অন-ডিম্যান্ড ফুড ডেলিভারির বৈশ্বিক প্ল্যাটফর্ম উবার ইটস তাদের প্রথম আয়োজিত ‘ফিউচার অব ফুড’ শীর্ষক সম্মেলনে কিছু নতুন ব্যবসায়িক পরিসংখ্যান প্রকাশ করে:
- বিশ্বব্যাপী উবার ইটস -এর দ্রুততম ক্রমবর্ধমান অঞ্চলগুলির মধ্যে এশিয়া-প্যাসিফিক অঞ্চল একটি
- ২০১৯ এর শুরু থেকে এই উপমহাদেশে উবার ইটসের রেস্টুরেন্ট পার্টনারদের সংখ্যা বেড়ে দ্বিগুণ হয়েছে;
- এই প্ল্যাটফর্মে সক্রিয় গ্রাহকদের সংখ্যা ও ডেলিভারি পার্টনারদের সংখ্যা গত বছরের তুলনায় তিনগুণ হয়েছে; এবং
- উবার ইটস -এর মাধ্যমে এতে থাকা প্রায় ১.৫ মিলিয়ন ভিন্ন ভিন্ন স্বাদের খাবার অর্ডার করার ক্ষেত্রে এশিয়া প্যাসিফিক অন্য যে কোন ভৌগোলিক অঞ্চলের তুলনায় বেশীসংখ্যক অর্ডার দেয়।
দুই দিন ব্যাপী অনুষ্ঠিত এই সম্মেলনটি উবার প্রতিনিধি এবং খাদ্য ও পানীয় শিল্পের উল্লেখযোগ্য প্রতিষ্ঠান যেমন- কোকা-কোলা, ক্যাফে কফি ডে, বার্গার কিং, বাস্কিন রবিনস, গুজম্যান ওয়াই গোমেজসহ এশিয়া প্যাসিফিকের ৩০০টি শিল্পপ্রতিষ্ঠান ও শীর্ষস্থানীয় ব্যক্তিবর্গ নিয়ে আয়োজন করা হয় যেখানে তারা মূল বক্তব্য প্রদান করেন এবং প্যানেল ডিসকাশনে অংশগ্রহণ করেন।
সামিটের সাথে যুক্ত হয়ে ডেলোয়েট “ভবিষ্যতের খাদ্যাভ্যাস: কীভাবে প্রযুক্তি এবং বৈশ্বিক প্রবণতা খাদ্যশিল্পকে পরিবর্তন করে” তার উপর একটি প্রতিবেদন উপস্থাপন করে। গবেষণায় উল্লখযোগ্য প্রধান বিষয়গুলোর মধ্যে প্রযুক্তি আরও বৈচিত্র্যপূর্ণ খাদ্যশৃঙ্খল তৈরির মাধ্যমে কীভাবে খাদ্য ও পানীয় শিল্পের ইকোসিস্টেমকে আরও সমন্বিত এবং পারষ্পরিক নির্ভরশীল করে তুলছে তার উপর আলোকপাত করা হয়। ভোক্তাদের পরিবর্তিত পছন্দগুলোও বিক্রেতাদের মধ্যেকার সীমারেখাগুলো কমিয়ে আনছে যেমন- দোকানদাররা এখন প্রক্রিয়াজাত খাদ্যদ্রব্যও বিক্রি করেন।
রাজ বেরি, রিজিওনাল হেড অব উবার ইটস, এশিয়া প্যাসিফিক বলেন, “বিশ্বের অন্য কোন ভৌগোলিক অঞ্চলের তুলনায় এশিয়া প্যাসিফিকের ভোক্তারা উবার ইটস-এর মাধ্যমে বেশি অর্ডার করে। ২০১৮ সালে আমরা একাই ২৯টি থেকে ৭৫টি শহরে নিজেদের ব্যবসা বিস্তার করেছি এবং আজ আমরা এশিয়া প্যাসিফিকের ৭১,০০০ সক্রিয় রেস্টুরেন্টের সাথে অংশীদারিত্বে আছি। এই ইকোসিস্টেমে অনন্য অবস্থান তৈরি করার মাধ্যমে আমরা আমাদের সম্প্রদায়ের জন্য আরও নতুন মাত্রা যোগ করার উপায় হিসেবে ‘ফিউচার অব ফুড’ সামিটের মাধ্যমে রেস্টুরেন্ট পার্টনারদের যুক্ত করেছি যাতে করে একটি শক্তিশালী নেটওয়ার্কের মাধ্যমে এই শিল্পের জন্য একটি শক্তিশালী ভবিষ্যত গড়ে তোলা যায়।”
