প্রযুক্তি বিশ্বের অলিম্পিক হিসেবে খ্যাত ‘ওয়ার্ল্ড কংগ্রেস অন ইনফরমেশন টেকনোলজি-ডব্লিউসিআইটি ২০২১’ অনুষ্ঠিত হবে বাংলাদেশে। বাংলাদেশ কম্পিউটার সমিতি (বিসিএস) এবং তথ্যপ্রযুক্তি বিভাগের যৌথভাবে আন্তর্জাতিক এই সম্মেলনের আয়োজন করবে। ‘ডিজিটাল বাংলাদেশ’ প্রকল্পর ভিত্তিতে স্বাধীনতার ৫০ বছর পূর্তির সাল ২০২১ এ তথ্যপ্রযুক্তি বিষয়ক এই আয়োজনের স্বাগতিক হওয়ার সুযোগ পেয়েছে বাংলাদেশ। উল্লেখ্য, একই বছর বর্তমান সরকারে ‘রূপকল্প ২০২১’ বাস্তবায়নের বছর।
বিশ্বের অন্যতম বৃহৎ এই তথ্য-প্রযুক্তি খাতের আসরে ৩ হাজারেরও বেশি দেশি-বিদেশি নিবন্ধিত তথ্যপ্রযুক্তিবিদ অংশ নেবেন বলে আশা করা হচ্ছে। আইসিটি খাতে শ্রেষ্ঠ বক্তাদের মধ্যে প্রায় শতাধিক বক্তা নিজেদের বক্তব্য উপস্থাপন করবেন। আয়োজনের সার্বিক পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণে বাংলাদেশে এসেছেন ওয়ার্ল্ড ইনফরমেশন টেকনোলজি অ্যান্ড সার্ভিস অ্যালায়েন্সের (উইটসা) মহাসচিব ড. জেমস এইচ. পয়জান্ট।
মঙ্গলবার (২৩ এপ্রিল) রাতে রাজধানীর ধানমন্ডিস্থ বিসিএস ইনোভেশন সেন্টারে বিসিএসসহ দেশের অন্যান্য তথ্যপ্রযুক্তি সংশ্লিষ্ঠ সংগঠন ও সংস্থার নেতৃবৃন্দের সঙ্গে উইটসার মহাসচিব অভিজ্ঞতা বিনিময় করেন।
অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন বিসিএস সভাপতি মো. শাহিদ-উল-মুনীর। তিনি বলেন, বাংলাদেশ কম্পিউটার সমিতি (বিসিএস) ডব্লিউসিআইটি-২০২১ আয়োজনের সুযোগ পেয়ে গর্বিত। একটি সফল কংগ্রেস এবং তথ্যপ্রযুক্তির বিশ্বে বাংলাদেশকে উপস্থাপন করার জন্য ইতোমধ্যে আমরা তথ্যপ্রযুক্তি বিভাগের সঙ্গে কাজ শুরু করেছি।
আন্তর্জাতিক এই আসর আয়োজনে দেশের সর্বোচ্চ পর্যায় থেকে সহযোগিতার প্রশংসা করে বিসিএস সভাপতি বলেন, ‘আমাদের সবচেয়ে বড় পাওয়া হলো আমরা প্রধানমন্ত্রীর আইসিটি উপদেষ্টা সজীব ওয়াজেদ জয়, এই ইন্ডাস্ট্রির অভিভাবক ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রী হিসেবে মোস্তাফা জব্বার এবং তারুণ্যের অহংকার আইসিটি প্রতিমন্ত্রী জুনায়েদ আহমেদ পলককে পেয়েছি। এই সম্মেলনকে সফল করার জন্য প্রতিনিয়ত আমরা প্রত্যক্ষ এবং পরোক্ষভাবে দিক নির্দেশনার জন্য উনাদের সঙ্গে নিয়ে কাজ করে যাচ্ছি। আইসিটি মন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার নিজেও বিসিএস এর প্রাক্তন সভাপতি ছিলেন। আমাদের কার্যকরী কমিটির সদস্যসহ তথ্যপ্রযুক্তিতে অবদান রাখা গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিরাও আমাদের সঙ্গে পুরোদমে কাজ করার আশ্বাস দিয়েছেন। আজকের এই অভিজ্ঞতা বিনিময় সভাতে আমরা সবার উপস্থিতি নিশ্চিত করতে পেরেছি। সবার একান্ত প্রচেষ্টায় ২০২১ সালের ওয়ার্ল্ড কংগ্রেস এর আয়োজন সফলতার সঙ্গে সম্পন্ন করতে পারবো বলে আমাদের দৃঢ় মনোবল রয়েছে।
উইটসার ড. জেমস এইচ. পয়জান্ট বলেন, আমি অত্যন্ত আনন্দের সঙ্গে ঘোষণা করতে চাই যে, বাংলাদেশ ডব্লিউসিআইটি ২০২১ সফলভাবে সম্পন্ন করার জন্য ইতোমধ্যে প্রস্তুতি গ্রহণ করেছে। বাংলাদেশের আইসিটি মন্ত্রী, প্রতিমন্ত্রী এবং বিসিএস সভাপতিসহ তথ্যপ্রযুক্তির সঙ্গে সম্পৃক্ত প্রতিটি সংগঠনের সদস্যরা বেশ আন্তরিক। দেশের সুনাম বৃদ্ধি করার জন্য তারা উদয়অস্ত চেষ্টা করে যাচ্ছেন। ‘ডিজিটাল বাংলাদেশ’ তথ্যপ্রযুক্তিতে অনেক দেশের রোল মডেল। এখানে তথ্যপ্রযুক্তি নিয়ে কাজ করতে সরকারের স্বদিচ্ছা রয়েছে। বেসরকারি খাতেও ব্যবসায়ীরাও এই খাতকে সমৃদ্ধ করতে কাজ করে যাচ্ছেন।
তিনি জানান, এই সম্মেলন তথ্যপ্রযুক্তি খাতে উন্নয়নের জন্য সোপান হবে। বাংলাদেশ ডব্লিউসিআইটি ২০২১ এর আয়োজক হিসেবে নিজেদের সেরাটা দিবে বলেই আমরা আশাবাদী।
অভিজ্ঞতা বিনিময় সভায় বিসিএস সহ-সভাপতি ইউসুফ আলী শামীম, মহাসচিব মোশারফ হোসেন সুমন, কোষাধ্যক্ষ মো. জাবেদুর রহমান শাহীন, পরিচালক মো. আছাব উল্লাহ্ খান জুয়েল, মো. মোস্তাফিজুর রহমানসহ সিটিও ফোরামের সভাপতি তপন কান্তি সরকার, আইএসপিএবিএ’র মহাসচিব এমদাদুল হক, বিসিএর প্রাক্তন সভাপতি, মহাসচিব এবং তথ্যপ্রযুক্তি খাতের গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিবর্গরা উপস্থিত ছিলেন।
সভায় আগত অতিথিরা ডব্লিউসিআইটি-২০২১ এর জন্য গুরুত্বপূর্ণ বিষয়গুলো নিয়ে নিজেদের মতামত ব্যক্ত করেন। উইটসা মহাসচিব ড. জেমস সবার মতামত গুরুত্বের সঙ্গে শোনেন এবং নিজের অভিজ্ঞতার কথাও সবার কাছে তুলে ধরেন।