অনেকেই গ্রাফিকস ডিজাইন শিখতে চান। তা চাইতেন পারেন। বতমান বিশ্বে সবচেয়ে চাহিদা সম্পন্ন একটি খাত। বাংলাদেশের ফ্রিল্যান্সারদের এ খাতে ভালো করার উদাহরণ আছে। ডাক টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার বলছিলেন, এ খাতটি আরও চাহিদাসম্পন্ন হবে দেশ বিদেশে। ঘরে বসে মেয়েরাও এটি শিখতে পারেন। এ ক্ষেত্রে সরকারি নানা সুযোগ সুবিধা পাওয়া যাবে। তো কেমন করে কিভাবে শিখবেন গ্রাফিকস ডিজাইন?
শুরু করি, একেবারে প্রথম থেকে। আগে মন ঠিক করুন যে গ্রাফিকস ডিজাইন শিখবেন। এরপর ধৈয্য ধরা শিখুন। মনে করবেন, এক লাফে, একদিনে বা একমাসে আপনি ডিজাইনার হবেননা। আপনার কমপক্ষে ছয় মাস খেকে এক বছরের নিবিড় সাধনা আর অক্লান্ত পরিশ্রম লাগবে। সেই সঙ্গে থাকতে হবে অমিত কল্পনা। আঁকার হাত, কালারের সেন্স। ধরে নিলাম এগুলো সব আপনার আছে।
এরপরের কাজ হবে আপনার অনেক লেখাপড়ার মনোনিবেশ কড়া। ডিজাইন নিয়ে পড়াশোনা। পারলে কোনো আট শেখা। এগুলো আপনার গ্রাফিকস শিখতে দারুণ কাজে লাগবে।
আপনার বেশ কিছু ইনভেস্ট লাগবে। সময়ের কথা আগেই বলেছি। লাগবে কিছু টাকা পয়সা। ট্রেনিং বাবদ কিছু যাবে। ভালো ডেস্কটপ, ল্যাপটপ, নেট দ্রুতগতির লাগবে। যে পিসিতে অ্যাডোব ইলস্ট্রেটরের একেবারে নতুন সংস্করণ (সিসি ২০১৭), ফটোশপ, ইনডিজাইন চলবে এমন পিসি হতে হবে।
ধরে নিলাম এগুলো রেডি, এবার তাহলে প্রস্তুত হন।পিসিতে সফটওয়্যারগুলো ইনস্টল করে নিন। যাঁরা আসল পাবেন না, তারা অন্তত ক্র্যাক দেওয়া শিখতে পারেন। সফটওয়্যার যেন ঠিকমতো চলে সেটি নিশ্চিত হন।
গাফিক্স ডিজাইন কোথায় শিখবেন এবং কোথায় কাজ করবেন? দুই ভাবে শিখতে পারেন।
মনে রাখবেন, আপনিই আপনার শিক্ষক। আপনি না শিখলে কেউ শেখাতে পারবে না। এজন্য নিজে শেখা গুরুত্বপূণ। শেখার পদ্ধতি:
১। অনলাইন
২। অফলাইন
অনলাইন শেখাটাকে গুরুত্ব দিন: এখন ইউটিউবসহ বিভিন্ন টিউটোরিয়ালে গ্রাফিকসের খুঁটিনাটি দেওয়া আছে। যারা ইংরেজি পারেন, অবশ্য আপনাকে ইংরেজি টাও শিখতে হবে প্রচুর। কারণ গ্রাফিকসের অনেক টাম আছে ইংরেজিতে। এগুলো একেবারে বেসিক থেকে শুরু করতে পারেন।