আপনি কি খেয়াল করেছেন? গুগলের লোগোতে ৪টি রঙ ব্যবহার করা হয়েছে। রঙগুলো পর্যায়ক্রমিকভাবে ব্যবহার না করে ‘L’ এর ক্ষেত্রে একটি গৌণ রঙ ব্যবহার করা হয়েছে যা দ্বারা বুঝানো হয়েছে গুগল কোনো গতানুগতিক নিয়ম অনুসরণ করে না।
আমরা যারা ইন্টারনেট ব্যবহার করি তাদের কাছে গুগল একটি জনপ্রিয় সার্চ ইঞ্জিন। আমরা প্রতিনিয়ত গুগলে বিভিন্ন জিনিস সার্চ করে থাকি। গুগলের লোগোতে চারটি রঙ আমরা সবাই দেখেছি। আমরা সবাই কি জানি কেন এই চারটি রঙ ব্যবহার করা হয়েছে?
বর্তমানে ব্যবহৃত গুগলের অফিসিয়াল লোগোটি ডিজাইন করেছিলেন রুথ কেডার। তিনি গুগলের লোগোতে যে চারটি রঙ ব্যবহার করেছেন সেগুলো হল- নীল, লাল, হলুদ এবং সবুজ।
G= নীল / o= লাল / o= হলুদ / g= নীল / l= সবুজ / e= লাল
একটি সাক্ষাতকারে রুথ কেডার বলেছিলেন, গুগলের লোগোতে মৌলিক রংগুলো ব্যবহার করা হয়েছে। কিন্তু রংগুলো পর্যায়ক্রমিকভাবে ব্যবহার না করে ‘L’ এর ক্ষেত্রে একটি গৌণ রঙ ব্যবহার করা হয়েছে যা দ্বারা বুঝানো হয়েছে গুগল কোনো গতানুগতিক নিয়ম অনুসরণ করে না। এছাড়া গুগলের লোগোতে ব্যবহৃত রঙগুলো সম্বন্ধে একটি মজদার ব্যাখ্যা রয়েছে। রঙগুলো তাদের অবস্থান ক্রম নির্দেশ করে যা মৌলিক সংখ্যা হতে পারে আবার নাও হতে পারে।
তাই গুগলের ১, ২, ৩ এবং ৫ নং অক্ষরে একক বা মৌলিক রং (নীল, লাল, হলুদ, সবুজ) ব্যবহার করা হয়েছে; কেননা ১, ২, ৩ এবং ৫ হচ্ছে মৌলিক সংখ্যা। কিন্তু ৪ ও ৬ মৌলিক সংখ্যা নয়; তাই ৪ ও ৬ নং অক্ষরে রঙের (নীল ও লাল) পুনরাবৃত্তি ঘটেছে।
যদি লোগোতে ৭ নং অক্ষর থাকতো তাহলে সেটির জন্য একটি নতুন একক রঙ ব্যবহার করা হত। কারণ ৭ একটি মৌলিক সংখ্যা। এভাবে ৮, ৯ এবং ১০ নং অক্ষরে পর্যায়ক্রমিকভাবে আবার পূর্বের রংগুলোর (হলুদ, সবুজ এবং ৭ নং অক্ষরে ব্যবহৃত রঙ) পুনরাবৃত্তি ঘটতো। কিন্তু ১১ মৌলিক সংখ্যা হওয়ায় এর জন্য আবার নতুন একক রঙ ব্যবহার করা হত এবং এভাবেই চলতে থাকতো।