একটি আধুনিক ডিপ ফ্রিজে অপ্টিমাইজড বা সঠিক মাপের ইনস্যুলেশন থিকনেস থাকা প্রয়োজন। বেশি মুনাফার জন্য অনেকেই কম পুরুত্বের ইনস্যুলেশন ব্যবহার করেন। ফলে ফ্রিজার বা ডিপ ফ্রিজ টেকসই হয় না। কিন্তু নিজস্ব কারখানায় পারফেক্ট ইনস্যুলেশন থিকনেসের ফ্রিজার তৈরি করছে ওয়ালটন। এতে ওয়ালটন ফ্রিজার দ্রুত ঠান্ডা হয়, বিদ্যুৎ খরচও হয় কম। ফলে ওয়ালটন ডিপ ফ্রিজের চাহিদা ও বিক্রি বেড়েছে।
প্রকৌশলীদের মতে, ফ্রিজারের ইনস্যুলেশন থিকনেস বা পুরুত্ব গুরুত্বপূর্ণ একটি বিষয়। এর উপর একটি রেফ্রিজারেটর বা ফ্রিজারের দীর্ঘস্থায়িত্ব নির্ভর করে। ফ্রিজারের ইনস্যুলেশন থিকনেস যদি সঠিক লেভেলে থাকে, তবে কম বিদ্যুৎ খরচেই এর ভিতরের অংশ দ্রুত ঠান্ডা হয়। আবার বিদ্যুৎ চলে গেলেও খাবার সতেজ থাকে দীর্ঘক্ষণ। এতে খাবারের গুণাগুণও অক্ষুন্ন থাকে।
ইলেকট্রনিক্স বাজার ঘুরে দেখা গেছে, ফ্রিজারের ইনস্যুলেশন থিকনেস সম্পর্কে ধারণা না থাকায় বেশিরভাগ বিক্রেতারা ক্রেতাদের বিভ্রান্তিমূলক তথ্য প্রদান করছে। রাজধানীর সর্ববৃহৎ ইলেকট্রনিক্স পণ্যের বাজার বঙ্গবন্ধু স্টেডিয়াম মার্কেটে আবাবিল ইলেকট্রনিক্সের পরিচালক মোহাম্মদ সোহেল বলেন, অনেক ব্র্যান্ডের ফ্রিজারে ইনস্যুলেশন থিকনেস অপ্টিমাইজড লেবেলের চেয়ে কম থাকে। সেসব বিক্রেতারা ফিজারের ভেতরে বেশি জায়গার যুক্তি দেখিয়ে ক্রেতাদের সঙ্গে প্রতারণা করছে। এমনকি সেসব ফ্রিজারে বিদ্যুৎও সাশ্রয় হয় বলে ক্রেতাদের মিথ্যা কথা বলে। সেই প্রতারণার ফাঁদে পরে অনেক ক্রেতা মানহীন ফ্রিজার কিনছেন।
ইনস্যুলেশন থিকনেসের সঠিক মাপ প্রসঙ্গে ওয়ালটন ফ্রিজ ডিজাইন বিভাগের অপারেটিভ ডিরেক্টর তোফায়েল আহমেদ জানান, বাংলাদেশের জন্য একটি ফ্রিজারের ইনস্যুলেশন থিকনেস কমপক্ষে ৬৮ মিলিমিটার হওয়া জরুরি। এটিকেই অধিক কার্যকরী ইনস্যুলেশন থিকনেস হিসেবে বিবেচনা করা হয়। থিকনেস লেবেল এর চেয়ে কম হলে ফ্রিজের দীর্ঘস্থায়িত্ব যেমন কম হবে, তেমনি বিদ্যুৎ খরচও হবে বেশি।
ওয়ালটন ফ্রিজ বিভাগের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা প্রকৌশলী গোলাম মুর্শেদ বলেন, ওয়ালটন বাংলাদেশি মানুষের ব্র্যান্ড। সেজন্য আমরা সাশ্রয়ী দামে টেকসই ও এনার্জি এফিসিয়েন্ট পণ্য তৈরিতে বদ্ধ পরিকর। আর তাই ওয়ালটন ফ্রিজারে সর্বনিম্ন ৬৮ মিমি ইনস্যুলেশন থিকনেস ব্যবহার করা হচ্ছে। ফলে, ফ্রিজারের লোড বেশি থাকলেও ঠান্ডা হয় দ্রুত।
