২০১৯ সালের প্রথম ছয় মাসে গ্রামীণফোনের রাজস্ব আয় দাড়িয়েছে ৭০৯০ কোটি টাকা যা গত বছরের একই সময়ের তুলনায় ১০.৬% বৃদ্ধি পেয়েছে। একই সময়ে ৮.৯% বেড়ে মোট গ্রাহকের সংখ্যা দাড়িয়েছে ৭ কোটি ৫৩ লাখ।
প্রথম ছয় মাসে প্রতিষ্ঠানটির নেটওয়ার্কে ১৩ লাখ নতুন গ্রাহক যোগ দিয়েছে যেটি ২০১৮ সালের শেষ প্রান্তিকের তুলনায় ৩.১% বেশি। একই সময়ে গ্রামীণফোন ১৬ লাখ নতুন ইন্টারনেট গ্রাহক পেয়েছে। গ্রামীণফোনের মোট গ্রাহক সংখ্যার মোট ৫২.৮% এখন ইন্টারনেট ব্যবহার করছে।
গ্রামীণফোনের সিইও মাইকেল ফোলি বলেন, “চ্যালেঞ্জিং ব্যবসায়িক পরিবেশ থাকা সত্বেও ২০১৯ সালের প্রথম ছয় মাসে শক্তিশালী ফলাফল অর্জন করেছি। এ সময়ে আমরা ফোরজি নেটওয়ার্ক সম্প্রসারণ ও আধুনিকায়নে গুরুত্ব দিয়েছি। জুন মাসের শেষ নাগাদ বাংলাদেশের ৬২% জনসংখ্যা গ্রামীণফোনের ফোরজি নেটওয়ার্কের আওতায় এসেছে। নতুনভাবে সম্পুরক শুল্ক আরোপ করায় গ্রাহকদের সুবিধার্থে আমরা আমাদের সেবাগুলোর পুর্নবিন্যাস করেছি। ভয়েস ও ইন্টারনেট ব্যবহারে আমরা ভালো প্রবৃদ্ধি দেখেছি। এই সময়ে প্রতি গ্রাহকের মোবাইল সেবা ব্যবহারও বৃদ্ধি পেয়েছে।” তিনি আরও বলেন, “ভবিষ্যতেও আমরা আমাদের শেয়ার হোল্ডাদের স্বার্থ রক্ষা করার পাশাপাশি গ্রাহকদের যথাযথ মানসম্মত সেবা অব্যাবহত রাখবো।“
দ্বিতীয় প্রান্তিকে কর পরবর্তী মুনাফার পরিমান দাড়িয়েছে ৯৬০ কোটি টাকা যেখানে মার্জিন ২৬.৫% । শেয়ার প্রতি আয় (ইপিএস)দাড়িয়েছে ৭.০৭ টাকা।
গ্রামীণফোনের ডেপুটি সিএফও মোস্তফা আলিম আওলাদ বলেন, “গ্রামীণফোন প্রথম ছয় মাসে শক্ত মার্জিন নিয়ে উল্লেখযোগ্য ব্যবসায়িক ফলাফল অর্জন করেছে।” তিনি বলেন নেটওয়ার্ক সম্প্রসারণ ও আধুনিকায়নে আমরা বিনিয়োগ অব্যাহত রেখে মানসম্মত গ্রাহক আমাদের নেটওয়ার্কে সংযুক্ত করে আমাদের লাভজনক প্রবৃদ্ধি ধরে রাখতে আশাবাদী।” গ্রামীণফোনের পরিচালনা র্পষদ পরিশোধিত মুলধনের ৯০% অর্ন্তবর্তী লভ্যাংশ ঘোষণা করেছে ।
২০১৯ দ্বিতীয় প্রান্তিকে গ্রামীণফোন ৩৮০ কোটি বিনিয়োগ করেছে । এ সময়ে প্রতিষ্ঠানটি ১৫৬০ টি নতুন ফোরজি সাইট স্থাপন করেছে এবং পাশাপাশি নেটওয়ার্ক আধুনিকায়নে অর্থ ব্যয় করেছে। গ্রামীণফোনের মোট নেটওয়ার্ক সাইটের সংখ্যা ১৬, ১৭৬। প্রতিষ্ঠানটি ভ্যাট, ট্যাক্স, ডিউটি, ফি, ফোরজি লাইসেন্স এবং স্পেকটার্ম অ্যাসাইনমেন্ট বাবদ ৪০৯০ কোটি টাকা সরকারী কোষাগারে জমা দিয়েছে যা মোট রাজস্বের ৫৮%।
#প্রেস বিজ্ঞপ্তি #