উইমেন এন্ড ই-কমার্স ফোরাম (উই) তে দেওয়া রাজিব আহমেদের ফেসবুক পোস্ট কে কেন্দ্র করে জমে উঠেছে দেশী পণ্যের চাঁদরাতের কেনাকাটা। এখন ডেলিভারি দেওয়া সম্ভব না জেনেও ক্রেতারা পণ্য পছন্দ ও অর্ডার করে বিকাশের মাধ্যমে টাকা পরিশোধ করে ফেসবুকে পোস্ট দিয়ে অন্যদের সাথে আনন্দ ভাগাভাগি করেছে।
রাজিব আহমেদ পোস্টের মাধ্যমে ক্রেতাদের ছোট বেলার স্মৃতি মনে করে দেন। আর এতে হুমড়ি খেয়ে উঠেন ক্রেতারা। ৫০০ টাকা থেকে শুরু করে হাজার হাজার টাকার অর্ডার করেছেন তাদের পছন্দ ও সাধ্যমতো। এসব পণ্যের মধ্যে ছিলো আম, লিচু, ফ্রোজেন ফুড, কাজুবাদাম, চা পাতা, গহনা, শতরঞ্জি, শাড়ি, তুলশীমালা চাল সহ বহুকিছু।
বগুড়ার তাজরিন তামান্না ইসলাম লুবা উই গ্রুপে এক পোস্টে বলেন- চাঁদ রাতের মোঃ দেলোয়ার হোসেন ভাইয়ের কাছে ১০ কেজি তুলশীমালা চাল অর্ডার করেছি। চাল টা অনেক ভালো এর আগেও নিয়েছি। সহজে হজম হয়, গ্যাস হয় না, আর বাচ্চাদের জন্য একদম পারফেক্ট চাল।
ঢাকার ফার্মগেট এলাকার ইমরান হোসেন ফেসবুক পোস্টে লিখেন- আমার একমাত্র ঈদের কেনাকাটা আবাবিল লেদারের বেল্ট উই গ্রুপ থেকে কিনেছি চান রাতে। শুধু লুবা ও ইমরান নয় এমন শত শত কাস্টমার পোস্ট রয়েছে উই গ্রুপে।
এবারের চাঁদ রাতকে জীবনের সেরা চান রাত হিসেবে মনে করেন নারী উদ্যোক্তারা। উদ্যোক্তাদের পোস্ট থেকে পাওয়া কয়েকজন উদ্যোক্তার বিক্রি টাকা- কুমিল্লার জান্নাতুল মুক্তার খাদি কাপড় ৭৫ হাজার ৪০০ টাকা, কাকলী রাসেল তালুকদারের জামদানি ৬৫ হাজার টাকা, নিগার ফাতেমার খেশ শাড়ি ৫২ হাজার ৩৫০টাকা, সুজান্তা ইসলাম ৫০ হাজার ৫০০টাকা, দীপা বনিকের শাড়ি ও পাঞ্জাবিতে ৩৬ হাজার টাকা, সালমা নেহার আম-লিচু ৩৫ হাজার ২০০ টাকা, শিরিন সুলতানা অরুনার কাজুবাদাম ও বুটিকস ৩৪ হাজার টাকা। এভাবে বিক্রেতাদের ১০ লাখ টাকার বেশি দেশি পণ্য বিক্রির সংবাদর পাওয়া গেছে চান রাতে।
ই-ক্যাবের প্রতিষ্ঠাতা ও সাবেক প্রেসিডেন্ট এবং উইর এডভাইজার রাজিব আহমেদ বলেন- অনলাইনে দেশী পন্যের ই-কমার্স ইন্ডাস্ট্রি ধীরে ধীরে বড় হচ্ছে শত শত উদ্দোক্তার চেস্টায়। এটিই আমার অনেক বড় আনন্দ।
উই এর প্রেসিডেন্ট নাসিমা আক্তার নিশা বলেন, “লকডাউনের মধ্যে চান রাতে উইয়ের বিক্রেতাদের ১০ লাখ টাকার দেশী পণ্য বিক্রি হওয়ায় আমি আনন্দিত। এভাবে সকলের অংশগ্রহণে দেশি পণ্যের প্রচার ও প্রসার হবে।”