দীর্ঘ লকডাউনের পর যাত্রীদের জন্য কার্যকর, সুবিধাজনক ও সহজলভ্য যাতায়াত ব্যবস্থা নিশ্চিত করতে এবং চালকদের জন্য জীবিকা নির্বাহের ব্যবস্থা করে দিতে উবার এর প্ল্যাটফর্মে ৫০০০ এরও বেশি গাড়ি এনলিস্টেড করেছে।
শুধুমাত্র এনলিস্টেডকৃত গাড়িই রাইড শেয়ারিং সার্ভিস প্রদান করতে পারবে, বিআরটিএ –এর এমন ঘোষণার পরিপ্রেক্ষিতে উবারের গাড়ি এনলিস্টমেন্ট করার কার্যক্রম ত্বরান্বিত করা হয়। এই ঘোষণা মেনে চলে এনলিস্টমেন্ট সার্টিফিকেট গ্রহণ ও বিআরটিএ –এর পোর্টালের মাধ্যমে আবেদন করার প্রক্রিয়াটি সহজতর করার মাধ্যমে উবার এর চালক গোষ্ঠীর মধ্যে সচেতনতা বৃদ্ধির কার্যক্রম হাতে নেয়।
সহজলভ্য উবার এক্স সার্ভিস চালুর মাধ্যমে গত ২২ জুন ঢাকাতে পুনরায় উবারের কার্যক্রম শুরু হয়। এই সপ্তাহেই উবারের প্রিমিয়ার এবং ইন্টারসিটি সার্ভিস আবারো চালু হয়েছে।
উবারের বাংলাদেশ ও পূর্ব ভারতের প্রধান রাতুল ঘোষ বলেন, “যেহেতু আমাদের শহরগুলো আবারো খুলতে শুরু করেছে, এর মধ্যে নিরাপদ ও সুবিধাজনক যাতায়াত ব্যাবস্থা নিশ্চিত করার মাধ্যমে আমরা বাংলাদেশকে এগিয়ে নিয়ে যেতে চাই এবং আমাদের কমিউনিটিগুলোকে আরোগ্য লাভের ক্ষেত্রে সাহায্য করতে চাই। সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের সাথে কাজ করে চালকদের এনলিস্টমেন্ট প্রক্রিয়া সহজতর করতে আমরা প্রতিশ্রুতিবদ্ধ যেন যত দ্রুত সম্ভব চালকরা আমাদের প্ল্যাটফর্ম থেকে জীবিকা নির্বাহের সুযোগ পান এবং সবাই যেন আশ্বস্ত হতে পারেন যে আমাদের রাইড শেয়ারিং সার্ভিস এই পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে যাত্রী ও চালকরা সর্বোচ্চ মানের সুরক্ষা ও স্বাস্থ্যবিধি প্রদান করবে।”
এই মহামারি ছড়িয়ে পরার পর থেকে যাত্রীদের প্রয়োজনীয়তা ও চালকদের উপার্জনের সুযোগ তৈরি করার কথা বিবেচনা করে এই পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে উবার বিভিন্ন নতুন সার্ভিস উন্মোচন করেছে। এর মধ্যে রয়েছে প্যাকেজ ডেলিভারি সার্ভিস উবার কানেক্ট, যার মাধ্যমে গ্রাহকরা বাসায় নিরাপদে থেকে তাদের প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র পাঠাতে পারবেন। এছাড়াও নতুন চালু করা হয়েছে উবার রেন্টাল সার্ভিস যার মাধ্যমে যাত্রীরা একটি গাড়ি কয়েক ঘন্টার জন্য ভাড়া করতে পারবেন এবং একাধিক জায়গায় যাওয়ার জন্য ব্যবহার করতে পারবেন।
গত দুই সপ্তাহ ধরে উবার সর্বোচ্চ সুরক্ষা নিশ্চিত করার জন্য অনেকগুলো কার্যকরী পদক্ষেপ নিয়েছে। যেমন- চালক ও যাত্রী উভয়ের জন্য গো অনলাইন চেকলিস্ট ও মাস্ক পরিধানের বাধ্যতামূলক নির্দেশনা নীতি, চালকদের জন্য প্রি-ট্রিপ মাস্ক ভেরিফিকেশন সেলফি, হালনাগাদকৃত ট্রিপ পরবর্তী ফিডব্যাক ব্যবস্থা এবং রাইড বাতিলের নীতিমালা। এই দুর্যোগপূর্ণ সময়ে উবারের প্রতিটি রাইড যেন সবার জন্য সব সময় নিরাপদ হয় সে লক্ষ্যেই এই নতুন ফিচারগুলো যুক্ত করা হয়েছে। সামাজিক দূরত্ব নিশ্চিতের লক্ষ্যে উবারে যাতায়াতের সময় নতুন সিট লিমিট নির্ধারণ করা হয়েছে যেখানে চালক ব্যতীত গাড়িতে শুধুমাত্র দুজন যাত্রী বসতে পারবেন এবং যাত্রীদের শুধুমাত্র পিছনের সিটে বসার অনুরোধ জানানো যাচ্ছে।
এই সুরক্ষা ফিচারগুলোর পাশাপাশি উবার চালকদের ৫০ লক্ষ্য টাকা সমমূল্যের সুরক্ষা সামগ্রী যেমন মাস্ক, স্যানিটাইজার, সাবান ও টিস্যু পেপার বিতরণ করছে। গত মাসেই উবার বাংলাদেশে ট্রান্সপোর্ট সেফটি অ্যালায়েন্স (টিএসএ) গঠন করেছে যার উদ্দেশ্য ছিল গ্রাহকদের মধ্যে সচেতনতা তৈরি করা এবং নিরাপদ যাত্রা নিশ্চিত করতে চালকদের প্রয়োজনীয় সুরক্ষা সামগ্রী সরবরাহ করে তাদেরকে প্রস্তুত করা।
২০১৬ সালে বাংলাদেশের প্রথম রাইড শেয়ারিং কোম্পানি হিসেবে কার্যক্রম শুরু করার পর এই সেফটি অ্যালায়েন্স গঠন করা, আমাদের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ মার্কেট, ঢাকার যাত্রী ও চালকদের সেবা দানের প্রতি আমাদের অটল প্রতিশ্রুতিরই প্রতিফলন।