প্রায় চার বছর বন্ধ থাকার পর আবারও ভেরিফায়েড প্রোফাইলের জন্য আবেদন গ্রহণ শুরু করেছে টুইটার। ভেরিফিকেশন প্রক্রিয়া সম্পন্ন হলে প্রোফাইলে মিলবে সেই কাঙ্ক্ষিত নীল টিকচিহ্ন।
আবেদনের জন্য টুইটারের নতুন নীতিমালা অনুযায়ী যোগ্য হতে হবে। বর্তমানে ছয় ধরনের অ্যাকাউন্ট ভেরিফায়েড করে থাকে টুইটার। পাশাপাশি ভুয়া অ্যাকাউন্ট হওয়া যাবে না কোনোভাবেই, মোটামুটি স্বীকৃত হতে হবে এবং টুইটারে সক্রিয় থাকতে হবে বলে জানিয়েছে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমটি।
যে ছয় ধরনের অ্যাকাউন্ট আবেদন করতে পারবে
- সরকারি
- প্রতিষ্ঠান, ব্র্যান্ড ও সংগঠন
- সংবাদমাধ্যম ও সাংবাদিক
- বিনোদন জগতের মানুষ
- ক্রীড়াঙ্গনের সঙ্গে যুক্ত
- জনহিতকর কাজে যুক্ত, সংগঠক ও অন্যান্য প্রভাবশালী ব্যক্তি
যেভাবে আবেদন করবেন
বিশ্বের নানা দেশে পর্যায়ক্রমে ভেরিফিকেশনের আবেদন গ্রহণ শুরু হবে। আপনার অ্যাকাউন্টের জন্য সে সুবিধা চালু হলে ‘অ্যাকাউন্ট সেটিংস’ ট্যাবে তা পাবেন। আর না পেলে আগামী ‘কয়েক সপ্তাহের মধ্যে’ দেখা যাবে বলে জানিয়েছে টুইটার।
আবেদনপ্রক্রিয়া সহজ। পর্দায় দেখানো নির্দেশনা মানলেই চলবে। একবার আবেদন হয়ে গেলে কয়েক দিনের মধ্যে জবাব জানাবে টুইটার। তবে আবেদনের পরিমাণ বেশি হলে কয়েক সপ্তাহ লেগে যেতে পারে। কোনো আবেদনই স্বয়ংক্রিয়ভাবে হবে না। বরং প্রক্রিয়ার প্রতিটি ধাপে যুক্ত থাকবে মানুষ।
ভেরিফিকেশনের জন্য অনুমোদিত হলে প্রোফাইলে নীল রঙের ব্যাজ দেখাবে। আর টুইটার যদি অনুমোদন না দেয় এবং আপনি নিজেকে ভেরিফায়েড হওয়ার যোগ্য মনে করেন, তবে ৩০ দিন পর পুনরায় আবেদন করতে পারবেন।
যাঁদের অ্যাকাউন্ট এরই মধ্যে ভেরিফায়েড হয়েছে, তাঁদের আর নতুন করে আবেদনের প্রয়োজন নেই।
‘হাই প্রোফাইল’ মানুষদের জন্য ২০০৯ সালে টুইটারে চালু হয় ভেরিফিকেশন কর্মসূচি। কেউ যেন তাঁদের নামে ভুয়া অ্যাকাউন্ট খুলে মানুষকে বিভ্রান্ত করতে না পারেন, সেটাই ছিল উদ্দেশ্য। তবে ২০১৬ সালে গণ–আবেদন গ্রহণ শুরু করলে অনেক ‘অযোগ্য’ অ্যাকাউন্ট ভেরিফায়েড হয়ে যায় বলে ২০১৭ সালের নভেম্বরে সে সুবিধা বন্ধ করে দেয় টুইটার। তবে বিখ্যাত ব্যক্তিদের বেলায় ম্যানুয়াল ভেরিফিকেশন প্রক্রিয়া চালু রাখে। বন্ধ হওয়ার চার বছর পর আবার সে সুবিধা চালুর ঘোষণা দিল টুইটার।