কোকা-কোলা বাংলাদেশের অন্যতম কার্বনেটেড বেভারেজ ‘থামস আপ কারেন্ট’ সম্প্রতি ভোক্তাদের জন্য ‘কারেন্ট খাও, বাইক জেতার সুযোগ পাও’ নামে থান্ডারাস একটি ক্যাম্পেইন শুরু করেছে। এই ক্যাম্পেইনের আওতায় ‘থামস আপ কারেন্ট’ পান করে ৬০ জন বিজয়ীর প্রত্যেকে পাবেন ১৫০ সিসি’র ‘ইয়ামাহা এফজেডএস এফআই ভার্সন ২ডিডি’ মডেলের দুর্দান্ত গতির সম্পূর্ণ নতুন মোটরসাইকেল এবং সেই সাথে নিশ্চিত ১০টাকা রিচার্জ।
প্রতিযোগিতায় অংশ গ্রহণ করতে ভোক্তাদেরকে সোনালী ক্যাপযুক্ত ‘থামস আপ কারেন্ট’ এর ২৫০ এমএল সাইজের পিইটি বোতল কিনতে হবে এবং ৪টি ক্যাপের নিচে লেখা অক্ষর জমিয়ে ‘কারেন্ট’ (CU, RR, EN, T) শব্দটি মেলাতে হবে।
এছাড়া ‘থামস আপ কারেন্ট’ এর প্রতিটি বোতলের ক্যাপের নিচে একটি ইউনিক কোডও দেখতে পাবেন ভোক্তারা। ঐ ইউনিক কোডটি একটি নির্দিষ্ট নম্বরে পাঠিয়ে দিয়ে তারা তাৎক্ষণিকভাবে পেতে পারেন ১০টাকার রিচার্জ। ৬০ দিনের এই ক্যাম্পেইনটি চলবে আগামী এপ্রিলের মধ্যভাগ পর্যন্ত।
এই ক্যাম্পেইনটি সম্পর্কে কোকাকোলা বাংলাদেশের ম্যানেজিং ডিরেক্টর, অজয় বাতিজা বলেন, “১০ মাস আগে আমরা ‘থামস আপ কারেন্ট’ বাজারে এনেছিলাম এবং পানীয় ব্র্যান্ডটি ইতোমধ্যেই তরুণদের মাঝে দারুণ সাড়া ফেলেছে। ভোক্তাদের এই উচ্ছ্বাসকে আরো একধাপ উঁচুতে নিয়ে যেতে আমরা এবার তাদেরকে এমন একটি জিনিস উপহার দিচ্ছি, যা তাদের কাছে রীতিমত আকাঙক্ষার বস্তু। আমি নিশ্চিত যে, ‘থামস আপ কারেন্ট’ এর মনকাড়া স্বাদ এবং আকর্ষণীয় এই আন্ডার দা ক্রাউন ক্যাম্পেইনটি মিলে এবার গ্রীষ্মের তীব্র গরমকেও হার মানাবে।“
ভোক্তাদের আরো আন্দোলিত করতে, প্রোমোশনের অংশ হিসেবে, বাংলাদেশে একটি চমৎকার সমন্বিত মার্কেটিং ক্যাম্পেইনও শুরু করেছে ‘থামস আপ কারেন্ট’, যেখানে আকর্ষণীয় টিভি বিজ্ঞাপন ছাড়াও রয়েছে ডিজিটাল, রেডিও, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম এবং বাইরের অন্যান্য মাধ্যমে বিজ্ঞাপন প্রচার চলছে। ক্যাম্পেইনটি ‘থামস আপ কারেন্ট’ ব্র্যান্ডের দুর্দান্ত স্বাদ এবং আকর্ষণীয় কর্মকাণ্ডের প্রচার-প্রসার বাড়ানোর পাশাপাশি ভোক্তাদের জন্য মোটরবাইক জেতার সুবর্ণ একটি সুযোগ তৈরি করে দিচ্ছে।
=0=
কোকা–কোলা বাংলাদেশ সম্পর্কে:
কোকা-কোলা গোটা বাংলাদেশ জুড়ে হাজার হাজার ভোক্তার কোমল পানীয়ের চাহিদা পূরণ করছে, যা তাঁদের সতেজ ও চনমনে থাকতে বেশ সহায়ক। কোকা-কোলার পণ্যগুলোর মধ্যে রয়েছে- কোকা-কোলা, ডায়েট কোক, স্প্রাইট, ফান্টা, কিনলে পানি, কিনলে সোডা, কোকা-কোলা জিরো, স্প্রাইট জিরো, থামস আপ কারেন্ট ইত্যাদি। কোকা-কোলা এদেশে ৫ শতাধিক লোকের সরাসরি এবং পরোক্ষভাবে আরও ৫ হাজার মানুষের কর্মসংস্থান সৃষ্টি করেছে। কোকা-কোলা নানা ধরনের কর্মসূচির মাধ্যমে কমিউনিটি বা সমাজকে শক্তিশালী করে তোলার ব্যাপারে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য দু’টি কর্মসূচি হলো: ‘এভরি ড্রপ ম্যাটারস’ ও ‘ওয়াশ’। এই দু’টি কর্মসূচির আওতায় দেশব্যাপী বিশুদ্ধ পানি সরবরাহ, স্যানিটেশন বা পয়ঃনিষ্কাশন, হাইজিন বা স্বাস্থ্যবিধি বা পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা এবং স্কুলে বৃষ্টির পানি সংরক্ষণের কার্যক্রম চলছে। এছাড়া নারীদের অর্থনৈতিক ক্ষমতায়নের লক্ষ্যে বাংলাদেশে কোকা-কোলা ‘উইমেন বিজনেস সেন্টা’র নামে তার ব্যতিক্রমধর্মী ফ্ল্যাগশিপ প্রোগ্রাম পরিচালনা করছে, যা ২০২০ সালের মধ্যে দেশটির ১,০০,০০০ নারীর সাবলম্বী হয়ে উঠতে সহায়ক ভূমিকা পালন করছে।