ড্রয়েড একধরণের ছোট বিশেষ রোবট, যা প্রোডাক্ট ডেলেভারির জন্যে ব্যবহৃত হবে। ছয় চাকা বিশিষ্ট এ যান রাস্তায় মানুষের পাশাপাশি চলে অনেকটা পথচারীর মতন । স্টারশিপ টেকনোলোজিস এর তৈরি এটি সাধারণত প্রতি ঘণ্টায় চার মাইল যায় , এবং এর স্টার্টআপ এসেম্বল করে স্কাইপ এর প্রতিষ্ঠাতা ইঞ্জিনিয়াররা ।
একেকটি ড্রয়েড ২০ থেকে ৩০ পাউন্ড ভরের মতন হয় , অনায়াসে ২০ পাউন্ডের ভরের মালামাল বহন করতে সক্ষম । নিজে নিজে সিঁড়িতে ওঠতে পারে, লাইভ ভিডিও স্ট্রিমিংসহ- মাইক্রোফোন এর ব্যবস্থা আছে যাতে করে ড্রয়েড ক্রেতার সাথে সহজে যোগাযোগ করতে পারে ।
জিপিএস ট্র্যাকিং সিস্টেম আছে, এছাড়া সেন্সর সিস্টেম আছে যাতে করে রাস্তায় চলাচলে কোন সমস্যা হলে সেই উদ্ভূত পরিস্থিতি সহজে ড্রয়েড সামাল দিতে পারে । এতে বাল্ব লাইটের চেয়ে কম এনার্জি ব্যবহার হয় এবং এটি অনেকটা পরিবেশ উপযোগী করে তৈরি করা যাতে কোন প্রকার বিষাক্ত ধোঁয়া নির্গত না হয় । প্রায় ৩০ ভাগ পরিবহণ খরচ কমে যাবে, এবং গাড়ির পার্কিং নিয়েও কোন প্রকার সমস্যা পরতে হবেনা ।
ড্রয়েড যাবতীয় পুরো ডেলেভারি প্রসেসটাই সম্পূর্ণ করবে । যদিও আমেরিকায় এ পদ্ধতি এখনো ব্যবহার করা হয়নি । কাস্টমারদের সেবা দেয়ার জন্য কিছু লাক্সারি হোটেলে এখনই এ প্রযুক্তি ব্যবহার শুরু হয়েছে , মূলত রুম সার্ভিস দেয়া শুরু হয়েছে ড্রয়েডের মাধ্যমে ।
ই-কমার্স ক্ষেত্রে তাই প্রোডাক্ট ডেলেভারি সিস্টেমে ড্রোন এবং ড্রয়েড প্রযুক্তি ব্যবহার এখন সময়ের ব্যাপার মাত্র । এতে করে ডেলেভারি সিস্টেমে প্রতিষ্ঠানগুলো নতুন যুগের আরম্ভ করবে ।
সূত্রঃ সিএনএন ও বিজনেস ইনসাইডার লেখক: নাজমুল হাসান মজুমদার, তথ্যপ্রযুক্তি লেখক। লেখকের লেখা পড়ুন: অ্যামাজন থেকে আয় করতে চান? অ্যামাজন এফবিএ থেকে যেভাবে আয় করবেন