প্রাথমিক শিক্ষাব্যবস্থা আধুনিকায়নে শিশুদের হাতে ডিজিটাল ডিভাইস তুলে দেয়ার চিন্তা করছে সরকার। প্রথমপর্যায়ে দুই জেলার ২০টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ছয় হাজার শিক্ষার্থীর হাতে একটি করে ট্যাব তুলে দেয়া হবে।
ডিজিটাল ক্লাসরুমের সঙ্গে সমন্বয় রেখে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের হাতে ডিজিটাল ডিভাইস দেয়া হবে। এ ডিভাইসে থাকবে ডিজিটাল পাঠ্যপুস্তক, বিষয়-ভিত্তিক ভালো শিক্ষকদের ক্লাসের ভিডিও, শিক্ষাবিষয়ক কন্টেইন, শিক্ষামূলক কার্টুন-গেইম, সহজ শিখন পদ্ধতিসহ শিশু শিক্ষার্থীদের শিক্ষামূলক বিভিন্ন অ্যাপস।
প্রাথমিক শিক্ষা অধিদফতর (ডিপিই) থেকে জানা গেছে, ডিজিটাল দেশ গড়ার ভাবনা থেকে সরকার শিক্ষা ব্যবস্থাকে ঢেলে সাজানোর উদ্যোগ নিয়েছে। এরই অংশ হিসেবে প্রাথমিক স্তরের শিক্ষার্থীদের হাতে ডিজিটাল ডিভাইস দেয়ার সিদ্ধান্ত হয়েছে। এটি বাস্তবায়নে গত ৪ জানুয়ারি প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় থেকে ডিপিইকে নির্দেশনা দেয়া হয়েছে।
নির্দেশনা অনুযায়ী পরীক্ষামূলক হিসেবে প্রথমপর্যায়ে ঢাকা ও গাজীপুর জেলার ২০টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ছয় হাজার শিক্ষার্থীকে ট্যাব দেয়া হবে। এ
সরকারের নির্দেশনা অনুযায়ী বাংলাদেশ টেলিফোন শিল্প সংস্থা (টেশিস) থেকে এসব ডিভাইস কেনা হবে। এজন্য চলতি মাসের মধ্যে উভয় প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে একটি চুক্তি স্বাক্ষর হওয়ার কথা রয়েছে।
জানা গেছে, সারাদেশে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে প্রথম শ্রেণি থেকে পঞ্চম শ্রেণি পর্যন্ত দুই কোটি ১৯ লাখ ৩২ হাজার ৬৩৮ শিক্ষার্থী রয়েছে। ক্লাসরুমে শিক্ষার্থীদের ট্যাব দিতে রাজস্ব খাত থেকে ৪৯২ কোটি ৯৩ লাখ টাকা ব্যয় ধরা হয়েছে। প্রথমপর্যায়ে ২০টি বিদ্যালয়ের ছয় হাজার শিক্ষার্থীর মাঝে এ ডিজিটাল ডিভাইস দেয়া হবে। এজন্য নয় কোটি ছয় লাখ ২০ হাজার টাকা ব্যয় ধরা হয়েছে। আগামী বছরের শুরুতে এসব ডিভাইস বিতরণ হবে।
শিশুদের ডিভাইসগুলো বাংলাদেশি প্রতিষ্ঠান থেকে ক্রয় করা হবে। সে অনুযায়ী ‘দোয়েল’ প্রস্তুতকারক প্রতিষ্ঠান বাংলাদেশ টেলিফোন শিল্প সংস্থা (টেশিস) থেকে এসব ডিভাইজ ক্রয়ের প্রস্তুতি চলছে বলে জানা গেছে।
বাংলাদেশে প্রথমবারের মতো টেশিসের ‘দোয়েল ল্যাপটপ’ তৈরি হয়। মাত্র ১০ হাজার টাকায় এসব ল্যাপটপ বিক্রি হলেও তা বেশিদিন ব্যবহারযোগ্য ছিল না। প্রতিনিয়ত এসব ডিভাইসে নানা ধরনের সমস্যা দেখা দেয়। এ কারণে দোয়েল ল্যাপটপ কেনা থেকে মুখ ফিরিয়ে নেন ক্রেতারা।