ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল একাডেমির আয়োজনে আজ শনিবার (১৬ নভেম্বর) প্রতিষ্ঠানটির বিজয় মিলনায়তনে ‘স্টুডেন্ট-অ্যালামনাই কংগ্রেস-২০১৯’ অনুষ্ঠিত হয়েছে। দিনব্যাপী এ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগের মন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার। এতে ¯^াগত বক্তব্য দেন ড্যাফোডিল ফ্যামিলির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ নূরুজ্জামান। এছাড়া অন্যান্যেও মধ্যে আরও উপস্থিত ছিলেন ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল একাডেমির উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. ফখরে হোসেন, ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল একাডেমির একাডেমিক ডিরেক্টর সারওয়ার হোসেন মোল্লা প্রমুখ।
এশিয়া, ইউরোপ, আমেরিকা, অস্ট্রেলিয়া ও আফ্রিকার বিভিন্ন দেশে কর্মসূত্রে বসবাসরত ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল একাডেমির প্রাক্তন শিক্ষার্থী ও বর্তমান শিক্ষার্থীরা এই অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করেন। অনুষ্ঠানের সাফল্য কামনা করে ভিডিও বার্তা পাঠান যুক্তরাজ্যের ইউনিভার্সিটি অব গ্রিনিচের ডেপুটি ভাইস চ্যান্সেলর প্রফেসর জেভিয়ার বনেট। তিন পর্বে অনুষ্ঠিত এ মিলনমেলার প্রথম পর্বে ছিল উদ্বোধনী অনুষ্ঠান, দ্বিতীয় পর্বে প্রাক্তন শিক্ষার্থীদের স্মৃতিচারণ ও শেষে ছিল সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান ও সমাপনী পর্ব। সকালে কেক কেটে অনুষ্ঠানের উদ্বোধন করেন ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগের মন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে মোস্তফা জব্বার বলেন, বাংলাদেশে এখন মোট জনসংখার অর্ধেকের বেশির বয়স ৩৫ বছরের নীচে। এই বিপুল পরিমাণ তরুণ জনগোষ্টীকে দক্ষ মানবম্পদ হিসেবে গড়ে তুলতে না পারলে দেশ কাক্সিখত উন্নতি অর্জন করতে পারবে না। তাই এখন থেকেই তরুণদেরকে সাধারণ শিক্ষার পাশাপাশি বিভিন্ন প্রযুক্তিগত শিক্ষায় দক্ষতা অর্জন করকে হবে। আর তরুণদেরকে প্রযুক্তিগত শিক্ষায় দক্ষ করে গড়ে তুলতে ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল একাডেমি বিরাট ভুমিকা পালন করছে। বাংলাদেশের শিক্ষা খাতে সেই নব্বই দশক থেকে শুরু করে আজ অব্দি ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল একাডেমি যে অবদান রেখে চলেছে তাকে ‘অবিস্মরণীয়’ বলে উল্লেখ করেন মোস্তফা জব্বার।
বাংলাদেশ খুব শিগগিরই ৫জির যুেেগ প্রবেশ করবে উল্লেখ করে মন্ত্রী আরো বলেন, ৫জি এলে বাংলাদেশে খুব দ্রুত শিল্প বিপ্লব হবে। তখন কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা, বিগ ডাটা, আইওটি, রোবট ইত্যাদির ব্যবহার বেড়ে যাবে। এইসব প্রযুক্তি ব্যবহার কওে দেশকে উন্নত করার জন্য তরুণদেরকে এখনই প্রস্তুত হওয়ার আহŸান জানান মোস্তফা জব্বার।
বক্তব্যে মোহাম্মদ নূরুজ্জামান বলেন, নতুন ও প্রাক্তন শিক্ষার্থীদের মধ্যে মেলবন্ধন ও নেটওয়ার্কিং তৈরি করাই এই অনুষ্ঠানের একমাত্র লক্ষ্য। ড্যাফোডিল ইনটারন্যাশনাল একাডেমির অনেক শিক্ষার্থী বিশ্বের পাঁচটি মহাদেশে ছড়িয়ে আছে এবং অনেকই গুগল, মাইক্রোসফটের মতো বিশ্বখ্যাত প্রতিষ্ঠানে চাকরি করছে। এই অনুষ্ঠানের মাধ্যমে তাদের সঙ্গে নতুন শিক্ষার্থীদের পরিচয় হয়। ফলে পরবর্তীতে নানা প্রয়োজনে নতুন শিক্ষার্থীরা প্রাক্তনদের কাছ থেকে সাহায্য সহযোগিতা ও পরামর্শ গ্রহণ করতে পারে।
previous post