সবাই সাশ্রয়ী দামে ভালো ফোন কিনতে চাই। কিন্তু এর জন্য বিশ্বস্ত ব্র্যান্ড স্যামসাং ছাড়া আর কে আছে? সম্প্রতি দেশের বাজারে বিক্রির জন্য এসেছে স্যামসাং গ্যালাক্সি এম১০। কেনো আসলে গ্যালাক্সি এম১০-এর কথা বলা? ফোন কেনার আগে যে বিষয়গুলো আসলে মাথায় আসে তা হলো- ব্র্যান্ড, মান, ডিসপ্লে, ক্যামেরা এবং বাজেট। মিলেনিয়ালসরা কিন্তু এগুলোই ভেবে ফোন কিনতে যায়।
গ্যালাক্সি এম১০ নিয়ে এতো হৈ-হুল্লোড় কেনো?
মিলেনিয়ালসরা ইন্টারনেটে সময় ব্যয় করে সবচেয়ে বেশি। আর সেটিকেই কাজে লাগিয়েছে স্যামসাং বাংলাদেশ ও পিকাবু ডট কম। অনলাইনে অগণিত ক্রেতা ফোনটির জন্য অর্ডার দিয়েছেন যা দেশের ইতিহাসে রেকর্ড বলা যেতে পারে। গ্যালাক্সি এম১০-এর দুটি সংস্করণের মধ্যে ২জিবি র্যাম ও ১৬জিবি রমের সংস্করণটি দেশের বাজারে এনেছে স্যামসাং বাংলাদেশ। খুচরা মূল্য মাত্র ১১,৯৯৯ টাকা হলেও বিশেষ অফারে বর্তমানে গ্যালাক্সি এম১০ ক্রয় করা যাচ্ছে মাত্র ১০,৯৯৯ টাকায়।
এত কম দামে ডিভাইসটিতে সন্তোষজনক ক্যামেরা দিয়েছে দক্ষিণ কোরিয়াভিত্তিক প্রতিষ্ঠানটি। ডুয়েল রিয়ার ক্যামেরার সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য ফিচার হচ্ছে এর ওয়াইড-অ্যাঙ্গেল লেন্স। গ্রুপে ছবি তুলতে গেলে কিংবা ল্যান্ডস্ক্যাপ ফুটেজ নিতে গেলে প্রশ্বস্ত জায়গা নেয়ার ক্ষেত্রেই ঝামেলা বাঁধে। তখন কোনো না কোন অংশ বাদ পড়ে যায়। এ সমস্যা অনায়াসে দূর করে দেয় ডিভাইসটির ১২০ ডিগ্রির ওয়াইড-অ্যাঙ্গেল লেন্স। এছাড়া এফ১.৯ অ্যাপারচারের ১৩ মেগাপিক্সেলের মূল লেন্স ছবিকে করে আরো বেশি প্রাণবন্ত। সেলফিপ্রেমিদেরও হতাশ করেনি স্যামসাং। দেয়া হয়েছে এ২.০ অ্যাপারচারের ৫ মেগাপিক্সেলের ফ্রন্ট ক্যামেরা।
ডিসপ্লের দিক দিয়ে বরাবরের মতো স্যামসাং অন্য সবার থেকে এগিয়ে থাকার চেষ্টা করে, আর এখানেও তার ১৯-২০ ঘটেনি। ডিভাইসটিতে প্রথমবারের মতো ওয়াটার ড্রপ নচ ডিসপ্লে প্রযুক্তি ব্যবহার করেছে স্যামসাং। ফোনটির ৬.২২ ইঞ্চির এইচডি+ ইনফিনিটি-ভি ডিসপ্লে এক কথায় চমৎকার। যারা ক্ল্যাশ অব ক্ল্যান, ক্যান্ডি ক্র্যাশ কিংবা ফুটবল স্ট্রাইক গেম খেলতে কিংবা ইউটিউব ও নেটফ্লিক্সে হাই ডেফিনেশন ভিডিও দেখতে পছন্দ করেন তারা দুর্দান্ত ডিসপ্লের অভিজ্ঞতা উপভোগ করতে পারবেন।
স্বল্প বাজেটের গ্যালাক্সি এম১০
স্বল্প বাজেটের মধ্যে স্যামসাং ব্যবহারকারীদের জন্য ফোনটিতে দিয়েছে ১.৬ গিগাহার্টজের এক্সিনস ৭৮৭০ অক্টা-কোর প্রসেসর। এছাড়া র্যাম ও রমের ক্ষেত্রে ফোনটিতে রয়েছে যথাক্রমে ২জিবি র্যাম ও ১৬জিবি রম, যদিও মাইক্রোএসডি কার্ড যুক্ত করে ডিভাইসটির মেমোরি বাড়ানো যাবে। ফোনটিতে একই সময়ে জনপ্রিয় সব অ্যাপ ব্যবহার ও গেম খেলা যায় কোনো ধরনের ল্যাগ ছাড়াই। এর প্রসেসিং ইউনিট খুব দ্রুত ও দক্ষতার সাথে কর্ম সম্পাদনে সক্ষম। ফোনটিতে প্রসেসর, র্যাম ও রমের সমন্বয় ঘটানো হয়েছে সাবলিলভাবে।
এই ফোনে স্যামসাং ব্যবহার করেছে অ্যান্ড্রয়েড ওরিও ৮.১.০ ভিত্তিক ভিন্নধর্মী ও দ্রুত গতির স্যামসাং ইউজার এক্সপিরিয়েন্স (ইউএক্স)-এর ৯.৫ সংস্করণ। স্যামসাং ইউজার এক্সপিরিয়েন্স (ইউএক্স)-এর ৯.৫-এর বিশেষ দিক হচ্ছে এটি অত্যন্ত হালকা, ফলে ফোনের ব্যাটারি খরচ হয় অনেক কম। বলা বাহুল যে, ইউএক্সটি সাজানো হয়েছে মিলেনিয়ালসদের ট্রেন্ডি ফ্যাশনের বিষয়টিকে মাথায় রেখে।
ফোনটিতে দেয়া হয়েছে ৩,৪০০ মিলিঅ্যাম্পিয়ার ব্যাটারি এবং এতে সফটওয়্যারের সমন্বয় এমনভাবে করা হয়েছে যাতে পুরোদমে ব্যবহারের ক্ষেত্রেও ব্যবহারকারী পাবেন বাধাহীণ অভিজ্ঞতা।
সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য বিষয় হচ্ছে স্যামসাং গ্যালাক্সি এম১০-এর দাম। এই দামে বিশ্বখ্যাত একটি ব্র্যান্ডের স্মার্টফোন হাতে পেতে ক্রেতারা হুমড়ি খেয়ে পড়বে সেটিই স্বাভাবিক।