প্রজেক্টর হলো একটি ইলেকট্রোনিক যন্ত্র যার মাধ্যমে কম্পিউটারের কোন তথ্য, ছবি, ভিডিও বড় স্ক্রিনে মাধ্যেমে দেখানো হয়। বিভিন্ন সভা, সেমিনার, ওয়ার্কশপ, ক্লাসরুম ইত্যাদি ক্ষেত্রে মাল্টিমিডিয়া প্রজেক্টরের ব্যবহার দেখা যায়। প্রজেক্টরের মাধ্যেমে কম্পিউটারে রাখা ডেটা অনেক বড় করে প্রদর্শন করে। সময়ের সাথে প্রজেক্টরেরও পরিবর্তন হয়েছে। আসুন যেনে নিই বাজারে কি ধরনের প্রজেক্টর আসছে।
সিআরটি প্রজেক্টরঃ সিআরটি প্রজেক্টর সর্বপ্রথম টেকনোলজির প্রজেক্টর, যেটা সম্পূর্ণ ট্র্যাডিশনাল সিআরটি টিভি’র ন্যায় কাজ করতো।সিআরটি প্রজেক্ট আকারে অনেক বড় ছিল। তিনটি আলাদা কালারের সবুজ, লাল, এবং নীল স্ক্রীনের উপর ইমেজ তৈরি করার জন্য আলো ছড়াতো।সব আলোর বিন্দু গুলো একত্রিত হয়ে স্ক্রীনের উপর একটি সম্পূর্ণ কালার ইমেজ তৈরি করে। তবে এটি অনেক বেশি ইলেক্ট্রিসিটি খরচ হয়। এটি বর্তমানের এইচডি টিভি, ডিভিডি প্লেয়ারের সাথে কাজ করতে পারে।
এলসিডি প্রজেক্টরঃ এলসিডি প্রজেক্টরের ভেতরে একটি ছোট এলসিডি স্ক্রীন লাগানো থাকে, যেটাতে ইমেজ তৈরি হয়। আর স্ক্রীনের সামনে একটি বিস্তর ম্যাগনিফাইড লেন্স লাগানো থাকে, যেটা ছোট স্ক্রীনের পিকচারের আয়তন বাড়িয়ে দেয়ালে বড় সাইজ ইমেজের সৃষ্টি করে। এলসিডি প্রজেক্টর যথেষ্ট পোর্টেবল হওয়াই সহজেই যেখান সেখানে বহন করা যায়।
ডিএলপি প্রজেক্টরঃ ডিজিটাল মাইক্রোমিরর ডিভাইজ নামক একটি মাইক্রোচিপের সমন্বয়ে ডিএলপি প্রজেক্টর তৈরি করা হয়। এটা উদ্ভবনের পরে লেটেস্ট এলসিডি প্রজেক্টর কেউ আদিম টেকনোলোজি বলে মনে হবে। ডিএলপি প্রজেক্টরের মধ্যে একটি আয়তক্ষেত্রাকার চিপের ডিভাইজ আছে যেটার মধ্যে দুই মিলিয়ন মাইক্রোস্কোপিক আয়না থাকে। এই চিপের মধ্যে থাকা দুই মিলিয়ন ক্ষুদ্র মিরর পিক্সেল হিসেবে কাজ করে। এবং এর মধ্যদিয়ে বিভিন্ন রঙের আলো পরিচালিত করে স্ক্রীনের উপর বড় ইমেজ তৈরি করে। ডিভিডি, ব্লু-রে প্লেয়ার যেকোনো ভিডিও সোর্স থেকে এটি বড় স্ক্রীন প্রজেক্ট হিসেবে ব্যবহার করতে পারবেন।
প্রজেক্টর এর মূল্য ৩২০০ টাকা থেকে ৪৫,০০০ টাকা পর্যন্ত হয়ে থাকে। এখানে থেকে আপনি প্রজেক্টর এর ধরন ও এর মূল্য সম্পর্কে জেনে নিতে পারবেন।