পঞ্চম প্রজন্মের নেটওয়ার্ক (৫–জি) নিয়ে এখনো বিশ্বজুড়ে আলোচনা চলছে। এখনো অনেক দেশে ৫–জি বাস্তবায়ন হয়নি। এরই মধ্যে জাপান বলছে তার ৫–জি–পরবর্তী প্রযুক্তি নিয়ে কাজ শুরু করছে। দেশটি ২০৩০ সালের মধ্যেই ‘পোস্ট-৫–জি’ বা ৬–জি প্রযুক্তি চালু করতে চায়। আইএএনএসের এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
বিশ্লেষকেরা ধারণা করছেন, ৫–জি প্রযুক্তির চেয়ে অন্তত ১০ গুণ দ্রুতগতির হবে ৬–জি। জাপানিরা ২০৩০ সালের মধ্যে ‘৫-পরবর্তী জি’ প্রযুক্তির জন্য একটি বিস্তৃত কৌশল পরিকল্পনা করছে।
প্রযুক্তিবিষয়ক ওয়েবসাইট গিজমো চায়নার এক প্রতিবেদনে বলা হয়, জাপানের ইন্টারনাল অ্যাফেয়ার্স অ্যান্ড কমিউনিকেশনস মন্ত্রণালয় টোকিও গোশিনজিন বিশ্ববিদ্যালয়ের নেতৃত্বে জানুয়ারিতে একটি সরকারি-বেসরকারি গবেষণা সমিতি প্রতিষ্ঠা করবে দেশটি, যা সরাসরি মন্ত্রীপর্যায়ে তত্ত্বাবধান করা হবে।
আগামী জুনে জাপানি প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠান এনটিটি ও তোশিবাকে ৬–জির পারফরম্যান্স লক্ষ্য ও নীতিনির্ধারণী বৈঠকে ডাকা হয়েছে। সরকারের পক্ষ থেকে ৬–জি প্রযুক্তির উন্নয়নে সহায়তা করা হবে।
যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক বিনিয়োগকারী ব্যাংক গোল্ডম্যান স্যাচের পূর্বাভাস অনুযায়ী, ২০২০ সালে বিশ্বব্যাপী ২০ কোটি ইউনিট ৫–জি সমর্থনযোগ্য স্মার্টফোন বিক্রি হবে। শুধু চীনেই ১০ লাখ ৫–জি বেজ স্টেশন স্থাপন করা হবে।
চীনা প্রযুক্তিপণ্য নির্মাতা শাওমির সহপ্রতিষ্ঠাতা লেই জুন ঘোষণা দিয়েছেন ৫–জি, এআই ও আইওটি থেকে আগামী ৫ বছরে ৭ বিলিয়ন মার্কিন ডলার তুলে আনার পরিকল্পনা রয়েছে তাদের।