তিনি জানান, ওয়ালটন ফ্রিজারে ব্যবহৃত হচ্ছে কপার কন্ডেন্সার এবং হায়ার কো-ইফিশিয়েন্স পারফরর্মেন্স (সিওপি) কম্প্রেসর। ফলে ওয়ালটন ফ্রিজার অধিক বিদ্যুৎ সাশ্রয়ী এবং খুব কম ভোল্টেজে চলে। তাছাড়া, মেটাল বটম শীট ব্যবহার করায় ইঁদুর বা পোকামাকড় ওয়ালটন ফ্রিজারের ক্ষতি করতে পারে না। ন্যানো হেলথকেয়ার প্রযুক্তির ওয়ালটন ফ্রিজারে ব্যবহৃত হচ্ছে বিশ্বস্বীকৃত সম্পূর্ণ পরিবেশবান্ধব ও এনার্জি ইফিশিয়েন্ট আর৬০০এ রেফ্রিজারেন্ট। এসব কারণে দেশের বাজারে ওয়ালটন ফ্রিজার এখন সবচেয়ে বেশি চলে।
ওয়ালটন ফ্রিজ গবেষণা ও উন্নয়ন বিভাগের প্রধান তাপস কুমার মজুমদার জানান, আন্তর্জাতিক মান যাচাইকারি সংস্থা নাসদাত-ইউটিএস টেস্টিং ল্যাব থেকে মান নিশ্চিত হয়ে ওয়ালটনের প্রতিটি ফ্রিজার বাজারে ছাড়া হচ্ছে। ওয়ালটনের রয়েছে বিএসটিআইয়ের ফাইভ স্টার এনার্জি এফিশিয়েন্সি রেটিং। ওয়ালটনের পণ্য সিবি, আরওএইচএস, আরইএসিএইচ, ইএমসি, এসএএসও, ইএসএমএ, জি-মার্ক ইত্যাদি আন্তর্জাতিক টেস্টে উত্তীর্ণ এবং সার্টিফিকেট পেয়েছে। আন্তর্জাতিকমানের ওয়ালটন ফ্রিজ রপ্তানি হচ্ছে বিশ্বের বিভিন্ন দেশে। দেশের ফ্রিজ বাজারে প্রায় ৭৫ শতাংশ মার্কেট শেয়ার রয়েছে ওয়ালটনের। এছাড়া গত বছরের ডিসেম্বরে ষষ্ঠবারের মতো দেশের নাম্বার ওয়ান রেফ্রিজারেটর ব্র্যান্ডের মর্যাদাস্বরূপ ‘বেস্ট ব্র্যান্ড অ্যাওয়ার্ড’ পেয়েছে ওয়ালটন।
ওয়ালটন রেফ্রিজারেটর বিভাগের অ্যাডিশনাল ডিরেক্টর শহীদুজ্জামান রানা জানান, বর্তমানে বাজারে রয়েছে ১৪৬ লিটার থেকে ৩০০ লিটার পর্যন্ত ১১ মডেলের ওয়ালটন ফ্রিজার বা ডিপ ফ্রিজ। দাম ১৯,৬৫০ টাকা থেকে ৩০,৯০০ টাকার মধ্যে। দেশব্যাপী চলমান ডিজিটাল ক্যাম্পেইন সিজন-৫ এর আওতায় ‘উইন্টার ফেস্টিভ্যাল’-এ ওয়ালটন ফ্রিজার কিনে ২০০ শতাংশ ক্যাশ ভাউচার পাওয়ার সুযোগসহ রয়েছে নিশ্চিত ক্যাশব্যাক।
ওয়ালটনের বিক্রয় বিভাগ জানায়, দেশজুড়ে তাদের রয়েছে ১৭ হাজারেরও বেশি শোরুম। যেখান থেকে ক্রেতারা চাহিদা ও প্রয়োজন অনুযায়ী অসংখ্য মডেল ও ডিজাইনের ফস্ট, নন-ফ্রস্ট রেফ্রিজারেটর এবং ফ্রিজার বা ডিপ ফ্রিজ থেকে পছন্দের পণ্য কিনতে পারছেন। এসব ফ্রিজের দাম ১০ হাজার থেকে ৬৯,৯০০ টাকার মধ্যে। ঘরে বসে অনলাইনের ইপ্লাজা.ওয়ালটনবিডি.কম (বঢ়ষধুধ.ধিষঃড়হনফ.পড়স) থেকে ফ্রিজসহ সব ধরনের ওয়ালটন পণ্য কেনা যাচ্ছে। রেফ্রিজারেটর এবং ফ্রিজারে এক বছরের রিপ্লেসমেন্ট সুবিধার পাশাপাশি কম্প্রেসরে ১২ বছরের গ্যারান্টি দিচ্ছে ওয়ালটন। দ্রুত ও সর্বোত্তম বিক্রয়োত্তর সেবা দিতে সারা দেশে রয়েছে ৭৩টি সার্ভিস পয়েন্ট।