দেশে তথ্যপ্রযুক্তির ব্যবহার বাড়ছে। একই সঙ্গে বাড়ছে নানা ঝুঁকি। ডিজিটাল নিরাপত্তার ক্ষেত্রে ইন্টারনেটে তথ্য চুরি ঠেকাতে সচেতনতার বিকল্প নেই। এছাড়া ফ্রি ওয়াইফাই পেলেই ব্যবহার না করা উচিত। এতে ইন্টারনেট ব্যবহারকারির সকল তথ্য চুরির আশঙ্কা রয়েছে। এসব ঝুঁকি মোকাবিলায় সচেতনতার পাশাপাশি সরকারি ও বেসরকারি পর্যায়ে বিভিন্ন পদক্ষেপ নেওয়া প্রয়োজন। এর পাশাপাশি ডিজিটাল নিরাপত্তার বিষয়টি সবাইকে জানাতে প্রয়োজন দরকারি কনটেন্ট। বাংলা ভাষায় এমন কনটেন্ট সহজলভ্য হলে সাধারণ মানুষের ব্যবহারের উপযোগী হবে। এ বিষয়গুলো নিয়েই ‘টিউটোরিয়াল কনটেন্ট ডেভেলপমেন্ট অন ডিজিটাল সিকিউরিটি ইন বাংলাদেশ’ শীর্ষক এক কর্মশালার আয়োজন করে বাক্স্বাধীনতা নিয়ে কাজ করা বেসরকারি প্রতিষ্ঠান আর্টিকেল ১৯। এতে সহযোগিতা করছে ডয়চে ভেলে অ্যাকাডেমি।
রাজধানীর ব্র্যাক ইন সেন্টারে আয়োজিত ওই কর্মশালায় আর্টিকেল ১৯ এর জ্যেষ্ঠ পরামর্শক রুবায়েত মল্লিকা রহমানের উপস্থাপনায় মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন ইন্টারন্যাশনাল সিকিউরিটি কাউন্সিলের এশিয়া অঞ্চলের কো-অর্ডিনেটর আকলিমা ফেরদৌস ও ইউনিকম সার্ভিসেসের সহযোগী ব্যবস্থাপক তৌফিক আহমেদ।
এতে উপস্থিত ছিলেন ডয়চে ভেলের অ্যাকাডেমি বাংলাদেশের পরামর্শক লুতফা আহমেদসহ অনলাইন কর্মী, তথ্যপ্রযুক্তি সাংবাদিক, আইনজীবী ও শিক্ষার্থীরা। কর্মশালায় অনলাইন ও ডিজিটাল দুনিয়ায় ক্রমবর্ধমান ঝুঁকির বিষয়গুলো চিহ্নিত করার পাশাপাশি সেগুলো থেকে দূরে থাকার উপায় এবং মানুষকে সচেতন করার উপায়গুলো নিয়ে আলোচনা হয়।
আকলিমা ফেরদৌস বলেন, দেশে গত কয়েক বছরে অনলাইন ও সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যমের ব্যবহার দ্রুত বেড়েছে। এর পাশাপাশি অনলাইনে ফিশিং আক্রমণ ও সোশ্যাল ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের বিষয়টিও বেড়ে গেছে। এখন অনলাইন দুনিয়ায় নানা উপায়ে প্রতারণা করা হচ্ছে। ভুয়া কনটেন্ট ছড়াচ্ছে সাইবার দুর্বৃত্তরা। এ থেকে সচেতন থাকতে হবে। সহজে প্রলুব্ধ হওয়া যাবে না। কোনো লিংকে ক্লিক করার আগে দুবার ভাবতে হবে। ওয়েবসাইট ভুয়া কিনা তা যাচাই করতে ওয়েবসাইটের লিংকের দিকে খেয়াল করতে হবে। শিশুদের ক্ষেত্রেও অনলাইন ব্যবহারে সচেতন হতে হবে।
বক্তারা আরও বলেন, ফ্রি ওয়াইফাই আপনার গোপন তথ্য চুরি করে নিতে পারে, এমনকি অনলাইন একাউন্ট হ্যাকও করতে পারে। এক্ষেত্রে অনলাইন ব্যাংকিং থেকে বিরত থাকতে হবে। ফ্রি ওয়াইফাই অনেকসময় ফাঁদও হতে পারে। ফ্রি ওয়াইফাই নেটওয়ার্কে যুক্ত হয়ে কখনোই অনলাইন ব্যাংকিং কিংবা ডেবিট/ক্রেডিট কার্ড নম্বর ব্যবহার করে কোনো অনলাইন ট্র্যানজেকশন করা যাবেনা। কারণ, ওয়াইফাই নেটওয়ার্কে যদি কোনো দুর্বৃত্ত থাকে, তবে তারা আপনার ব্যাংক বা কার্ডের তথ্য নিয়ে আপনার ব্যাংক একাউন্ট খালি করে দিতে পারে। ইমেইল বা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের পাসওয়ার্ড শক্তিশালী হতে হবে। তিনমাস পরপর পাসওয়ার্ড পরিবর্তনের ওপর গুরুত্বারোপ করেন বক্তারা।