প্রয়েজন থাকলেও প্রিন্টার বহন করা কষ্টসাধ্য ব্যপার। কিন্তু এই ভারী যন্ত্র যদি মোবাইল কিংবা অন্যান্য ডিভাইসের মত হত তাহলে কেমন হতো? ভাবুন তো। বহনযোগ্য প্রিন্টার এখন হাতের নাগালে । এটি সম্ভব করেছে জাপানি প্রযুক্তি পণ্য নির্মাতা প্রতিষ্ঠান ক্যানন। মানুষের ব্যবহারের কথা চিন্তা করে বাজারে এনেছে বহনযোগ্য প্রিন্টার। ক্যানন ১১০ মডেলের এ প্রিন্টারের দাম ২৪ হাজার টাকা। এতে রয়েছে রিচার্জেবল ব্যাটারি। ডিভাইসটি হাতের মুঠোয় নিয়ে স্মার্টফোন থেকে সরাসরি ছবি প্রিন্ট করতে সক্ষম। এইচরি স্পোরকেট নামের বহনযোগ্য প্রিন্টার রয়েছে। ফোনের সাহায্যে এই প্রিন্টার দিয়ে ছবি প্রিন্ট করার জন্য স্পোরকেট নামের অ্যাপ রয়েছে । এই অ্যাপটির মাধ্যমে প্রিন্টারটি থেকে ব্লুটুথের সাহায্যে নিয়ন্ত্রণ করা যায় । ডিভাইসটি থেকে ছবি প্রিন্টিংয়ে এইচপির নিজস্ব জিঙ্ক পেপার ব্যবহার করা হয়েছে। প্রিন্টের জন্য একসঙ্গে ২০টি কিংবা ৫০টি জিঙ্ক পেপার ব্যবহার করা যাবে । এদের রয়েছে নিজস্ব ফটো পেপার । ১৮, ৩৬ এবং ৫৪টি পেপার বক্স পাওয়া যায় বাজারে।
এছাড়া ফুজি ফিল্মের ইনেস্ট্রক্স শেয়ার এসপি-২। এতে ব্যবহার করা হয়েছে লেজার প্রিন্টিং প্রযুক্তি। এখানে রয়েছে বিল্টন চার্জেবল ব্যাটারি। তবে এর জন্যও রয়েছে নিজস্ব পেপার । অনেক সময় ভ্রমণে গুরুত্বপূর্ণ পেপার দরকার হতে পারে । তেমনই একটি প্রিন্টার এইচপি অফিসজেট ২০০। ছোট আকৃতির এই প্রিন্টারের সাহায্যে খুব সহজেই ওয়্যারলেস সংযোগের মাধ্যমে স্মার্টফোন, ট্যাবলেট বা ল্যাপটপ থেকে প্রিন্ট দেওয়া যায়। এতে এইচপি অটো ওয়্যারলেস কানেক্ট প্রযুক্তি ব্যবহার হয়েছে যার সাহায্যে সহজে সেটআপ দেওয়া যায়। এটি হালকা ও ছোট আকৃতির হওয়ায় ব্যাগে করে যে কোনো জায়গায় নিয়ে যাওয়া যায়।
এতে রয়েছে বিল্ট-ইন রিচার্জেবল ব্যাটারি। ফলে প্রিন্টারটি ঘরে, অফিসে কিংবা গাড়িতে চার্জ দিয়ে নেওয়া যায়। ঠিক এমনই আরেকটি প্রিন্টার রয়েছে ইপসন ওয়ার্ক ফোর্স ডব্লিউ-১০০। এই প্রিন্টারটিও ওয়্যালেসের মাধ্যমে ফোন বা ল্যাপটপের সঙ্গে যুক্ত হতে পারে। আকারে ছোট হওয়ায় ব্যাগে বহনযোগ্য। এর সবচেয়ে বড় সুবিধা হচ্ছে, এটা পাওয়ার ব্যাংক দিয়েও চার্জ নিতে পারবেন। এতে রয়েছে ১.৪ ইঞ্চি এলসিডি মনিটর। এছাড়া বাজারে আইস্ক্যান নামে কিছু পোর্টেবল স্ক্যানারও পারেন, যা আপনার প্রয়োজনের সময় সাহায্য করবে। সহজে বহনযোগ্য হওয়ায় এটি এখন অনেক জনপ্রিয়তা পেয়েছে।
তথ্যসূত্র:একুশেটিভি