২২ মে ঢাকার কৃষিবিদ ইনস্টিটিউশন মিলনায়তনে দিনব্যাপী ইয়ুথ টেক সামিট অনুষ্ঠিত হয়। দেশে তরুণদের নিয়ে কাজ করা ১৪ টি সংগঠনের যৌথ উদ্যোগে এই সামিট অনুষ্ঠিত হয়। শুধুমাত্র তরুণদের জন্য দেশে প্রথমবারের মত আয়োজিত এই টেক সামিটের এবারের মূল প্রতিবাদ্য ছিল “Are we Ready for AI?”
অনুষ্ঠানের সবচেয়ে বড় আকর্ষণ ছিল ২০ জন সফল ও খুবই তরুণ (২৫ থেকে ৩৫ বছরের মধ্যে বয়স) উদ্যোক্তাদের বক্তব্য। নতুন প্রযুক্তি, বিশেষ করে আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স ব্যবহার করে এসকল উদ্যোক্তা কৃষি, স্বাস্থ ও শিক্ষা খাতের মতো গুরুত্বপূর্ণ খাতে ব্যাপক উন্নতি সাধন করার কাজ শুরু করেছে।
অনুষ্ঠানে তরুণ উদ্যোক্তাদের পাশাপাশি বেশ কিছু প্রতিষ্ঠিত ও অভিজ্ঞ সফল উদ্যোক্তাও বক্তব্য দেন। প্রাণ গ্রূপের চেয়ারম্যান আহসান খান চৌধুরী তরুণদের উদ্দেশ্যে বলেন যে দেশের ভবিষ্যৎ তারাই তৈরী করবে। তরুণ তথ্যপ্রযুক্তি উদ্যোক্তাদের ফান্ডিং সহায়তা দেওয়ার ব্যাপারে প্রাণ গ্রুপ বিবেচনা করছে বলে তিনি জানান।
বিডিজবস এর প্রধান ফাহিম মাশরুর বলেন, “যে AI এর মতো নতুন প্রযুক্তি নিয়ে কাজ করতে হলে এর নেতৃত্ব দিতে পারে শুধু তরুণরাই। তরুণ উদ্যোক্তাদের সব ধরণের সহায়তা প্রদান করতে হবে। আগামী বাজেটে যাতে নতুন কোনো কর এই উদ্যোক্তাদের উপরে না আরোপ করা হয় সেই ব্যাপারে তিনি সরকারকে আহবান জানান। কেননা প্রযুক্তির এই পরিবর্তনের সময়ে প্রচুর নতুন বিনিয়োগ দরকার নতুন AI ভিত্তিক প্রোডাক্ট ডেভেলপমেন্ট করার জন্য। এই পর্যায়ে নতুন করে আয়কর বা ভ্যাট আরোপ করলে বিনিয়োগ বাধাগ্রস্ত হবে।”
ভিসিপিয়াব সভাপতি ও ইজেনারেশনের ব্যাবস্থাপনা পরিচালক শামীম আহসান সরকারের উদ্দেশ্যে বলেন, “গ্র্যান্ট বা ফ্রি মানি চাই না। আমরা বৈশ্বিক প্রতিযোগিতার জন্য একটা অনুকূল পরিবেশ চাই।
এ জন্য আগামী বছর তিনেক কর অব্যাহতি রেখে পরে ধীরে ধীরে সহনীয় হারে কর আরোপের পরামর্শ দেন তিনি।
এআই ভিত্তিক ওপেন সোর্সের মডেল দিয়ে ১৮ কোটি মানুষের সমস্যা সমাধানের মাধ্যমে বাংলাদেশকে গ্লোবাল এআই ইউজ কেইসের রাজধানী হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করা সম্ভব। এত বিপুল জনসংখ্যার দেশের এআই ইউজ কেইস মডেল থেকে সারা বিশ্ব উপকৃত হতে পারে।”