যখন কোনো কিছুতে আটকে যাবেন গুেগলের সাহায্য নিন। বা পরিচিত যিনি পারেন তার সাহায্য নিন। করি,এখনকার google.com এ Graphic Design Tutorial লিখে জাস্ট সার্চ দিয়ে দেখুন। কত শত শত Tutorial আপনার জন্য আপেক্ষা করছে। বেছে নেবার দায়িত্ব আপনার। এছাড়া অনেক অনেক international মানের institute আছে, যারা অনলাইন এর মাধ্যমে ট্রেনিং দিচ্ছে সাথে সারটিফিকেট ও। যেটা marketplace গুলোতে কাজের জন্য খুব দরকার। আজকে এরকম কিছু সাইটের url-link নিচে দেওয়া হল। আশা করি আপনাদের উপকারে আসবে।
Online Graphic Design Courses for Beginners
https://www.edx.org/
https://www.lynda.com/
http://www.infiniteskills.com/graphic-design-training/
http://www.skilledup.com/courses/indesign-cc-essentials.118605
http://kelbyone.com/course/cbarker_ccillustrator_beyondbasics/
http://www.ed2go.com/
http://tutsplus.com/
http://www.digitaltutors.com/tutorial/721-CG101-Graphic-Design
https://www.udacity.com/
https://www.creativelive.com/design
এগুলো বুঝতে অসুবিধা হলে ইউটিউব ভিডিও দেখা শুরু করতে পারেন। ধারাবাহিকভাবে ভিডিও দেখে চচা করতে থাকুন। বাজারে ইলাস্ট্রেটরসেহ বিভিন্ন ডিজাইনের জন্য বই ও সিডি আছে। সেগুলো দেখেও শিখতে পারেন।
তবে, প্রথমে কোন ট্রেনিং সেন্টার বা প্রশিক্ষকের অধীনে শিখলে ভালো শেখা যায়। অনেক প্রতিষ্ঠান আছে, যারা সত্যি আন্তরিক ভাবে শেখায়। এছাড়া সরকারি ভাবে বেশ কিছু scholarship ছাড়া হয়, বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান এর মধ্যমে। ভর্তি প্রক্রিয়া তুলনামুলুক সাহজ। খোঁজ-খবর রেখে চেষ্টা করে দেখতে পারেন।
গ্রাফিক্স ডিজাইনের কাজ শিখতে হলে প্রথমত আপনাকে প্রচুর ধৈর্য ধরতে হবে । ভালোভাবে গ্রাফিক্স ডিজাইন শিখতে চাইলে কোন ট্রেনিং সেন্টারে কোর্স করতে পারেন । এতে আপনার পক্ষে বিষয়টা একটু সহজ হবে তবে প্রচুর পরিমাণে অর্থ ব্যয় হবে। আর যদি আপনি নেট ঘেটে বিভিন্ন টিউটোরিয়েল পড়ে শিখতে চান তবেও সম্ভব এর জন্য আপনাকে ইংরেজিতে দক্ষ হতে হবে কারন এগুলোর টিউটোরিয়েল ইংরেজিতেই বেশি পরিমাণে থাকে । যদি ইংরেজি না পারেন তবে দেরি না করে, এখন থেকেই ইংরেজি শেখা শুরু করে দিন । গ্রাফিক্স ডিজাইন শেখার নেটে প্রচুর ইংরেজি টিউটোরিয়াল পাবেন । কিন্তু যদি আপনি গ্রাফিক্স ডিজাইনের কিছু না পারেন তাহলে http://Psd.Tutsplus.com এই সাইটি থেকে শেখা শুরু করতে পারেন । তাছাড়াও ইউটিবে সার্চ করে অনেক ভিডিও টিউটোরিয়াল পাবেন । সেগুলো দেখাও শেখতে পারবেন তবে আপনাকে প্রচুর পরিশ্রম, ধৈর্য, সময় ব্যয় করতে হবে এর পিছনে ।
অফলাইন
ট্রেনিং করবেন তো কোথায়? আসলে নির্দিষ্ট করে গ্রাফিকস ডিজাইনের প্রতিষ্ঠানের নাম বলা কঠিন। সব প্রতিষ্ঠানেই কিছু না কিছু কোনো না কোনোভাবে শেখায়। কারোটা সহজ আবার কারোটা একটু জটিল। ট্রেনার ভালো হলে খুব ভালো শেখা যায়। পরে নিজে ট্রেনার পর্যন্ত হওয়া যায়।
এখন ঢাকা শহর সহ দেশের আনাচে-কানাচে আনেক গ্রাফিকস ডিজাইন ট্রেনিং দেওয়া হয়। প্রতিটি শহরে মফস্বলেও আছে ট্রেনিং পাঁচ হাজার ২০,০০০ টাকায় শিখতে পারেন। মানসম্মত ট্রেনিং পেলে এবং নিজের চেষ্টায় নতুন নতুন কাজ করতে থাকুন। শুরুতেই টাকার পেছনে ছুটবেন না। ডিজাইনে পারফেকশন আনার লক্ষ্য হওয়া উচিত। টাকা আপনার পেছনে ছুটবে।
সরকারিভাবে জেলা শহরের বিভিন্ন প্রশিক্ষণ কেন্দ্রগুলোতে গ্রাফিকস শেখানো হয়। ট্রাই করতে পারেন। তবে সবচেয়ে ভালো প্রাথমিকভাবে গ্রাফিকস শেখার বেসিসের বিআইটিএম। সরকারি এসইআইপি প্রজেক্টের অধীনে থাকায় প্রশিক্ষণ আবার টাকাও পাওয়া যায়। তবে এখানে ভর্তির জন্য আগে অনলাইনে অ্যাপ্লাই করতে হয়।প্রতিযোগিতা বেড়ে গেছে। অনেক দেরিতে ডাকে। ট্রাই করতে পারেন https://bitm.org.bd/seip/seip লিংক থেকে। এরপর গ্রাফিকসের জন্য ক্রিয়েটিভ আইটি (https://www.creativeit-inst.com/) ভালো শেখায়। ট্রাই করতে পারেন http://coderstrustbd.com/ সাইটে। অনেক প্রতিষ্ঠান অনলাইনে শেখায়। সেগুলো গুগলে দেখে নিতে পারেন। এ প্রতিষ্ঠানের তালিকা পরে আরও বড় করে আপডেট করব।
এবার আসি গ্রাফিকস ডিজাইনের কথায়
রঙের ওপর নির্ভর না করে শুধু মনের নান্দনিকতাকে বিভিন্ন পরিকল্পনা বা নকশার মাধ্যমে উপস্থাপন করার নামই গ্রাফিক্স ডিজাইন। খুব সাধারণ সংজ্ঞায় বলতে চাইলে, কোনো আঁকা ছবি, ইমেজ কিংবা অক্ষর শিল্পকেই গ্রাফিক্স ডিজাইন বলে।
কোনো সৃজনশীল কাজের প্রাথমিক যে খসড়া রচিত হয়, তার পুরোটাই গ্রাফিক্স ডিজাইনের প্রধান ক্ষেত্র। কোনো কিছুকে শিল্পসম্মতভাবে পরিবেশন করতে গ্রাফিক্সের বিকল্প নেই। গ্রাফিক্সের কাজ করতে গেলে ডিজাইনটিকে অবশ্যই ছাপা উপযোগী করে তৈরি করতে হবে।
আপনাকে মনে রাখতে হবে, গ্রাফিক ডিজাইনের সফল পরিসমাপ্তিই হচ্ছে কাগজ কিংবা ভার্চুয়াল পাতায় এটির প্রকাশ পাওয়া। এজন্য কাগজ কিংবা ওয়েবসাইটের বিভিন্ন মাপজোখ সম্পর্কে ধারণা থাকতে হবে। তবে প্রথমেই ভয় পাওয়ার কিছু নেই, কাজে নেমে হাতে-কলমে করতে করতে ব্যাপারগুলো এমনিতেই আপনার আয়ত্তে এসে যাবে। আর কাজ শিখলে দেশে-বিদেশে অসংখ্য ক্ষেত্রে কাজ করা যাবে।
এছাড়া আউটসোর্সিং পেশায় সবচেয়ে বেশি চাহিদা রয়েছে এ গ্রাফিক্স ডিজাইন পেশায়।
কাজের ক্ষেত্র
গ্রাফিক ডিজাইন ব্যাপারটির সঙ্গে বাণিজ্যের একটা ওতপ্রোত সম্পর্ক রয়েছে। কাজটা শেখা মাত্রই আপনার সামনে উপার্জনের নানা পথ উন্মোচিত হয়ে পড়বে।
বর্তমান যুগের কোনো জিনিসটির সঙ্গে গ্রাফিক্স ডিজাইনের কোনো যোগসূত্র নেই খুঁজে পাওয়া মুশকিল। আমাদের পরিধেয় কাপড়-চোপড় তৈরি থেকে শুরু করে বাড়ি-গাড়ি, পণ্যের মোড়ক, টাইলসের কারুকার্য, মডার্ন পেইন্টিং, বুক কভার, স্টিকার, বিজ্ঞাপন, ক্যালেন্ডার, সফটওয়্যার ডিজাইন, ওয়েব ডিজাইন, এনিমেশন, টেক্সটাইল ডিজাইন ইত্যাদি সব কাজেই গ্রাফিক ডিজাইন অনস্বীকার্য। চাইলেই যে কোনো অফিস, ব্যাংক-বীমা, প্রিন্ট ও ইলেক্ট্রনিক মিডিয়া, বিজ্ঞাপনী সংস্থা ও বিভিন্ন কর্পোরেট হাউসগুলোতে চাকরি পেয়ে যেতে পারেন। আবার কারও অধীনে কাজ না করতে চাইলে ফ্রিল্যান্সিংও করতে পারবেন আপনি।
গ্রাফিক্স ডিজাইনে চাকরি আছে: জুনিয়র লেভেলে ১০ হাজার টাকা থেকে শুরু হয়। এক বছর কোনো রকম লেগে থাকতে পারলে ১ লাখ পর্যন্ত বেতন হবে। চাকরির ওয়েবসাইটে (বিডিজবস, চাকরি ডটকম) ক্রিয়েটিভ আর ডিজাইন সেকশন কয়েকদিন খেয়াল করুন।
কাজ পাবেন: আপওয়াক সহ ফ্রিল্যান্সিং মাকেটপ্লেসগুলোতে
বড় ডিজাইন প্রতিযোগিতায় অংশ নিয়ে বড় প্রজেক্ট পাবেন
এ ছাড়া এথন সব প্রতিষ্ঠানেই ডিজাইনারের চাহিদা আছে। বিশেষ করে যাঁরা ডিজাইনের পাশাপাশি ইংরেজিতে প্রেজেন্টেশন দিতে পারেন এবং কনটেন্ট লিখতে পারেন তাঁরা লাখ টাকা পযন্ত বেতন পাবেন শুধু দেশে। বিশ্বাস না হলে, একবার বিডিজবস ডটকম ও চাকরি ডটকমে চেক করে আসুন।
ইন্টারনেটের মাধ্যমে আপনার করা যে কোনো ডিজাইন, হতে পারে সেটা একটা ভিজিটিং কার্ড, বিক্রি হতে পারে হাজার ডলারে। আর টাকার বিনিময়ে কারও কাজ করে দেয়ার সুযোগ তো থাকছেই।
