টানা চতুর্থবারের মতো বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন অব সফটওয়্যার অ্যান্ড ইনফরমেশন সার্ভিসেস-বেসিস, বেসিস স্টুডেন্টস ফোরামের সহযোগিতায় নাসা স্পেস অ্যাপস চ্যালেঞ্জ ২০১৮ এর আয়োজন করতে যাচ্ছে।
যুক্তরাষ্ট্রের ন্যাশনাল অ্যারোনটিক্স অ্যান্ড স্পেস অ্যাডমিনিস্ট্র্রেশন-নাসা আন্তর্জাতিকভাবে বিশ্বের ২৫০টি শহরে এ প্রকল্প বাস্তবায়ন করবে, যেখানে বেসিস বাংলাদেশের ৯টি শহরে (ঢাকা, চট্রগ্রাম সিলেট, রাজশাহী, খুলনা, বরিশাল, রংপুর, ময়মনসিংহ এবং কুমিল্লা) এ আয়োজন করেছে। নাসা স্পেস অ্যাপস চ্যালেঞ্জে এবার ৫০ লাখ শিক্ষার্থীদের সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে যুক্ত করার পাশাপাশি ১ লাখ শিক্ষার্থীদের সরাসরি এ প্রতিযোগিতায় যুক্ত করার পরিকল্পনা হাতে নেয়া হয়েছে।
নাসা স্পেস অ্যাপস চ্যালেঞ্জ ২০১৮ সম্পর্কে বেসিস সভাপতি সৈয়দ আলমাস কবীর বলেন, টেকনোলজিস্ট, বৈজ্ঞানিক, ডিজাইনার, আর্টিস্ট, এডুকেটর, উদ্যোক্তা ইত্যাদিসহ সবার অংশগ্রহণ নিশ্চিত করার মাধ্যমে পৃথিবীর বিভিন্ন বৈশ্বিক সমস্যা সমাধানে ইনোভেটিভ সমাধান খুঁজে বের করাই হল এর মূল লক্ষ্য। যে কেউ বাংলাদেশ থেকে এই প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করতে পারবে। নাসা কর্তৃক প্রদত্ত নিয়ম অনুসরণের মাধ্যমে বাছাই প্রক্রিয়া পরিচালিত হবে।
নাসা স্পেস অ্যাপস চ্যালেঞ্জ ২০১৮ এর আহ্বায়ক দিদারুল আলম বলেন, গত বছর বাংলাদেশকে মোট ৮টি জোনে বিভক্ত করে ৪৫৩ টি আবেদন গ্রহণ করা হয় যার মধ্য থেকে ১৩১ টি প্রকল্প বাছাইয়ের জন্য মনোনীত করা হয়। প্রতিযোগিতায় সারা বাংলাদেশ থেকে ৫০ টি দলের হ্যাকাথনের মধ্য দিয়ে সর্বমোট ১১টি সেরা প্রজেক্টকে নাসা’র নিয়মানুযায়ী মনোনীত করা হয়। এর মধ্যে ২টি প্রকল্প Global People’s Choice Finalists হিসেবে সম্মান অর্জন করে। এবার আমরা আরো ভালো কিছু করার জন্যে প্রস্তুত।
নাসা স্পেস অ্যাপস চ্যালেঞ্জ এর যুগ্ন আহ্বায়ক আরিফুল হাসান অপু বলেন, মহাকাশ এর বিভিন্ন সমস্যার বাইরে জলবায়ু,আগ্নেয়গিরি, মঙ্গলগ্রহসহ ৬টি ক্যাটাগরির অধীনে মোট ২০টি সাব ক্যাটাগরিতে এবার হ্যাকথন অনুষ্ঠিত হবে। ক্যাটাগরি ভিত্তিক এসব সমস্যা সমাধানে কাজ করবে আমাদের তরুণ বিজ্ঞানীরা। গত ৪ বছরের ধারাবাহিকতায় বাংলাদেশের অবস্থান এখন অনেক ভালো, আশা করছি ২০১৮ তে আমাদের অবস্থান আরও সুদৃঢ় হবে।
নাসা স্পেসঅ্যাপস চ্যালঞ্জ ২০১৮-তে অংশগ্রহণের জন্যে রেজিষ্ট্রশন চলছে। রেজিষ্ট্রেশনের জন্যে ভিজিট করুন: http://bit.ly/NASA_Space_Apps_Challenge_2018_BD