টয়েলেট আসনের চেয়ে ১০ গুণ বেশি জীবাণু থাকে স্মার্টফোনে, এমনটাই উঠে এসেছে এক গবেষণায়। ইনসুরেন্স২গো’র চালানো গবেষণায় দেখা গেছে স্মার্টফোনের পর্দা, ব্যাক বাটন, লক বাটন এবং হোম বাটনে টয়লেট আসন এবং ফ্লাশ-এর চেয়ে বেশি জীবাণু থাকে। গবেষণায় উঠে এসেছে এক তৃতীয়াংশের বেশি স্মার্টফোন ব্যবহারকারী পরিষ্কারক তরল বা এধরনের কিছু দিয়ে স্মার্টফোন পরিষ্কার করেন না– খবর ব্রিটিশ ট্যাবলয়েড মিররের।
যুক্তরাজ্যের বাসিন্দাদের নিয়ে এই গবেষণা চালিয়েছে ইনসুরেন্স২গো। বলা হয়েছে- এর থেকে ধারণা করা যেতে পারে যুক্তরাজ্যের বাসিন্দারা স্মার্টফোন পরিষ্কার করেন না। ৩৫ শতাংশ স্মার্টফোন ব্যবহারকারী কখনোই তাদের স্মার্টফোন ওয়াইপ বা ক্লিনিং ফ্লুয়িড দিয়ে পরিস্কার করে না বলে জানিয়েছে ইনস্যুরেন্স২গো নামে যুক্তরাজ্যভিত্তিক এক প্রতিষ্ঠান। প্রতি ছয় মাসে ২০ জনে শুধু ১ জন স্মার্টফোন ব্যবহারকারীই তাদের ফোন পরিস্কার করে থাকেন।
জনপ্রিয় তিন স্মার্টফোন গ্রাহকদের নিয়ে এই গবেষণা চালানো হয়। এর মধ্যে রয়েছেন অ্যাপল আইফোন, স্যামসাং গ্যালাক্সি এবং গুগল পিক্সেল ব্যবহারকারী। গবেষণায় বায়ুজীবী ব্যাকটেরিয়া, ছত্রাক এবং জীবাণুর বাসস্থান পরীক্ষা করা হয়েছে।
জীবাণুর বাসস্থান যদি প্রতি বর্গসেন্টিমিটারে একক শূন্য হয় তবে এটি আক্রান্ত নয় বলে ধরা হয়। স্মার্টফোন পর্দায় এই এককের পরিমাণ পাওয়া গেছে ২৫৪.৯, যেখানে টয়লেট আসন ও ফ্লাশ-এ এককের পরিমাণ মাত্র ২৪। স্মার্টফোনের এই জীবাণু কীভাবে ত্বক এবং স্বাস্থ্যের ওপর প্রভাব ফেলে পারে সে বিষয়ে এলিট অ্যাসথেটিকস-এর ড. শিরিন লাখানি বলেন, “আমাদের স্মার্টফোন আসলেই ত্বক নোংরা হওয়া এবং ত্বকের সমস্যার বড় মাধ্যম, যা ব্রণের কারণ।” “ত্বকের ঘর্ষণ, তাপ এবং চাপ সবগুলোই ত্বকের সমস্যার কারণ যা স্মার্টফোন থেকে আসে।”
“তৈল গ্রন্থিতে চাপের কারণে আরও বেশি তেল তৈরি হয়, এরপর আপনার ফোনের পর্দা থেকে আণুবীক্ষণিক ব্যাকটেরিয়া তেলের সঙ্গে মিশে যায়, এর পাশাপাশি ফোনের তাপ আরও বেশি ব্যাকটেরিয়ার জন্ম দেয়। এর ফলে ত্বকে জ্বালা পোড়া এবং ব্রণ দেখা যায়।” নিয়মিত অ্যালকোহল দিয়ে স্মার্টফোন পরিষ্কার করে ব্যাকটেরিয়া মুক্ত থাকা যাবে বলে পরামর্শ দিয়েছেন ড. লাখানি।