অপরাধ ও সাইবার নিরাপত্তা বিষয়ে খুলনা পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটে সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়েছে। ইনস্টিটিউট কর্তৃপক্ষ ও স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন সাইবার ক্রাইম অ্যাওয়ারনেস ফাউন্ডেশনের খুলনা চ্যাপ্টারের যৌথ আয়োজনে ইনস্টিটিউটের সেমিনার কক্ষে রোববার এ আয়োজন হয়। এতে প্রতিষ্ঠানের প্রায় ২০০ শিক্ষার্থী অংশ নেন।
রোববার সকাল ১১টায় ইনস্টিটিউটের অধ্যক্ষ মো. নুরুজ্জামান প্রামাণিক প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে সেমিনারের উদ্বোধন করেন। বিশেষ অতিথি ছিলেন ইনস্টিটিউটের উপাধ্যক্ষ বিকাশ চন্দ্র মন্ডল। সভাপতিত্ব করেন সাইবার ক্রাইম অ্যাওয়ারনেস ফাউন্ডেশনের খুলনা চ্যাপ্টারের আহ্বায়ক জুবাইয়া নওশিন।
সেমিনারে অপরাধ ও সাইবার নিরাপত্তা, তথ্যপ্রযুক্তি আইন ও সাইবার সচেতনতামূলক ক্যাম্পেইন বিষয়ে বিষয়ভিত্তিক আলোচনায় অংশ নেন ঢাকা থেকে আগত সাইবার নিরাপত্তা প্রকৌশলী ও গবেষক মো. মেহেদী হাসান ও সাইবার ক্রাইম অ্যাওয়ারনেস ফাউন্ডেশনের কেন্দ্রীয় কমিটির আহ্বায়ক কাজী মুস্তাফিজ। অনুষ্ঠানের সহযোগিতায় ছিল প্রযুক্তি সেবাদাতা প্রতিষ্ঠান সাইবার প্যারাডাইজ ও হুগলি বিস্কুট কোম্পানি। এছাড়াও মিডিয়া পার্টনার ছিল নিউজপোর্টাল কন্ঠ৭১নিউজ।
অনুষ্ঠানে মেহেদী হাসান বলেন, সাইবার অপরাধের শিকার হয়ে থানা-পুলিশে দৌড়াদৌড়ি করে অনেকে হয়রান হয়ে যান। আদালত কিংবা পুলিশ প্রশাসন অপরাধীর বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেবে। কিন্তু ভুক্তভোগী হয়ে ব্যক্তিগত বা প্রাতিষ্ঠানিকভাবে যেই ধরনের ক্ষতির মুখে পড়তে হয় তা পূরণ করা অসম্ভব হয়ে দাঁড়ায়। এজন্য সাইবার অপরাধ প্রতিরোধে প্রযুক্তি ব্যবহারকারীর সচেতনতাই মূল বিষয়। সচেতনতার মাধ্যমেই কমপক্ষে অর্ধেক পরিমাণ সাইবার অপরাধ নিয়ন্ত্রণ সম্ভব।
তিনি বলেন, ‘ব্যক্তিগত নানা তথ্য যেমন: নাম-ঠিকানা, জন্ম তারিখ, জাতীয় পরিচয়পত্র নম্বর, ফোন নম্বর, নিজের পছন্দ-অপছন্দ, অভ্যাস ইত্যাদি অবাধে আমরা ইন্টারনেটে দিয়ে যাচ্ছি। এগুলোর সুরক্ষার বিষয়ে ব্যবহারকারীরা মোটেই সচেতন নন। নানাভাবে ব্যক্তিগত তথ্যগুলোর অপব্যবহার হয়। সাইবার অপরাধীরা আপনার তথ্য ব্যবহার করে অপকর্ম করতে পারে এবং সেটির কুফল আপনাকে ভোগ করতে হবে। তাই নিরাপদ ইন্টারনেট ব্যবহারে সচেতন হওয়া জরুরি।’
কাজী মুস্তাফিজ বলেন, সমাজে সাইবার সচেতনতায় নেতৃত্ব তৈরির উদ্দেশ্যে ধারাবাহিক কর্মসূচির অংশ হিসেবে এই সেমিনারের আয়োজন করা হয়। ২০২২ সাল নাগাদ বিশ্বে ১৮ লাখ সাইবার নিরাপত্তাকর্মীর ঘাটতি থাকবে। এজন্য বহু দেশ এই খাতে জনশক্তি উন্নয়নের কাজ শুরু করেছে। বাংলাদেশের তরুণরাও এই খাতে অবদান রাখার যথেষ্ট সুযোগ আছে। এজন্য তিনি অভিভাবক ও শিক্ষার্থীদের সাইবার নিরাপত্তায় ক্যারিয়ার গড়ার বিষয়ে উদ্যোগী হওয়ার আহ্বান জানান।