“ইনোভেশন অ্যান্ড ইন্টেলিজেন্স” প্রতিপাদ্য নিয়ে চীনের বেইজিং এ শুরু হলো অপো ডেভেলপার কনফারেন্স ২০১৯। এই আয়োজনের মূল উদ্দেশ্য ডেভেলপার ও পার্টনারদের জন্যে ইনটেলিজেন্ট সার্ভিস ইকোসিস্টেম প্রতিষ্ঠা করা। ডেভেলপারদের প্রয়োজনীয় সহায়তা প্রদানে ‘গ্র্যাভিটি প্ল্যান ২.০’ বাস্তবায়নের জন্যে ১৪৩ মিলিয়ন ডলার বিনিয়োগের ঘোষণা দেয় অপো। এছাড়াও পাঁচ স্তরের ক্যাপাবিলিটি এক্সপোজার ইঞ্জিন এবং আইওটি বাস্তবায়নের পরিকল্পনার কথা জানায় প্রতিষ্ঠানটি।
বিশ্বের শীর্ষস্থানীয় স্মার্টফোন ব্র্যান্ড অপো ২০১৯ সালে সফটওয়্যার এবং অ্যাপ্লিকেশনে একটি নতুন ধরণের ইকোসিস্টেম প্রতিষ্ঠায় উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি অর্জন করে। বর্তমানে প্রায় ৩২ কোটি ব্যবহারকারী অপো কালার ওএস অপারেটিং সিস্টেম ব্যবহার করছে। প্রায় সমানসংখ্যক ব্যবহারকারী অপোর বিভিন্ন অ্যাপ, সেবা এবং কন্টেন্ট ইকোসিস্টেম ব্যবহার করছেন বলে জানানো হয়। বর্তমানে ১,২০,০০০-এর অধিক সংখ্যক ডেভেলপার যুক্ত আছেন অপোর ওপেন প্ল্যাটফর্মে। প্রতিদিন গড়ে ৩০০ কোটি বার অপোর ক্যাপাবিলিটি সার্ভিসের আওতায় তৈরি বিভিন্ন অ্যাপ এবং সেবাসমূহ ব্যবহার করা হচ্ছে।
২০১৮ সালের ডেভেলপার সম্মেলনে প্রথমবারের মতো ‘গ্র্যাভিটি প্ল্যান’ ঘোষণা করা হয় এবং এই পরিকল্পনা এগিয়ে নিতে প্রায় ১৪৩ মিলিয়ন ডলার ব্যয় করে প্রতিষ্ঠানটি। গ্র্যাভিটি প্রকল্পের আওতায় তৈরি অ্যাপ্লিকেশনের সংখ্যা প্রায় ২০০০-এর অধিক। এই অ্যাপ্লিকেশনগুলো এখন পর্যন্ত ৯২০ কোটি ইম্প্রেশন তৈরিতে সক্ষম হয়েছে এবং প্রায় ১৮ কোটি গ্রাহক এই অ্যাপসমূহ ডাউনলোড করেছেন।
এ প্রসঙ্গে অপো ইন্টারনেট সার্ভিসের ভাইস প্রেসিডেন্ট মি. হেনরি ডুয়ান বলেন, “বিশ্বের ১৪০টিরও বেশি দেশে ব্যবহার করা হচ্ছে অপো কালার ওএস। গ্র্যাভিটি পরিকল্পনার সাফল্যের ধারাবাহিকতা ধরে রাখার প্রয়াসে অ্যাপলিকেশন, সার্ভিস, কন্টেন্ট এবং গ্লোবাল ডেভেলপমেন্টে প্রয়োজনীয় সহায়তা প্রদানের লক্ষে ‘গ্র্যাভিটি প্ল্যান ২.০’ বাস্তবায়ন করা হবে।”
শীঘ্রই বাজারে আসতে চলেছে অপো স্মার্টওয়াচ। স্বাস্থ্যসেবা খাতেও অবদান রাখতে একটি সুদৃঢ় ইকোসিস্টেম প্রতিষ্ঠায় কাজ করবে বলে ঘোষণা প্রদান করা হয়।