গ্রাহকদের উন্নতমানের সেবাদানে ভবিষ্যতের জন্য প্রস্তুত প্রতিষ্ঠানের মূল ভিত্তি হবে কর্মীদের নতুন দক্ষতা অর্জনের পাশাপাশি তাদের বিদ্যমান দক্ষতা বৃদ্ধিতে সহায়তা করা। এমনটিই বিশ্বাস করে করে গ্রামীণফোন। কর্মীদের কর্মদক্ষতা ও প্রবৃদ্ধিতে তাদের দক্ষতার ক্ষেত্রে সঠিক বিষয়গুলো নির্ধারণ করা একটি ক্রমবর্ধনশীল ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠানের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ। ডিজিটাল বাংলাদেশ বিনির্মাণের এই আধুনিকায়ন ও উদ্ভাবনী পথচলায় সুস্বাস্থ্যের অধিকারী কর্মীরা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।
এ লক্ষ্যে, আজ ঢাকায় ‘কোয়ার্টার ম্যারাথন এবং ওয়াকাথন ২০২০’- এর আয়োজন করে গ্রামীণফোন। এ নিয়ে গ্রামীণফোনের প্রধান মানবসম্পদ কর্মকর্তা সৈয়দ তানভীর হোসেন বলেন, ‘গত ২২ বছরেরও বেশি সময় ধরে বাংলাদেশের কানেক্টিভিটি অংশীদার হিসেবে আমরা উদ্ভাবনী সেবা প্রদানের মাধ্যমে গ্রাহকদের চাহিদা পূরণে সচেষ্ট ছিলাম।
এরই ধারাবাহিকতায় আগামী দিনগুলোতে গ্রাহকদের আরও উন্নতমানের সেবা দেয়া আমাদের দায়িত্ব। সে দায়িত্ব পালনে আমাদের কর্মীদের শারীরিক ও মানসিক সুস্থতার বিষয়টি বেশ গুরুত্বপূর্ণ। গ্রামীণফোনকে ভবিষ্যতের জন্য প্রস্তুত প্রতিষ্ঠান হিসেবে গড়ে তুলতে আমাদের কর্মীদের জন্য আমরা নানা ধরনের কার্যক্রম পরিচালনা করি। এই ম্যারাথন ও ওয়াকাথন আয়োজন তারই একটি অংশ।’
তিনি আরও বলেন, ‘এই বিশেষ উদ্যোগটি গ্রামীণফোনে কর্মরত ব্যক্তিদের শারীরিক সুস্থতা নিয়ে আরও সচেতন হতে এবং দ্রুত পরিবর্তনশীল ব্যবসার সাথে নিজেদের মানিয়ে নিতে তাদের মানসিক স্বাস্থ্যের উন্নয়নের সুযোগ করে দিবে। ‘শারীরিক সুস্থতাই মূল’- এই প্রতিপাদ্যে গ্রামীণফোন তাদের কর্মীদের জন্য কোয়ার্টার ম্যারাথন ও ওয়াকাথন- এর আয়োজন করে।
রাজধানী ঢাকা থেকে গ্রামীণফোনের তিনশ’রও বেশি কর্মী তিনটি ক্যাটাগরিতে এই ম্যারাথনে অংশ নেয়। ক্যাটাগরিগুলো হলো: ৩.৫ কিলোমিটার, ৫ কিলোমিটার ও ১০ কিলোমিটার। ম্যারাথনটি রাজধানীর বসুন্ধরার ১০০ ফিট গেট থেকে সকাল ৬টায় শুরু হয়। কর্মক্ষেত্রে লৈঙ্গিক বৈচিত্র্যতাকে উৎসাহ দেয় গ্রামীণফোন। বাংলাদেশের প্রথম করপোরেট প্রতিষ্ঠান হিসেবে ২০০৬ সালে প্রতিষ্ঠানটি অত্যাধুনিক সুযোগ-সুবিধা সম্পন্ন ডে-কেয়ার ‘হ্যাপি হার্টস’ চালু করে। কর্মক্ষেত্রে কর্মীদের সুস্বাস্থ্যের জন্য গ্রামীণফোনে ইনডোর ফিটনেস সেন্টার, ফুটসল প্লেগ্রাউন্ড এবং ইনডোর গেমের সুবিধা রয়েছে।