কানাডিয়ান ইউনিভার্সিটি অব বাংলাদেশের এক্সটারনাল অ্যাফেয়ার্সের পরিচালক এবং “লেটস টক মেন্টাল হেলথ” এর প্রেসিডেনন্ট অনুসা চৌধুরীর “ডায়ানা এ্যাওয়ার্ড ২০২২” -এর প্রাপ্তিতে বিশ্ববিদ্যালয়ের বোর্ড রুমে আজ শনিবার ০২ জুলাই, ২০২২ তারিখে এক সম্মাননা অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। অনুষ্ঠানের শুরুতেই এই সম্মান প্রাপ্তিতে অনুসা চৌধুরীকে ফুল দিয়ে এবং একটি কেক কেটে শুভেচ্ছা জানান।
অনুষ্ঠানে কানাডিয়ান ইউনিভার্সিটি অব বাংলাদেশের প্রতিষ্ঠাতা এবং বোর্ড অব ট্রাস্টিজের চেয়ারম্যান ড. চৌধুরী নাফিজ সরাফাত প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন।
অন্যান্যের মধ্যে বোর্ড অব ট্রাস্টিজের সদস্য চৌধুরী রাহিব সাফওয়ান সরাফাত, ভাইস চান্সেলর প্রফেসর ড. এইচ এম জহিরুল হক, ট্রেজারার প্রফেসর এ এস এম সিরাজুল হক, স্কুল অব সায়েন্সের ডিন প্রফেসর ড. সৈয়দ আক্তার হোসেন, স্কুল অব বিজনেসের ডিন প্রফেসর ড. জহুরুল আলম, ব্যবসায় প্রশাসন বিভাগের বিভাগীয় প্রধান প্রফেসর এস এম আরিফুজ্জামান, ভর্তি ও জনসংযোগ বিভাগের পরিচালক মো. মনিরুল ইসলাম রিন্টু এবং যুগ্ম রেজিস্ট্রার এ এস এম জি ফারুক প্রমুখ উপস্থিথ ছিলেন।
মানসিক স্বাস্থ্য নিয়ে বিভিন্ন স্তরের মানুষের মধ্যে সচেতনতা সৃষ্টির লক্ষ্যে অনুসা চৌধুরীর হাত ধরে ২০১৮ সালে যাত্রা শুরু করে “লেটস টক মেন্টাল হেলথ।” তার একান্ত প্রচেষ্টায় সংগঠনটি দেশ-বিদেশের অগনিত মানুষের মানসিক স্বাস্থ্য নিয়ে কাজ করে গেছে। মানসিক স্বাস্থ্যক্ষেত্রে তার এই অসামান্য অবদানের জন্য এবছর তিনি ভূষিত হয়েছেন সম্মানজনক ডায়ানা এওয়ার্ডে।
একজন কাছের বন্ধুকে মানসিক অসুস্থতার কাছে হেরে যেতে দেখে অনুসা চৌধুরী এই প্রতিষ্ঠানের গোড়াপত্তন করেন। বিভিন্ন শিল্পের মাধ্যমে মানসিক স্বাস্থ্যের প্রতি সচেতনতা সৃষ্টি করাই এই প্রতিষ্ঠানের লক্ষ্য। বর্তমানে তিনি এই প্রতিষ্ঠানের সহ-প্রতিষ্ঠাতা ও প্রেসিডেন্ট হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন।
সূচনালগ্ন থেকেই সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমগুলোতে বিপুল সাড়া পাওয়া এই প্রতিষ্ঠানটি আজ একটি আন্তর্জাতিক সংস্থাতে রূপান্তরিত হয়েছে। বর্তমানে বাংলাদেশ, কানাডা, দুবাই, ভারত, ফিলিপাইন, স্পেন, আমেরিকা ও জাম্বিয়াতে মোট ১১২ জন স্বেচ্ছাসেবী এই সংগঠনের হয়ে মানসিক স্বাস্থ্যের প্রতি সচেতনতা সৃষ্টির লক্ষ্যে কাজ করে যাচ্ছেন। এছাড়াও যেকোনো রাষ্ট্রের যেকোনো নাগরিক অনলাইনে মানসিক স্বাস্থ্য সেবা নিতে পারবেন এই সংস্থা হতে।
মানসিক স্বাস্থ্য নিয়ে প্রচলিত কুসংস্কার ভাঙতে নিরলস প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন অনুসা চৌধুরী ও তার সংগঠন লেটস টক মেন্টাল হেলথ। দেশে বিদেশে ৩৭ হাজারের বেশি মানুষকে “মেন্টাল হেলথ কাউন্সিলিং” এর অওতায় নিয়ে আসা হয়েছে এই সংস্থের পক্ষ হতে।
অনুসা চৌধুরী স্বপ্ন দেখেন এমন একটা পৃথিবীর, যেখানে প্রত্যেকে মানসিক সুস্থতা নিয়ে সচেতন। তিনি বলেন, “আমরা সবাই এমন একটা পৃথিবীর দাবিদার যেখানে সহমর্মিতা আর সহানুভুতির চর্চা হয়।” আর এ লক্ষ্যে তিনি আমৃত্যু কাজ করে যেতে অঙ্গীকারবদ্ধ।
সম্প্রতি ‘হার্ভার্ড বিজনেস স্কুল অনলাইন’ তাদের ইন্সটাগ্রাম হাইলাইটে প্রথম বাংলাদেশী হিসেবে অনুসা চৌধুরীর অনন্যসাধারণ কার্যক্রম নিয়ে একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করে। এছাড়াও তার সংগঠন বিভিন্ন আয়োজন ও প্রচারনা চালিয়ে ১২ লক্ষ্যের ও উপরে মানুষের কাছে পৌঁছাতে এবং তাদের মানসিক স্বাস্থ্যের ব্যাপারে সচেতন করতে সক্ষম হয়েছে।
ভবিষতে “লেটস টক মেন্টাল হেলথ” কার্যক্রম আরো ব্যাপকভাবে মানুষের মধ্যে ছড়িয়ে দেওয়ার জন্য আপ্রান চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন অনুসা চৌধুরী ও সংগঠনটির অন্যান স্বেচ্ছাসেবীগন। মুঠোফোনের মাধ্যমে মানসিক স্বাস্থ্যসেবা প্রদানের জন্য একটি মোবাইল এ্যপ্লিকেশন ও তৈরী করার কার্যক্রম চলছে।