্স মার্টিন টেলিনর মায়ানমারের সিসিএও হিসাবে দায়িত্ব পালন করেন এবং প্রতিষ্ঠানের চ্যালেঞ্জিং সময়ে কার্যকর ভূমিকা পালন করেন। টেলিনর গ্রুপের আর্ন্তজাতিক ও এশিয়ার ব্যবসায়িক পরিচালনা বিশেষ করে মোবাইল লাইসেন্স অধিগ্রহনে এশিয়ায় হ্যান্স মার্টিন এর বিস্তর অভিজ্ঞতা রয়েছে। বিগত ২০ বছর তিনি টেলিনর এশিয়ার সকল বিজনেস ইউনিটে বিভিন্ন পদে কাজ করেছেন। বাংলাদেশে ব্যবসায়িক পরিবেশ সর্ম্পকে হ্যান্স মার্টিনের কাজের অভিজ্ঞতা রয়েছে। ২০১৪ থেকে ২০১৮ সাল পর্যন্ত হ্যান্স মার্টিন বাংলাদেশে টেলিনরের চীফ কান্ট্রি অফিসার দায়িত্ব পালন করেন।
নতুন সিসিএওকে স্বাগত জানিয়ে গ্রামীণফোনের সিইও ইয়াসির আজমান বলেন,” আমরা আনন্দের সাথে হ্যান্স মার্টিনকে গ্রামীণফোনের ম্যানেজমেন্ট টিমে স্বাগত জানাচ্ছি সেই সাথে তার দীর্ঘ অভিজ্ঞতা, কর্মতৎপরতা আর ভবিষ্যতের উপযোগী নেতৃত্ব আমাদের প্রতিষ্ঠানে গুরুত্বর্পূণ ভূমিকা পালন করবে বলে বিশ্বাস করি। ব্যবসায়িক পরিবেশ ও রেগুলেটরি বিষয় সম্পর্কে তার গভীর বোঝাপড়া প্রতিষ্ঠানের গ্রাহক, শেয়ারহোল্ডার এবং স্টেকহোল্ডারদের জন্য সঠিক পরিকল্পনা এবং দিকনির্দেশনা নিশ্চিত করতে সহায়তা করবে। গ্রামীণফোনের ব্যবসা পরিচালন ও প্রবৃদ্ধির ধারাবাহিকতায় গুরুত্বপূর্ন ভূমিকা পালনের জন্য আমি হোসেন সাদাতকে এক্টিং সিসিও হিসাবে দায়িত্ব পালনের জন্য বিশেষভাবে ধন্যবাদ দিচ্ছি।”
হ্যান্স মার্টিন হেনরিক্সন বলেন, ” বাংলাদেশ এবং গ্রামীণফোন আমার অনেক কাছের । বৈচিত্রপূর্ণ টেলিকম মার্কেটে আবারো ফিরে আসতে পরে আমি খুবই আনন্দিত। ডিজিটাল বাংলাদেশের নতুন অধ্যায় এ ভূমিকা রাখতে আমি গ্রামীণফোনের টিমে শীঘ্রই যোগদানের প্রত্যাশা করছি।”
নরওয়ের নাগরিক হ্যান্স মার্টিন দুই সন্তানের জনক।