পড়াশোনা: ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা অনুষদের গ্রাফিক ডিজাইন বিভাগ আপনার প্রথম পছন্দ হতে পারে। এছাড়া সরকারি গ্রাফিক আর্টস ইন্সটিটিউট অনেক আগে থেকেই সুনামের সঙ্গে গ্রাফিক্সের ওপর শিক্ষা দিয়ে আসছে। বেসরকারি অনেক বিশ্ববিদ্যালয়ে এখন গ্রাফিকসে পড়ার সুযোগ আছে।
শুরু করবেন কিভাবে:
ফটোশপ ডিজাইন তৈরি শেখাটাই হতে পারে এই শিক্ষার প্রথম ধাপ। ফটোশপে শেখা যায় কিভাবে বিভিন্ন ছবির নানা অংশ কেটে-ছেঁটে নতুন ক্যানভাসে মাস্ক করে ছবি তৈরি করতে হয়; বিভিন্ন ইফেক্ট, যেমন—সেডিং, কনট্রাস্ট নিয়ন্ত্রণ, আলো ও রাত নিয়ন্ত্রণসহ ছবির ব্যাকগ্রাউন্ড বানানো; ছবির বিভিন্ন অংশের ওপর লেখা, মিডিয়া ও অন্যান্য রঙের প্রলেপে আবহ তৈরি; গ্রাফিক্স পেইজকে স্লাইস করা এবং এসবের সমন্বয় করা হয় সফল গ্রাফিক্স সম্পাদনার মাধ্যমে।
স্টাইল সিট শিখতে পারলে ওয়েব ডিজাইনিং অনেকটাই শেখা হয়ে যায়।
যেকোনো কিছু ছাপানোর ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে অ্যাডোব ইলাস্ট্রেটর।
আউটসোর্সিংয়ে খুব ব্যবহৃত হয় ইন ডিজাইনিং। এটি ব্যবহার করে ওয়েব পেইজের রূপরেখা সম্পাদন; লেখা, রং ও গ্রাফিক্স মিডিয়ার প্রয়োগে দারুণ পেইজ ডিজাইন করা সম্ভব। বলা বাহুল্য, ওডেস্কে এ ক্ষেত্রেই সবচেয়ে বেশি কাজের সুযোগ রয়েছে।
গ্রাফিক্স ডিজাইনিংয়ের পাশাপাশি অ্যাডোব ফ্লাশ অ্যানিমেশন শিখে নিতে পারলে হয়ে ওঠা যাবে স্বয়ংসম্পূর্ণ পেশাদার গ্রাফিক্স ডিজাইনার। মাল্টিমিডিয়া অ্যানিমেশনের কাজ হলো—কিভাবে ফ্রেম তৈরি করতে হয়; ফ্রেমে বিভিন্ন মিডিয়ার সংযোজন; টেক্সট, গ্রাফিক্স ও মিডিয়ার সঙ্গে সময়ের সফল নিয়ন্ত্রণ, যাতে ফুটে ওঠে অ্যানিমেশনের জীবন্ত প্রতিরূপ; নানা ধরনের অ্যাফেক্ট সংযুক্ত করে অ্যানিমেশনকে বাস্তবের ছোঁয়া দেওয়া। কম্পিউটার গেইম, শিক্ষামূলক সফটওয়্যার ও ইন্টারনেটভিত্তিক মিডিয়া তৈরিতে এই অ্যাডোব ফ্ল্যাশ অ্যানিমেশনের জুড়ি মেলা ভার।
এবার তাহলে জেনে নেই গ্রাফিক্স ডিজাইন দ্বারা যে কাজ গুলো সচরাচর করা হয়
ফটো এডিটিং, রিটাচিং, ম্যানিপুলেশন, লোগো ডিজাইন, ওয়েব টেমপ্লেট, বাটন, ব্যানার, অ্যাড ব্যানার, বিজনেস কার্ড, বুক ডিজাইন, বশিউর, বিলবোড, প্যাকেজিং, পোস্টার, ম্যাগাজিন লেআউট, নিউজপেপার, কাড, পোস্টকাড, ফ্লায়ার
ডিজাইনার এর কি কি বিষয় আসলেই জানা উচিত একজন?
