এশিয়ান পেইন্টস বাংলাদেশ লিমিটেড, তাদের সেরা নৈপুণ্য প্রদর্শনকারী ডিলারদের রাশিয়ায় অনুষ্ঠেয় ফুটবল বিশ্বকাপ ২০১৮ উপভোগ করতে নিয়ে যেতে পুরোপুরি প্রস্তুত। রাশিয়ায় যাওয়ার জন্য নির্বাচিত ডিলাররা নিজ নিজ পরিবারের সদস্যদের সাথে ওয়ার্ল্ড কাপ টুর্নামেন্ট উপভোগ করতে পারবেন। এশিয়ান পেইন্টস, তাদের ডিলারদের জন্য আয়োজিত বিশেষ প্রতিযোগিতা ‘প্রিভিলেজ ক্লাব’ এর মাধ্যমে রাশিয়া থেকে সরাসরি বিশ্বকাপ উপভোগ করার অনন্য এই সুযোগ প্রদানের জন্য ৫৮ জন ডিলারকে নির্বাচিত করেছে। ডিলার ও তাদের পরিবারের সদস্য এবং এশিয়ান পেইন্টস-এর প্রতিনিধিসহ মোট ১১০ জনের একটি দল স্টেডিয়ামে বসে সরাসরি ‘দ্যা বিগেস্ট শো অন আর্থ’ উপভোগ করার উদ্দেশ্যে আগামী ২৪ জুন, ২০১৮ তারিখে রাশিয়া যাত্রা করবেন।
এ পর্যন্ত ফুটবল বিশ্বকাপ দেখতে যাওয়া বাংলাদেশীদের মধ্যে এই দলটি সবচেয়ে বড় এবং বাংলাদেশ থেকে এভাবে বিশ্বকাপ দেখতে যাওয়ার আয়োজন এটাই প্রথম। দেশের বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান এ বছর বিশ্বকাপ উপভোগ করতে নিয়ে যাওয়ার অফার ঘোষণা করেছিল এবং এসকল প্রতিষ্ঠানের মধ্যে এশিয়ান পেইন্টসই সর্বোচ্চ সংখ্যক মানুষকে ফুটবল বিশ্বকাপ উপভোগ করার সুযোগ করে দিয়েছে।
এ প্রসঙ্গে এশিয়ান পেইন্টস বাংলাদেশ লি.-এর কান্ট্রি ম্যানেজার রিতেশ দশি বলেন, “প্রিভিলেজ ক্লাব হলো আমাদের ডিলারদের জন্য প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ এবং গ্র্যান্ড পুরস্কার জেতার লক্ষ্যে আয়োজিত একটি অনন্য বার্ষিক আয়োজন। এই আয়োজনে সেলস টার্গেট এবং অর্জনের ভিত্তিতে ক্লাবের ‘সুপার প্রিমিয়াম’ ‘প্রিমিয়াম’ এবং ‘মেম্বার’ ঘোষণা করা হয়। আমরা গত বছর থেকে এই আয়োজন শুরু করেছি। এবছর আমরা ‘সুপার প্রিমিয়াম’ এবং ‘প্রিমিয়াম’ টাইটেল বিজয়ীদের পরিবারের সদস্যদের সাথে সরাসরি বিশ্বকাপ উপভোগ করতে রাশিয়া নিয়ে যাচ্ছি। আমরা আমাদের সম্মানিত ডিলার ও পার্টনার; যারা সবসময় আমাদের পাশে থাকেন, তাদের জন্য ভবিষ্যতেও অসাধারণ কিছু সুবিধা প্রদান অব্যাহত রাখব”।
বিজয়ীরা তাদের স্বপ্ন পূরণের এই অনন্য সুযোগ পেয়ে সত্যি বিস্মিত ও অভিভূত। এশিয়ান পেইন্টস ‘প্রিভিলেজ ক্লাব’-এর ডিলার এবং উত্তরায় অবস্থিত ফরিদপুর হার্ডওয়্যার এর স্বত্বাধিকারী রোশন আলী রুশো এই প্রতিযোগিতার একজন বিজয়ী এবং তিনি রাশিয়ার উদ্দেশ্যে উড়াল দিতে পুরোপুরি প্রস্তুত। তিনি উচ্ছ্বাস প্রকাশ করে বলেন, “এই অনন্য উদ্যোগের অংশ হতে পেরে আমি সত্যিই অনেক বেশি আনন্দিত। আমার স্ত্রী যেতে না পারায় আমি আমার কন্যাকে সাথে নিয়ে বিশ্বকাপ উপভোগ করতে রাশিয়া যাচ্ছি। আমি স্টেডিয়ামে বসে সরাসরি বিশ্বকাপের খেলা দেখার স্বপ্ন দেখতাম, কিন্তু কখনোই ভাবি নি; আমার এই স্বপ্ন সত্যিই পূরণ হবে। এশিয়ান পেইন্টসের অসাধারণ এই উদ্যোগের কল্যাণে আমি এবং আমার মেয়ে রাশিয়া থেকে সরাসরি মাঠে বসে খেলা উপভোগ করার সুযোগ পাচ্ছি। আমাকে অসাধারণ এই সুযোগ দেওয়ার জন্য আমি আমার অন্তরের অন্তঃস্থল থেকে এশিয়ান পেইন্টসকে ধন্যবাদ জানাচ্ছি”।
আরও একজন বিজয়ী, চট্টগ্রামের গফুর হার্ডওয়্যার এর স্বত্বাধিকারী সাইফুদ্দীন বহুদিনের লালিত স্বপ্ন পূরণ হতে যাওয়ার অনুভূতি প্রকাশ করতে গিয়ে বলেন, “এশিয়ান পেইন্টসের পক্ষ থেকে এমন অসাধারণ একটি সুযোগ পাওয়া আমার জন্য অত্যন্ত সম্মানজনক। আমি কখনোই ভাবি নি যে, আমি একদিন সরাসরি বিশ্বকাপ উপভোগ করার সুযোগ পাব। আমার স্বপ্ন সত্যি করার জন্য আমি এশিয়ান পেইন্টসের প্রতি আমার কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন করছি”।