আগামী ১৫ জুলাই বিশ্ব যুব দক্ষতা দিবস (ডাব্লিওয়াইএসডি)। জাতিসংঘ ঘোষিত এই দিবস উপলক্ষ্যে কারিগরি এবং বৃত্তিমূলক শিক্ষা ও প্রশিক্ষণ (টিভিইটি) গ্রহণকারীর জন্য আয়োজন করা হয়েছে কুইজ প্রতিযোগিতা। এই ঠিকানায় নিবন্ধনের অনুরোধ করেছে আন্তর্জাতিক শ্রম সংস্থার (আইএলও)। আগামী ৮ জুলাই পর্যন্ত নিবন্ধন করতে পারবেন কারিগরি শিক্ষাবোর্ডের অধীন টেকনিক্যাল স্কুল ও কলেজ, কারিগরী কলেজ, পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট বা প্রতিষ্ঠানের গ্রাফিক ডিজাইন এবং ইলেকট্রিক্যাল ইনস্টলেশন ও মেইনটেন্যান্স ট্রেডের শিক্ষার্থীরা।
কুইজ প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হবে দুই ক্যাটাগরিতে— গ্রাফিক ডিজাইন ও ইলেকট্রিক্যাল ইনস্টলেশন ও মেইনটেন্যান্স বিষয়ে।
দেশে আন্তর্জাতিক শ্রম সংস্থার (আইএলও) বাংলাদেশ কার্যালয়ের আওতায় স্কিলস-২১ প্রকল্পের উদ্যোগে এই প্রতিযোগিতার আয়োজন করা হয়েছে। দেশের কারিগরী স্কুল ও কলেজ, কারিগরি কলেজ এবং পলিটেকনিক ইনস্টটিউটের গ্রাফিক ডিজাইন এবং ইলেকট্রিক্যাল ইনস্টলেশন ও মেইনটেনেন্স ট্রেডের শিক্ষার্থীরা এই কুইজ প্রতিযোগিতায় অংশ গ্রহণ করতে পারবেন।
এছাড়াও দিবসের প্রতিপাদ্য “মহামারী ও পরবর্তীকালে নিজেদের ফিরে পাওয়ার জন্য তারুণ্যের দক্ষতা” বিষয়ে বিশেষজ্ঞদের নিয়ে অনলাইন ওয়েবিনারের আয়োজন এবং সফল কারিগরী তরুণদের গল্প প্রকাশের উদ্যোগ নেয়া হয়েছে।
এ বিষয়ে আন্তর্জাতিক শ্রম সংস্থার বাংলাদেশ কার্যালয়ের পরিচালক তুমো পৌটিয়াইনেন বলেন, “প্রতিবছর যে ২০ লক্ষাধিক তরুণ বাংলাদেশের শ্রমবাজারে প্রবেশ করছে তাদের প্রয়োজনীয় দক্ষতা, যোগ্যতার সঙ্গে গড়ে তোলা প্রয়োজন যাতে তারা শিক্ষানবিশী ও শোভন কাজের সুযোগে পেতে পারে। নারী, ভিন্নভাবেসক্ষম ও পিছিয়ে পড়া জনগোষ্ঠীও যাতে একই সুযোগ পায় সেটিও নিশ্চিত করা প্রয়োজন”।
প্রসঙ্গত, বাংলাদেশের শ্রমশক্তি জরিপ ২০১৬-১৭ অনুসারে দেশে প্রতি চারজন তরুণের একজন (২৭.৩৯%) কাজ, শিক্ষা বা প্রশিক্ষণের সঙ্গে যুক্ত নেই। প্রতিবছর যে ২২ লক্ষ ছেলে-মেয়ে কর্মবাজারে যুক্ত হয় তাদের মধ্যে যুবাদের সংখ্যা বেশি এবং এদের বড় অংশেরই তেমন কোন দক্ষতা নেই। একই বছরে ৩৯ লক্ষ কর্মসৃজনলের লক্ষ থাকলেও এর অর্ধেক (১৭ লক্ষ ৮০ হাজর) কর্ম সৃজিত হয়েছে। অথচ দেশের ৬০% জনগোষ্ঠী তরুণ এবং এদের তিন কোটি ২৪ লক্ষ কর্মবাজারের সবচেয়ে বড় শক্তি।