রাস্তায় মানুষজনের মধ্যে কে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত তা শনাক্ত করবে ড্রোন। আগামী ৬ মাসের মধ্যে এ ধরনের ড্রোন পাওয়া যাবে বলে জানিয়েছেন বিজ্ঞানীরা। এটি ভিড়ের মধ্যে কোনো মানুষের হাঁচি-কাশি, হার্ট এবং শ্বাস-প্রশ্বাসের রেট পরিমাপ করে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত কিনা তা শনাক্ত করতে পারবে।
ড্রোন টেকনোলজি কোম্পানি ড্রাগনফ্লাই ইনক এর সঙ্গে যৌথ উদ্যোগে প্যানডেমিক বা মহামারি প্রতিরোধের এই ড্রোন তৈরি করছেন ইউনিভাসিটি অব সাউথ অস্ট্রেলিয়ার বিজ্ঞানীরা। এটি বিমানবন্দর, অফিস, ক্রুজ জাহাজ, বৃদ্ধাশ্রমসহ জনসমাগম হয় এমনসব স্থানে কোভিড-১৯ লোকদের শনাক্ত করতে সহায়তা করবে। এক্ষেত্রে গবেষকরা শরীরের তাপমাত্রা এবং হাঁচি-কাশির শনাক্তের অ্যালগরিদমগুলো গবেষণাগারে পরীক্ষা করে সফল হয়েছেন।
প্রকল্পটির প্রধান গবেষক অধ্যাপক জাভান চাহাল বলেন, ‘করোনার প্রভাবে বিশ্বের সবচেয়ে বড় স্বাস্থ্য বিপর্যয়ে মানুষের জীবন বাঁচাতে আমরা এটি ব্যবহারের প্রয়োজনীয়তা দেখছি। এই ড্রোন সবক্ষেত্রে কোভিড-১৯ রোগী শনাক্ত করতে পারে না, তবে কোনো জায়গায় বা একদল লোকের মধ্যে রোগের উপস্থিতি শনাক্ত করার একটি নির্ভরযোগ্য সরঞ্জাম হতে পারে।’
জাভান চাহালের নেতৃত্বধীন গবেষক দলটি ২০১৭ সালে ড্রোনের ভিডিও থেকে ইমেজ-প্রসেসিং প্রযুক্তি ব্যবহার করে মানুষের হার্টের অবস্থা বিশ্লেষণ করে পুরো বিশ্বের নজর কেড়েছিলেন। তারা দেখান যে, মানুষের পাঁচ থেকে দশ মিটার দূরে থেকে হার্ট এবং শ্বাস-প্রশ্বাসের রেট মাপা যায়।
গবেষকদের দলটির মতে, তাদের নতুন অ্যালগরিদম হাঁচি এবং কাশির কারণগুলো ব্যাখ্যা করতে পারে।
বয়স্কদের হঠাৎ পড়ে যাওয়া, যুদ্ধক্ষেত্রে জীবিত মানুষের সন্ধান, হাসপাতালে নবজাতক ইনকিউবেটরে বাচ্চাদের হৃদস্পন্দন পর্যবেক্ষণ করার মতো বিষয়গুলোও ড্রোনের মাধ্যমে করা যেতে পারে বলে অভিমত গবেষক দলটির।