এশিয়ার প্রতি তিনজনের একজন গ্রাহক ফুড ডেলিভারি সার্ভিস ব্যবহার করছে। শতকরা ৭ ভাগ গ্রাহক সপ্তাহে একবার খাবার অর্ডার করে। ডেলোয়েটের রিপোর্টে দেখা যায় বাড়ির বাইরে প্রস্তুতকৃত খাবারের জন্য ব্যক্তিগত বাজেটের একটি বৃহত্তর অংশ ব্যয় হয় যার পেছনে স্বাচ্ছন্দ্য একটি বড় ভূমিকা রাখে।
২০২০ সালে এবং সামনের সময়গুলোতে রেস্টুরেন্ট পার্টনারদের কীভাবে আরও ভালো সেবা দেয়া যায়, তার জন্য উবার ইটসও এর প্ল্যাটফর্ম কীভাবে গড়ে তুলবে তা তুলে ধরেছে। প্রাথমিক পর্যায়ে যেসব ক্ষেত্রে পণ্য উন্নয়ন হবে সেগুলো নিম্নরূপ:
- সহজ পিওএস ইন্টিগ্রেশন-এর মাধ্যমে রেস্টুরেন্ট পরিচালনায় দক্ষতা বাড়ানো
- এই বিষয়গুলো নিশ্চিত করার মাধ্যমে আরও গভীর ধারণা দেয়া:
- নিজস্ব এবং ডেলিভারির ক্ষেত্রে গ্রাহকদের মতামত এর সমন্বিত বিবেচনা;
- রেষ্টুরেন্ট পার্টনারদের মুনাফার একটা স্পষ্ট ধারণা দেয়া (বিক্রয়, অর্ডার এর পরিমাণ, টিকেটের আকার) এবং বিভিন্ন সুযোগসুবিধা (বাতিল হয়ে যাওয়া অর্ডার, ভুল অর্ডার, ডাউনটাইম) এবং,
- সেরা বিক্রিত খাবারের তালিকা ও গ্রাহকদের মতামত
- উবার ইটস প্ল্যাটফর্মের নিমরূপ বিপণন সরঞ্জাম প্রস্তুত করা:
- চলমান ক্যাম্পেইন ও প্রচারণা
- অপ্টিমাইজিং এর খরচ মেটানোর জন্য পারফরমেন্স মেট্রিক্স
এই কারণে ভার্চুয়াল রেস্টুরেন্ট প্রোগ্রাম এর সাম্প্রতিক সম্প্রসারণ, আমেরিকাতে ড্রোনের মাধ্যমে ডেলিভারি পাইলট আসার পূর্বঘোষণা, নতুন ডেলিভারির ধরণ, যেমন: সুবিধাজনক স্টোর আইটেম এবং নতুন ডেলিভারি সংক্রান্ত মডেলের সূচনাসহ রেস্টুরেন্টের ডেলিভারি কর্মকর্তারা অর্ডার অনুযায়ী খাদ্য সরবরাহ করার মাধ্যমে উবার ইটসের সাথে তাদের ব্যবসায় উন্নতি করার প্ল্যাটফর্ম তৈরি করা।
প্রথম দিন শেষে, নয়টি বিভাগে প্রথমবারের মত উবার ইটস এশিয়া প্যাসিফিক রেস্টুরেন্ট পার্টনার পুরস্কার ২০১৯-এর বিজয়ীদের নাম ঘোষিত হয়।
- এশিয়া প্যাসিফিক কাস্টমার চয়েস: দ্য কুকি বক্স
- এশিয়া প্যাসিফিক ডেলিভারী পার্টনার চয়েস: লংসাই
- এশিয়া প্যাসিফিক রাইজিং স্টার: ম্যাকডোনাল্ডস
- এশিয়া প্যাসিফিক ফিমেল বিজনেস ওনার অব দি ইয়ার: ব্রোস টোকিও
- এশিয়া প্যাসিফিক মোস্ট ভ্যালুয়েবল প্লেয়ার: বার্গার কিং
- এশিয়া প্যাসিফিক ভার্চুয়াল রেস্টুরেন্ট অব দি ইয়ার: সান কী
- এশিয়া প্যাসিফিক ইনোভেশন: ডোমিনোস পিৎজা
- এশিয়া প্যাসিফিক সাস্টেইনিবিলিটি: গুজম্যান ওয়াই গোমেজ
- এশিয়া প্যাসিফিক মোস্ট পপুলার মেন্যু আইটেম: জনি হট ডগ