ব্রডব্যান্ড কেবল অপসারণ সময়োপযোগী নয় মন্তব্য করে ‘সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে গ্রাহকদের শাস্তির মানে কি’ বলে প্রশ্ন রেখেছে টেলিযোগাযোগ ও প্রযুক্তি খাতের গ্রাহক অধিকার নিয়ে সোচ্চার সংগঠন বাংলাদেশ মুঠোফোন গ্রাহক এসোসিয়েশন।
এ বিষয়ে সংগঠনটি সভাপতি মহিউদ্দিন আহমেদ বলেছেন, গতকাল দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশন হঠাৎ করেই সড়ক থেকে ক্যাবল অপসারণ কার্যক্রম শুরু করতে ভ্রাম্যমান আদালত পরিচালনা করে। এ ধরনের উদ্যোগ গ্রহণ করতে বহুদিন আগে থেকেই আমরা বলে আসছি। যাতে গণমাধ্যমগুলি বারংবার প্রধান শিরোনাম করলেও ডিপিডিসি, বিটিআরসি কিংবা সিটি কর্পোরেশন কেউই উদ্যোগ গ্রহণ করে নাই। কিন্তু বর্তমান করোনা মহামারীতে সারা বিশ্বের সাথে তাল মিলিয়ে বাংলাদেশও যখন এই দুর্যোগ মোকাবেলা করছে সেই সময় যোগাযোগ এবং দৈনন্দিন কার্যক্রমসহ রাষ্ট্রীয় সকল কার্যক্রমের একমাত্র মাধ্যম হচ্ছে ইন্টারনেট। এমন সময়ে এই ক্যাবল অপসারণের সিদ্ধান্ত এক ধরনের হঠকারি সিদ্ধান্ত বলে মনে করছি।
‘সিটি কর্পোরেশনের কাজ নাগরিক অধিকার রক্ষা করা, ক্ষুন্ন করা নয়’ উল্লেখ করে বৃহস্পতিবার গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে কীভাবে তারের জঞ্জাল সারা রাজধানীকে ঢেকে ফেলেছে তা নিয়ে একাধিক প্রশ্ন তুলেছে বাংলাদেশ মুঠোফোন গ্রাহক এসোসিয়েশন। সংগঠনটির পক্ষ থেকে প্রশ্ন করা হয়েছে- কারা এর জন্য দায়ী ? তাদেরকে শাস্তি না দিয়ে সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে গ্রাহকদের শাস্তির মানে কি ?
বিবৃতিতে আরো বলা হয়েছে, ক্যাবল নেটওয়ার্ক পরিচালনা আইন- ২০০৬ এর ২৫ ধারায় বলা হয়েছে সেবা প্রদানকারী ক্যাবল সংযোগের কাজে কোন সরকারি, আধা-সরকারি বা স্বায়ত্বশাসিত সংস্থার স্থানীয় কার্যক্রমের লিখিত অনুমোদন ব্যতিত কোন স্থাপনা ব্যবহার বা সুবিধা গ্রহণ করিতে পারিবে না। একই সাথে উপধারা ২৮(২) অনুযায়ী অনুমিত ছাড়া কার্যক্রম করিলে ২ বৎসর সশ্রম কারাদণ্ড বা ১ লক্ষ টাকা জরিমানা বা ৫০ হাজার টাকা ন্যূনতম জরিমানা বা উভয়দণ্ডে দণ্ডিত করা যেতে পারে। পুনরায় করিলে ৩ বছর জেল বা ২ লক্ষ টাকা জরিমানা বা উভয় দণ্ড হইতে পারে। এখন প্রশ্ন হচ্ছে- এই আইনের ব্যত্যয় ঘটিয়ে কিভাবে তারের জজ্ঞালে ঢেকে দেওয়া হল রাজধানী। আজ কেনই বা জরুরী প্রয়োজনের সময় কোন প্রকার পূর্ব ঘোষণা বা বিকল্প ব্যবস্থা না করেই ক্যাবল অপসারণ করা হল। সিটি কর্পোরেশন অবশ্যই আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নিতে পারে। তবে বর্তমান জরুরী পরিস্থিতিতে বিকল্প ব্যবস্থা না করে নয়। আমাদের দাবি করোনা পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলে সকল পক্ষের সমন্বয় করে বিকল্প ব্যবস্থার মাধ্যমে সমন্বিত উদ্যোগ গ্রহণ করা হোক।