ইয়ুথ এম্পাওয়ারমেন্ট ফ্যাসিলিটেশন (ওয়াইইএফ) গ্লোবালের পৃষ্ঠপোষকতায় গত ১৪ আগস্ট থেকে শুরু হওয়া দেশের প্রথম অনলাইন ভিত্তিক জীবন ঘনিষ্ঠ দক্ষতা অর্জনের আয়োজন ‘স্কুল অফ লাইফ’ এর বাংলাদেশ পর্বে অংশগ্রহণ শেষে সনদ পেল মূল্যায়ন পরীক্ষায় উত্তীর্ণরা।
স্কুল অফ লাইফ এর প্রথম ব্যাচের অংশগ্রহণকারীদের সনদ বিতরণ উপলক্ষ্যে গত ২৪ই সেপ্টেম্বর আয়োজিত অনলাইন এক অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন গনপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের ডাক ও টেলি যোগাযোগ মন্ত্রনালয়ের মন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার।
বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ইন্টারনেট সোসাইটি বাংলাদেশ এর সভাপতি ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কম্পিউটার বিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক ড. হাফিজ মুহাম্মদ হাসান বাবু, সিটিও ফোরাম বাংলাদেশ এর প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি তপন কান্তি সরকার এবং ওয়াইইএফ গ্লোবালের ফাউন্ডার ও গ্লোবাল সিইও কাজী হাসান রবিন
সনদ বিতরণী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে মন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার সময়োপযোগী এই আয়োজনের জন্য আয়োজকদের ভূয়সী প্রশংসা করেন। মন্ত্রী বলেন “যারা এই আয়োজনে অংশ নেয়ার সুযোগ পেয়ে তা কাজে লাগিয়ে নিজেদের দক্ষতার উন্নয়ন ঘটিয়েছেন তারা নিজেদেরকে সমসাময়িকদের তুলনায় একধাপ এগিয়ে নিয়ে যেতে পেরেছেন। তবে এখানেই শেখার শেষ নয় বরং জীবন দক্ষতার এই শিক্ষা কাজে লাগিয়ে যার যার স্বস্ব ক্ষেত্রে কর্মদক্ষতা অর্জনে মনযোগী হতে হবে।” বৈশ্বিক মহামারীর এই সময়ে দেশের শিক্ষার্থীদের নিরবিচ্ছিন টেলিযোগাযোগ ও ইন্টারনেট সেবা প্রদানে সরকার ও তার মন্ত্রনালয়ের অঙ্গীকার ও চলমান বিভিন্ন কর্মকান্ডের কথা তুলে ধরেন মন্ত্রী।
ওয়াইইএফ গ্লোবালের ফাউন্ডার ও গ্লোবাল সিইও কাজী হাসান রবিন বলেন “১৩টি মাইক্রো কোর্স দিয়ে সাজানো স্কুল অফ লাইফের এই কার্যক্রমের মূল উদ্দেশ্য ছিল দেশের বিভিন্ন অঞ্চলের তরুণদের জীবন দক্ষতা উন্নয়নে ভূমিকা রাখা। অংশগ্রহণকারীদের আগ্রহ ও উদ্দীপনাই বলে দিচ্ছে এই আয়োজন কতটা সফল হয়েছে।“ তরুণদের দক্ষতা উন্নয়নের এমন প্রচেষ্টা ভবিষ্যতেও চলমান থাকবে বলে জানান তিনি।
অধ্যাপক ড. হাফিজ মুহাম্মদ হাসান বাবু ওয়াইইএফ গ্লোবালের এই উদ্যোগকে সাধুবাদ জানিয়ে ডিজিটাল বাংলাদেশ নির্মানে তরুণদের অংশগ্রহণ বাড়ানোর উপর গুরুত্ব আরোপ করেন। তিনি ভবিষ্যতেও ওয়াইইএফ গ্লোবালের বিভিন্ন কর্মসূচিতে ইন্টারনেট সোসাইটি বাংলাদেশ এর পক্ষ থেকে সহযোগীতার আশ্বাস দেন।
তপন কান্তি সরকার তার বক্তব্যে জীবন দক্ষতার পাশাপাশি তরুণদের তথ্যপ্রযুক্তিতে দক্ষ হওয়ার উপর গুরুত্ব আরোপ করে বলেন “ভবিষ্যতে ক্লাউড কম্পিউটিং এ দক্ষ জনশক্তির প্রয়োজন হবে, এ নিয়ে সিটিও ফোরামের ভবিষ্যৎ আয়োজনে তিনি আগ্রহীদের আমন্ত্রন জানান। এর পাশাপাশি স্কুল অফ লাইফের সনদধারীদের ফোরামের সদস্য প্রতিষ্ঠানসমূহে শিক্ষানবিশ ও চাকুরীর ব্যপারে অগ্রাধিকার ভিত্তিতে বিবেচনা করার আশ্বাস দেন।
অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন এই আয়োজনের সহযোগী সংগঠনসমূহের প্রতিনিধিবৃন্দ ও স্কুল অফ লাইফের সম্মানিত রিসোর্স পারসনগন।
ওয়াইইএফ গ্লোবাল এর “স্কুল অফ লাইফ” উদ্যোগটির সাথে একাত্মতা প্রকাশ করে সহযোগী হিসেবে যুক্ত ছিলঃ ইন্টারনেট সোসাইটি বাংলাদেশ, কমনওয়েলথ ইয়ুথ ইনোভেশন হাব, ইয়ুথ হাব গ্লোবাল, সিটিও ফোরাম বাংলাদেশ, জিডিজি ক্লাউড বাংলা, বাংলাদেশ ওপেন সোর্স নেটওয়ার্ক, জেসিআই ঢাকা ওয়েস্ট, টেকনোলজি মিডিয়া গিল্ড বাংলাদেশ, বাংলাদেশ পজেটিভ ফাউন্ডেশন, সেন্টার ফর ওপেন নলেজ ও ড্রিমস ফর টুমরো, নাগরিক টিভি ও রেডিও একাত্তর।