‘স্কিটো হ্যাকাথন’ প্রোগ্রামের ফিনালে আয়োজন করেছে তরুণদের জন্য গ্রামীণফোনের জনপ্রিয় বিশেষ প্যাকেজ স্কিটো। সম্প্রতি, রাজধানীর বসুন্ধরায় অবস্থিত জিপি হাউজে এক জমকালো অনুষ্ঠানে এ প্রতিযোগিতার বিজয়ী ও রানার-আপদের নাম ঘোষণা করা হয়। ফাইনালে বিজয়ী হয় সার্কিট ব্রোকার্স।
‘হ্যাক ইট টু মেক ইট’ প্রতিপাদ্যে এ স্কিটো হ্যাকাথন আয়োজনের উদ্দেশ্য ছিলো বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের তরুণ এবং মেধাবী শিক্ষার্থীদের ব্যবসায়িক মডেল সম্পর্কে তাদের যে আগ্রহ রয়েছে এমন কার্যক্রমে জড়িত হতে উৎসাহিত করা এবং স্ট্র্যাটেজিক অ্যাপ্রোচের (কৌশলগত পদক্ষেপ) মাধ্যমে সমস্যা সমাধানে তাদের যে সক্ষমতা প্রমাণ করা। নর্থ সাউথ ইউনিভার্সিটি, ইস্ট ওয়েস্ট ইউনিভার্সিটি, ইউনাইটেড ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি, আমেরিকান ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি বাংলাদেশ, ব্র্যাক ইউনিভার্সিটি ও ইন্ডিপেনডেন্ট ইউনিভার্সিটি বাংলাদেশের মতো স্বনামধন্য বিশ্ববিদ্যালয়ের অংশগ্রহণকারীদের একটি সমস্যা (কেস) দেওয়া হয় এবং এ সমস্যা সমাধানের জন্য ব্যবসায়িক মডেল ও প্রোটোটাইপ তৈরি করতে বলা হয়। চলতি বছরের জুন মাসে স্কিটোর হ্যাকাথনে অংশ নেয়ার জন্য অংশগ্রহণকারীরা স্বতঃস্ফূর্তভাবে সাড়া দেয়। সর্বোপরি, তিন থেকে পাঁচ জন সদস্যদের নিয়ে গঠিত দশটি টিমকে ফাইনালের সংক্ষিপ্ত তালিকায় নির্বাচিত করা হয়।
এ নিয়ে গ্রামীণফোনের সিএমও সাজ্জাদ হাসিব বলেন, “তরুণদের সবসময় প্রাধান্য দিয়ে বিবেচনা করে গ্রামীণফোন। এক্ষেত্রে, গ্রামীণফোন বিশ্বাস করে আমাদের ডেমোগ্রাফিক ডিভিডেন্ড অর্থাৎ আমাদের তরুণ প্রজন্ম চতুর্থ শিল্প বিল্পবের সুযোগ নিতে সক্ষম হবে যদি তারা ভবিষ্যত-উপযোগী ডিজিটাল দক্ষতা অর্জন করতে পারে এবং তারাই ভবিষ্যতের অর্থনীতির চালিকাশক্তিতে রূপান্তরিত হবে। বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর মেধাবী শিক্ষার্থীদের প্রবলেম-সলভিং (সমস্যা সমাধান) কর্মকাণ্ডে যুক্ত করাই স্কিটো হ্যাকাথনের প্রাথমিক লক্ষ্য ছিলো, যাতে শিক্ষার্থীরা চাকরির বাজারে প্রবেশ করার আগে প্রতিযোগিতামূলক বাজার সম্পর্কে ভালো ধারণা লাভ করেন। তিনি আরো বলেন, “প্রতিযোগিতায় তরুণদের কাছ থেকে আমরা ই-লার্নিং, ইয়ুথ ওয়েলবিইং ও গেমিং ইত্যাদি ক্ষেত্রে বেশ কিছু চমৎকার ও উদ্ভাবনী ধারণা পেয়েছি। আমরা জানি, তরুণদের মধ্যে বহুমুখী সম্ভবনা রয়েছে, দিনশেষে তারাই ‘স্মার্ট বাংলাদেশ’গড়ে তুলবে।”
এ নিয়ে চ্যাম্পিয়ন টিমের আনিকা রাহনুমা বলেন, “সমাধানের জন্য আমাদের ওপেন-এন্ডেড একটি কেস দেয়া হয়। এ কেস সমাধানে আমাদের স্বাধীনভাবে ব্রেইনস্টর্ম করা ও সৃজনশীল আইডিয়া নিয়ে কাজ করার সুযোগ দেয়া হয়। স্কিটো হ্যাকাথন আমাদের জন্য অনেক উপভোগ্য ছিলো। আমাদের প্রত্যাশা, আগামী দিনগুলোতেও এ ধরনের প্রতিযোগিতার আয়োজন করা হবে। অসাধারণ এ প্রতিযোগিতা আয়োজনের জন্য আমি স্কিটো ও গ্রামীণফোনকে ধন্যবাদ জানাই।”
স্কিটো ও গ্রামীণফোন আয়োজিত প্রথমবারের মতো এ হ্যাকাথন প্রতিযোগিতায় রূপান্তরমূলক বিভন্ন আইডিয়া তুলে ধরা হয়। স্কিটো হ্যাকাথন প্রতিযোগিতায় চ্যাম্পিয়ন হওয়ার গৌরব অর্জন করে ইসলামিক ইউনিভার্সিটি অব টেকনোলজির (আইইউটি) টিম ‘সার্কিট ব্রোকার্স।’ প্রতিযোগিতায় প্রথম ও দ্বিতীয় রানার-আপ হওয়ার গৌরব অর্জন করে যথাক্রমে ইসলামিক ইউনিভার্সিটি অব টেকনোলজির (আইইউটি) টিম ‘এন্ড গেম’ এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের টিম ‘ইনমেটস।’ গ্রামীণফোনের সিএইচআরও সৈয়দ তানভির হোসেন এবং সিএমও মোহাম্মদ সাজ্জাদ হাসিব বিজয়ীদের হাতে চেক তুলে দেন। এ সময় উপস্থিত ছিলেন গ্রামীণফোনের আইটি’র ডিরেক্টর এস এম মনিরুল হক, হেড অব কমার্শিয়াল প্ল্যানিং অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট ভৈভব মধুকর নিক্তে, হেড অব বিজনেস পার্টনার অ্যান্ড সার্কেল এইচআর শায়লা রহমান, হেড অব স্কিটো কাজী ইমরান মাহবুবসহ গ্রামীণফোনের উচ্চপদস্থ কর্মকর্তাগণ। পুরস্কার হিসেবে প্রতিযোগিতার চ্যাম্পিয়ন দল পায় ১ লাখ টাকা এবং প্রথম ও দ্বিতীয় রানার-আপ টিমকে যথাক্রমে ৫০ হাজার ও ২৫ হাজার টাকার চেক দেয়া হয়।