এও কি সম্ভব! থ্রিজি ফোরজির গতি নাই, এবার ৫জি নিয়ে টানাটানি। কথা উঠেছে জুন মাসেই নাকি দেশেে ৫জির ট্রায়াল হয়ে যেতে পারে। আগামী জুন মাসে বাংলাদেশ ফাইভ-জি’র ট্রায়াল করবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেছেন ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার। প্রিয় ডটকমের খবরে বলা হয়, ২৪ মার্চ, শনিবার রাজধানীর গুলশানের এক হোটেলে জেসিআই বাংলাদেশ আয়োজিত ‘ইয়থ ইন ন্যাশন বিল্ডিং’ শীর্ষক আলোচনা অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে মন্ত্রী এ আশাবাদ ব্যক্ত করেন।
মোস্তাফা জব্বার বলেন, ‘বাংলাদেশ ইতোমধ্যে ফোর-জি যুগে প্রবেশ করেছে। ফাইভ-জি সর্বত্র যুক্ত হতে চলেছে। ফাইভ-জি পৃথিবীতে আমূল পরিবর্তন ঘটাবে। আগামী জুন মাসে বাংলাদেশ ফাইভ-জি ট্রায়াল দেখবে বলে আশা করছি।’
মন্ত্রী আরও বলেন, ‘আমরা তিনটি শিল্প বিপ্লব মিস করেছি, চতুর্থ শিল্প বিপ্লবে নেতৃত্বদানকারী দেশ হিসেবে আমাদের নিজেদেরকে প্রতিষ্ঠা করতে হবে। ২০২০ সালে সারা পৃথিবী ফাইভ-জিতে প্রবেশ করবে। এ থেকে বাংলাদেশকে পিছিয়ে থাকতে দেয়া যাবে না। আমাদের এই অর্জন ধরে রাখতে পারলে ২০২১ সালের বাংলাদেশ হবে মধ্যম আয়ের, ২০৩০ সালে ক্ষুধা ও দারিদ্রমুক্ত এবং ২০৪১ সালে বিশ্বের উন্নত দেশের কাতারে সামিল হবে বাংলাদেশ। লক্ষ্য অর্জনের যাত্রা শুরু হয়েছে। আমাদের এই অগ্রযাত্রা বেগবান করতে তরুণ সমাজকে উপযুক্ত শিক্ষার মাধ্যমে সক্ষম করে গড়ে তুলতে হবে।’
মোস্তাফা জব্বার বলেন, ‘স্বাধীনতার ৪৭ বছরে আমরা অনেক এগিয়েছি, সামনের চ্যালেঞ্জ অনেক কঠিন। এই চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় নতুন প্রযুক্তি নিয়ে যারা কাজ করছে তাদের জন্য সামনে এগিয়ে যাওয়ার সুযোগ সৃষ্টি করতে হবে। কেবল সরকার নয়, সরকারের সাথে দেশের জনগণকে সম্পৃক্ত করতে হবে।’
এ ক্ষেত্রে সরকারের পাশাপাশি বেসরকারি খাতকে ভূমিকা গ্রহণে এগিয়ে আসার জন্য মন্ত্রী সংশ্লিষ্ট সবার প্রতি আহ্বান জানান।
তরুণ উদ্ভাবকদের উদ্ভাবন বিকাশে সরকারের গৃহীত বিভিন্ন কর্মসূচির বর্ণনা দিয়ে ডাক, টেলিযোগাযোগমন্ত্রী বলেন, ‘আইসিটি বিভাগ কেবলমাত্র প্রশিক্ষণ সংক্রান্ত পাঁচটি প্রকল্প গ্রহণ ও বাস্তবায়ন করছে। পাশাপাশি বিআইটিএম ১৬ হাজার লোকের প্রশিক্ষণ প্রদান শেষ করেছে। আগামী ডিসেম্বরের মধ্যে ২৩ হাজার লোককে প্রশিক্ষণ প্রদানে সক্ষম হবে। সমন্বিত উদ্যোগে কাজ করলে একবিংশ শতাব্দির উপযোগী জনশক্তি গড়ে তুলতে বাংলাদেশ সক্ষম হবে।’
previous post