অংশগ্রহণকারী তরুণ উদ্যোক্তারা হলেন, ড্রিমজয় ল্যাবের প্রতিষ্ঠাতা ও সিইও তানভির হোসেন খান, ব্যাকস্পেসের প্রতিষ্ঠাতা সাইফুল রহমান, সিগমাইন্ড সিইও আবু আনাস শোভন, মার্কোপোলোর সিইও তাসফিয়া তাসবীন, শিখোর প্রতিষ্ঠাতা ও সিইও শাহির চৌধুরী, আইফার্মার সিইও ফাহাদ ইফাজ, ড. চাষি’র প্রতিষ্ঠাতা ও সিইও মেদিনা আলী, লার্ন উইথ সুমিতের প্রতিষ্ঠাতা ও সিইও সুমিত সাহা, উইন্ড অ্যাপের সহ-প্রতিষ্ঠাতা ফাহাদ আহমেদ, ইন্টারঅ্যাকটিভ কেয়ারের প্রতিষ্ঠাতা ও সিইও রা আল সামির, মিত্র ফিনটেক লিমিটেড এর সহ-প্রতিষ্ঠাতা ও সিইও কিশওয়ার হাসেমী, ইনোডক্স টেকনোলজিস লিমিটেডের সিইও মো. মুনিরুল আলম, কনটেন্ট ক্রিয়েটরের প্রতিষ্ঠাতা শামস আফরোজ, ওস্তাদের সহ-প্রতিষ্ঠাতা সৌরভ বড়ুয়া, আমর ল্যাবের সহ-প্রতিষ্ঠাতা তাহরীন শাহ, ডেডস কোরের প্রতিষ্ঠাতা ও সিইও আশরাফুল ইসলাম, অ্যানিংয়ের প্রতিষ্ঠাতা ও সিইও নুরুল আমিন, নয়ন আইটির ডিজিটাল মার্কেটার ও সিইও এ এইচ আলী,মুজেলডির সহ-প্রতিষ্ঠাতা ও সিইও নাসির উদ্দিন, এয়ারওয়ার্কের প্রতিষ্ঠাতা ও সিইও সাযমে ফারুক, শেয়ারটিপের সহ-প্রতিষ্ঠাতা ও সিইও সাদিয়া হক, বন্ডস্টেইন টেকনোলজিসের এমডি ও সহ-প্রতিষ্ঠাতা মীর শাহরুখ ইসলাম, কোডম্যান বিডির প্রতিষ্ঠাতা মিনহাজুল আসিফ ও প্রোগ্রমিং হিরোর সিওও আব্দুর রাকিব প্রমুখ।
ইয়্যুথ টেক সামিটের সঞ্চালনায় ছিলেন গোলাম সামদানি ডন। ‘হোয়াট ইয়ং আইটি এন্টারপ্রেনার্স ওয়ান্ট ফ্রম গভর্নমেন্ট ইন দ্য আপকামিং বাজেট?’ শীর্ষক সেশনে আরো উপস্থিত ছিলেন বিডিওএসএন সাধারণ সম্পাদক মুনির হাসান, জে সি আই বাংলাদেশের ন্যাশনাল প্রেসিডেন্ট ইমরান কবির, নিজের বলার মতো একটা গল্প ফাউন্ডেশনের প্রতিষ্ঠাতা ইকবাল বাহার জাহিদ, বাংলাদেশ আইসিটি জার্নালিস্ট ফোরামের প্রেসিডেন্ট নাজনীন নাহার, বাংলাদেশ ইনোভেশন ফোরামের প্রেসিডেন্ট ও নাসা স্পেস অ্যাপস চেলেঞ্জ বাংলাদেশের উপদেষ্টা আরিফুল হাসান অপু, বাংলাদেশ স্কিল ডেভেলপমেন্ট ইনস্টিটিউট ও ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল কলেজের নির্বাহী পরিচালক কে এম হাসান রিপন, জে সি আই বাংলাদেশের হেড অব বিজনেস অ্যা এনগেজমেন্ট বিডিঅ্যাপস ন্যাশনাল অ্যাপসস্টোর ন্যাশনাল ট্রেনিং কমিশনার মো. আলটামিস নাবিল প্রমুখ।
সম্মেলনের আয়োজক হিসেবে ছিল বাংলাদেশ ইনোভেশন ফোরাম, জেসিআই বাংলাদেশ, বিআইজেএফ, নিজের বলার মতো একটি গল্প ফাউন্ডেশন, বিডিঅ্যাপস, ভেঞ্চার ক্যাপিটাল অ্যান্ড প্রাইভেট ইক্যুইটি অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (ভিসিপিয়াব), ইয়্যুথ ইন টেক, ফিরল্যান্সার্স অফ বাংলাদেশ, রাইজ অ্যাবাভ অল, বিওয়াইএলসি,জিইএন, ইয়্যুথ ফর পলিসি, বিওয়াইএলসি, গ্লোবাল শেপার, জেন বাংলাদেশ এবং ড্যাফোডিল নেটওয়ার্ক।