গ্রাফিক বা ওয়েব ডিজাইনার হতে হলে অবশ্যই আপনাকে কিছু থিওরি জানতে হবে। অবশ্য খালি জানলেই হবেনা বুঝতে ও হবে। তবে আগে জানুন। কারন আপনি একটা থিউরি পড়লেন কিন্তু বুঝলেন না। যদি আপনার সিনিয়র কোন ডিজাইনার এর সাথে পরিচয় থাকে তার সাথে আলাপ করুন। বা ইন্টারনেট এ ঘাটাঘাটি করুন।
গ্রাফিক ডিজাইন কি?
গ্রাফিক ডিজাইন কি আতা ভাল ভাবে বুঝার জন্য আগা জানতে হবে Visual Communication কি। কেননা গ্রাফিক ডিজাইন টা Visual Communication এর একটা পার্ট। Visual Communication হল চোখ / EYE এর মাধ্যমে যোগাযোগ করা বা কোন তথ্য শেয়ার করা একটা নির্দিষ্ট জনগোষ্ঠীর সাথে। আপনি টিভি দেখেন, ছবি তুলেন কেমরা দিয়ে, সাইন বোর্ড দিয়ে আপনার পন্নের বিজ্ঞাপন দেন, সুন্দর বিয়ের কার্ড দিয়ে প্রিয় জনকে বিয়েতে দাওয়াত করেন – এগুলো সব এ হল Visual Communication। তো Visual Communication এরি একটা পার্ট হচ্ছে গ্রাফিক ডিজাইন। গ্রাফিক ডিজাইন এর নামকরন হয়েছিল গ্রাফ থেকেই। আমরা স্কুল এ পরার সমই গ্রাফ করেছি যার প্রধানত ২ টা exis থাকে। কম্পিউটার এ আপনি যখন কোন ডিজাইন করেন কম্পিউটার আপনার ডিজাইন element এর অবস্থান হিসেব করে এই গ্রাফ আর মাধ্যমে। এই খান থেকেই গ্রাফিক ডিজাইন এর নাম করন।
প্রিন্ট / ওয়েব মিডিয়া কি?
গ্রাফিক বা ওয়েব ডিজাইন এর ক্ষেত্রে মিডিয়া মুলত ২ প্রকার। একতা হল প্রিন্ট মিডিয়া এবং অন্য টা হল ওয়েব মিডিয়া। আপনার জেই ডিজাইন টা প্রিন্ট হবে সেটা আপনাকে অবশ্যই প্রিন্ট মিডিয়া র জন্য রেডি হতে হবে। অর্থাৎ কোন ডিজাইন প্রিন্ট দেবার জন্য একটা নিরদিস্থ কালার সেটিংস্ এবং রেজোলিউশান লাগে। আবার ওয়েব মিডিয়া র জন্য যখন আপনি ডিজাইন করবেন তখন ওয়েব বা স্ক্রীন মিডিয়া উপযুক্ত ডিজাইন করতে হবে যার কালার সেটিংস্ এবং রেজোলিউশান প্রিন্ট মিডিয়া থেকে সম্পূর্ণ ভিন্ন। ওয়েব মিডিয়া তে কাজ করতে হলে আপনাকে ডিজাইন করতে হবে ৭২ ডিপিআই বা 72 Pixels/Inch তে। আর ওয়েব মিডিয়া র জন্য কালার mode হল RGB (Red, Green, Blue). অন্যদিকে প্রিন্ট মিডিয়া র জন্য আপনাকে ডিজাইন করতে হবে ৩০০ ডিপিআই বা 300 Pixels/ Inch তে। প্রিন্ট মিডিয়া র কালার mode হল CMYK (Cyan, Magenta, Yellow and Key Color) .এসব সম্পর্কে ধারনা পরিস্কার হবার জন্য Color Theory পড়তে হয়।
