আইসিপিসি হল সবচেয়ে পুরানো, বৃহত্তম এবং মর্যাদাপূর্ণ একটি প্রিমিয়ার গ্লোবাল প্রোগ্রামিং প্রতিযোগিতা যা “প্রোগ্রামিং প্রতিযোগিতার অলিম্পিক” হিসাবে বিবেচিত হয়। তিনি আরও বলেন যে এই মর্যাদাপূর্ণ প্রতিযোগিতার আয়োজন করা ইউএপি-এর জন্য অনেক বড় সম্মান কারণ বাংলাদেশে এই প্রথমবারের মতো এত বড় কিছু আয়োজন করা হয়েছে।
আইসিপিসির উপনির্বাহী পরিচালক ড. মাইকেল জে. ডোনাহু বলেন যে সমস্ত বিশ্বের সেরা প্রোগ্রামিং বিষয়ক সমস্যা সমাধানকারীদের মধ্য থেকে সেরাদের নিয়ে আমরা এই আয়োজন উদযাপন করতে এসেছি। কারণ ভবিষ্যতে এই মেধাবী সমস্যা সমাধানকারীদের খুবই প্রয়োজন। আমাদের এই মেধাবী সমস্যা সমাধানকারীদেরকে নিয়েই ভবিষ্যতের জন্য শক্তিশালী অবকাঠামো তৈরি করতে হবে।
বিসিসি নির্বাহী পরিচালক রণজিৎ কুমার বলেন, এই চমৎকার ফাইনাল আয়োজনের জন্য ঢাকা সম্পূর্ণ প্রস্তুত। তিনি আরও বলেন, আইসিপিসির মতো প্রোগ্রামিং ওয়ার্ল্ডের সবচেয়ে বড় ইভেন্ট আয়োজনের সামর্থ্য ও সক্ষমতা বাংলাদেশের রয়েছে। এমন একটি বৃহৎ উদ্যোগ সফলভাবে আয়োজনের জন্য আমরা ইতোমধ্যে প্রয়োজনীয় সকল প্রস্তুতি সম্পন্ন করেছি
উল্লেখ্য, ৪৪তম আইসিপিসি প্রতিযোগিতায় এশিয়া পশ্চিম অঞ্চলে চ্যাম্পিয়ন হিসেবে সম্মান অর্জন করে বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয় (বুয়েট)। এ বছর ৭০ টি দেশ থেকে প্রায় ১৩৭টি দল থেকে মেধাবী প্রতিযোগীরা এই কনটেস্টের চূড়ান্ত রাউন্ডে অংশ নিচ্ছে। উক্ত আয়োজনকে ঘিরে ইতোমধ্যে ২০০ জন আইসিপিসি রিজিওনাল কনটেস্ট ডিরেক্টর ছাড়াও কর্মকর্তাসহ অন্তত এক হাজারেরও বেশি বিদেশি অতিথির আগমন হচ্ছে বাংলাদেশে। আইসিপিসি রিজিওনাল ডিরেক্টরবৃন্দ বিভিন্ন সিম্পোজিয়ামসহ সেমিনারে অংশ নিবেন। ঢাকার বসুন্ধরায় অবস্থিত ইন্টারন্যাশনাল কনভেনশন সিটি বসুন্ধরা (আইসিসিবি) তে আগামী ৮ নভেম্বর ২০২২ থেকে শুরু হচ্ছে এবারের “আইসিপিসি ওয়ার্ল্ড ফাইনালস্ ঢাকা ২০২২”। কনটেস্টের মূল প্রবলেম সলভিং অংশটি অনুষ্ঠিত হবে ১০ নভেম্বর যেখানে ৬ ঘন্টা সময়ের মধ্যে অংশগ্রহণকারীগণ সমস্যা সমাধান করবেন তাদের দক্ষতা ও মেধার মাধ্যমে। আয়োজনটির চ্যাম্পিয়নের নাম ঘোষনা করা হবে ১০ নভেম্বর ২০২২ তারিখে অনুষ্ঠিত সমাপনী অনুষ্ঠানে।
বিশেষভাবে উল্লেখ করা যায় যে এশিয়ার মধ্যে চীন, জাপান, থাইল্যান্ড এর পর ৪র্থ দেশ হিসেবে এবারই প্রথম বাংলাদেশ নামটি আইসিপিসি হোস্ট কান্ট্রি হিসেবে যুক্ত হচ্ছে। বিশ্ব আসরে বাংলাদেশ ১৯৯৮ সাল থেকে আইসিপিসি-তে প্রতিযোগী হিসেবে অংশ গ্রহণ করে আসছে। উল্লেখ্য যে, ১৯৯৮ সালে ঢাকায় প্রথম জাতীয় কম্পিউটার প্রোগ্রামিং প্রতিযোগিতার (এনসিপিসি) ফাইনাল আয়োজন করা হয় যেখানে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা প্রধান অতিথি হিসেবে উক্ত অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন।
বাংলাদেশ থেকে বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, রাজশাহী প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, নর্থ সাউথ ইউনিভার্সিটি, আমেরিকান ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি-বাংলাদেশ, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় এবং ইউনিভার্সিটি অব এশিয়া প্যাসিফিক থেকে মোট ৮ টি মেধাবী দল অংশ নিচ্ছে। চূড়ান্ত পর্বকে লক্ষ্য করে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগ কর্তৃক এবছরের অক্টোবর মাসে আয়োজন করা হয় একটি বিশেষ প্রশিক্ষণ। এবারের আয়োজনেও বাংলাদেশ থেকে ভালো অর্জন আশা করছে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগ।