প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার অগ্রাধিকার হিসেবে শিশুদের তথ্যপ্রযুক্তি শিক্ষায় আগ্রহী করতে সারাদেশে ৬৪ জেলায় ১৮০টি শেখ রাসেল ডিজিটাল ল্যাবে জেলা পর্যায়ের প্রোগ্রামিং প্রতিযোগিতা ইয়ং বাংলা এবং বাংলাদেশ কম্পিউটার কাউন্সিল যৌথভাবে আয়োজন করে। ডিজিটাল বাংলাদেশ বিনির্মাণের চেতনা থেকে ভবিষ্যৎ প্রজন্মকে তথ্য প্রযুক্তিতে আরো দক্ষ করে গড়ে তুলতে বিগত দুই দিন জেলা পর্যায়ে আয়োজিত জাতীয় শিশু-কিশোর প্রোগ্রামিং প্রতিযোগিতা সম্পন্ন হলো গতকাল।
৬৪ জেলা হতে প্রাথমিকভাবে ৫ হাজার ৪০০ জন এই প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করে। স্ক্র্যাচ ও পাইথন দুই বিভাগে অনুষ্ঠিত এ প্রতিযোগিতায় ২ হাজার ৭০০ জন করে অংশগ্রহণ করে। স্ক্র্যাচ প্রোগ্রামিং প্রতিযোগিতায় তিনজন শিক্ষার্থীরা একটি দল হিসেবে অংশ নেয় এবং পাইথনে এককভাবে অংশগ্রহণ করে।সারাদেশে ১৮০টি শেখ রাসেল ডিজিটাল ল্যাবে পাইথন ও স্ক্র্যাচের প্রশিক্ষণ দেয়া হয় গত ১২ মে থেকে ৩০ মে পর্যন্ত। গত ১৬ ও ১৭ এপ্রিল বাংলাদেশ কৃষিবিদ ইন্সটিটিউটে প্রশিক্ষকদের জন্য দুই দিনব্যাপী প্রশিক্ষণ দেয়া হয়। সেখানে ৩৬০ জন আইসিটি শিক্ষক এবং শেখ রাসেল ডিজিটাল ল্যাবের কো-অর্ডিনেটরেরা প্রশিক্ষণে অংশ নেন।
শিক্ষার্থীদের ল্যাব প্রশিক্ষণ শেষে ২ জুন এবং ৩ জুন জেলা পর্যায়ে স্ক্র্যাচ ও পাইথন প্রতিযোগিতার সম্পন্ন হয়। জেলা ভিত্তিক প্রতিযোগিতায় বিজয়ীদের নিয়ে পরবর্তীতে ঢাকায় দুই দিনব্যাপী ‘পাইথন ভিত্তিক জাতীয় ক্যাম্প’ এবং দুই দিনের ‘স্ক্র্যাচ ভিত্তিক জাতীয় ক্যাম্প’ আয়োজন করা হবে। এই জাতীয় প্রতিযোগিতায় প্রাপ্ত প্রকল্পগুলোর মধ্যে থেকে সেরা প্রকল্পগুলোকে সমাপনী এবং পুরষ্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে উপস্থাপন করা হবে।
স্ক্র্যাচ একটি ভিজুয়াল প্রোগ্রামিং ল্যাঙ্গুয়েজ এবং অনলাইন কমিউনিটি যা মূলত শিশুদের জন্য। স্ক্র্যাচ ব্যবহার করে ব্যবহারকারীরা নিজস্ব ইন্টারেক্টিভ গল্প, গেমস এবং অ্যানিমেশন তৈরি করে একে অপরের সঙ্গে শেয়ার করতে পারে। পাইথন প্রোগ্রামিং ল্যাঙ্গুয়েজ একটা ডাইনামিক প্রোগ্রামিং ল্যাঙ্গুয়েজ যা বর্তমান বিশ্বে অত্যন্ত জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে।
সম্প্রতি ঢাকায় অনুষ্ঠিত বিজনেস প্রসেস আউটসোর্সিং (বিপিও) সামিটে প্রধানমন্ত্রীর তথ্য-প্রযুক্তি বিষয়ক উপদেষ্টা সজীব ওয়াজেদ জয় প্রাথমিক স্তর থেকেই দেশের শিক্ষার্থীদের আইসিটি প্রশিক্ষণের ঘোষণা দেন। এরপর দেশব্যাপী এই প্রতিযোগিতা হতে চলেছে। সিআরআইয়ের সহকারী সমন্বয়ক তন্ময় আহমেদ জানান, “প্রথমবারের মতো এবারই এই প্রতিযোগিতায় তৃতীয়-পঞ্চম শ্রেণির শিক্ষার্থীদের জন্য ‘স্ক্র্যাচ’ এবং ষষ্ঠ-দশম শ্রেণির শিক্ষার্থীদের জন্য ‘পাইথন’ রাখা হয়েছে। সাধারণত প্রতি বছর হাই স্কুল প্রোগ্রামিং কন্টেস্টে ‘সি’ ও ‘সি++’ ভিত্তিক কিছু কুইজ এবং কিছু প্রবলেম সলভ করার জন্য দেয়া হয়ে থাকে।”
আরো বিস্তারিত জানতে ফেসবুক পেজ ‘জাতীয় শিশুকিশোর প্রোগ্রামিং প্রতিযোগিতা’ ভিজিট করুন।