72 DPI বা 72 Pixels/Inch কি? আবার 300 DPI বা 300 Pixels/ Inch ই বা কি?
পিক্সেল বলতে কোন গ্রাফিক ছবির ক্ষুদ্রতম অংশ বা বিন্দুকে বোঝায়। মানব দেহ যেমন অগনিত কোষ এর দ্বারা তৈরি, একটি স্ক্রীন ডিজাইন ও অনেক গুলো পিক্সেল দ্বারা তৈরি। পিক্সেল দেখতে বরগক্ষেত্রের মত। তাহলে 72 Pixels/Inch হল ১ ইঞ্চি তে ৭২ টা পিক্সেল।অনুরুপ 300 Pixels/ Inch হল ১ ইঞ্চি তে ৩০০ টা পিক্সেল। পিক্সেল কে ডট ও বলা হয়। DPI হল Dot Per Inch. ১ ইঞ্চি তে পিক্সেল এর ঘনত্ব যত বেশি হবে একটি ছবি বা স্ক্রীন ডিজাইন ততই ভাল কোয়ালিটির হবে।
আপনারা দেখে থাকবেন, ডিজিটাল ক্যামেরা গুলতে মেগা পিক্সেল হিসেবে ক্যামেরা এর দাম নিরধারন হয়। এই মেগা পিক্সেল হল ১*১০০০ পিক্সেল = ১ মেগাপিক্সেল এবং অনুরুপ ভাবে ১২ মেগা পিক্সেল মানে ১২০০০ পিক্সেল। অর্থাৎ কোন ১২ মেগা পিক্সেল এর ক্যামেরা দিয়ে ছবি তুললে, ঐ ছবিটার প্রতি বর্গইঞ্চি তে ১২০০০ টা পিক্সেল থাকবে। তাহলে স্বাভাবিক কারনেই ছবিটার কুয়ালিত্য ভাল হবে।
এই হল pixel এর প্রাথমিক ধারনা যা একজন ডিজাইনার এর না জানলেই নয়। পিক্সেল সম্পর্কে না জানলে ওয়েব এ কাজ করতে পারবেন না। প্রিন্ট ডিজাইন এ সাধারনত আমাদের দেশে ইঞ্চি একক টা বেশি ব্যাবহার হয়। তাই প্রিন্ট এ কাজ করতে গেলে পিক্সেল এর ধারনা খুব একটা হইত কাজে লাগেনা কিন্তু ওয়েব এ প্রতিটা পিক্সেল এর গুরুত্ব অনেক।
কি কি Theory জানতে হবে ?
- History of Design/Graphic design or History of ART.
- Different Design/Art Movements
- Color Theory
- Typography
- Principles of Design
- Modern Graphic/Web design trends
- Grid based design theory
- Principles of UI (User Interface) Design or UX (User Experience Design)
- Usability Rules
গ্রাফিক্সি ডিজাইনের দুনিয়া অনেক বড়। একজ শিল্পী, একজন ডিজাইনার নিজের মতো করে জগত তৈরি করেন। যত সুন্দর তিনি করতে পারেন তাঁর জগতটাকে, তার কি কোনো কিছুর অভাব হয়?
তথ্যসূত্র: বিভিন্ন অনলাইন সূত্র।
৫ comments
[…] তো মেয়েদের জন্য দারুণ উপযোগী। গ্রাফিকস ডিজাইনের গাইডলাইন নিয়ে টেকজানোতে লেখা প্রকাশের পর […]
[…] তো মেয়েদের জন্য দারুণ উপযোগী। গ্রাফিকস ডিজাইনের গাইডলাইন নিয়ে টেকজানোতে লেখা প্রকাশের পর […]
[…] হতে চান? ওয়েব ডিজাইন ও গ্রাফিকস ডিজাইনের ট্রেনার হওয়ার ভালো সুযোগ। অর্থ মন্ত্রণালয়ের […]
vary good info..
‘Electric Counselor’ is all about helping you and millions of others like you. Here we talk about everything from top to bottom about different electrical tools . If you want to know more visit http://www.electriccounselor.com