দেশের টেক্সটাইল ও পোশাক শিল্পখাতের ধারাবাহিক প্রবৃদ্ধিতে অবদান রাখার লক্ষ্যে আসন্ন ঢাকা ইন্টারন্যাশনাল টেক্সটাইল অ্যান্ড গার্মেন্ট মেশিনারি এক্সিবিশনে (ডিটিজি) লায়োসেলের সম্ভাবনা তুলে ধরার সকল প্রস্তুতি সম্পন্ন করেছে এশিয়া প্যাসিফিক রেয়ন (এপিআর)। আগামী ২০ থেকে ২৩ ফেব্রুয়ারি, ২০২৫, পর্যন্ত রাজধানীর আন্তর্জাতিক কনভেনশন সিটি বসুন্ধরায় এই আন্তর্জাতিক বাণিজ্য প্রদর্শনী অনুষ্ঠিত হবে। উল্লেখ্য, এপিআর বর্তমানে বিশ্বের অন্যতম শীর্ষ ভিসকোজ স্টেপল ফাইবার প্রস্তুতকারক প্রতিষ্ঠান।
লায়োসেল একটি প্রাকৃতিক ও জীবাণুবিয়োজ্য ফাইবার, যা টেকসই বনায়ন থেকে সংগৃহীত কাঠের পাল্প দিয়ে তৈরি হয় এবং উচ্চমানের টেক্সটাইল ও বিভিন্ন ব্যক্তিগত ব্যবহার্য পণহ উৎপাদনে ব্যবহৃত হয়। ক্লোজড-লুপ প্রক্রিয়ার মাধ্যমে সাটেরির লায়োসেল প্রস্তুত করা হয়, যা পানি ও দ্রাবক পুনর্ব্যবহারের মাধ্যমে বর্জ্যের পরিমাণ উল্লেখযোগ্য পরিমাণে কমিয়ে আনে।
বিশ্বব্যাপী টেকসই টেক্সটাইলের ক্রমবর্ধমান চাহিদা সাটেরির লায়োসেলের বিস্তার এবং বাংলাদেশের বাজারে এর অবস্থান সুসংহত করার একটি গুরুত্বপূর্ণ সুযোগ সৃষ্টি করছে। আর বাংলাদেশকে অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ বাজার হিসেবে বিবেচনা করে এপিআর।
আসন্ন ডিটিজি’তে লায়োসেল বাই সাটেরির সর্বশেষ উদ্ভাবনগুলো প্রদর্শিত হবে। “এক্সপেরিয়েন্স লায়োসেল বাই সাটেরি, ফিল দ্য ডিফারেন্স” – এই থিমের অধীনে, স্পিনার, গার্মেন্ট পণ্য নির্মাতা এবং টেক্সটাইল ভ্যালু চেইনের অন্যান্য অংশীদারদের আমন্ত্রণ জানাবে এপিআর। এর মাধ্যমে তারা সাটেরির লায়োসেলের টেকসই ও বহুমুখী ব্যবহার সম্পর্কে জানতে পারবেন এবং অত্যাধুনিক সমাধানগুলো নিজে একযোগে কাজ করতে অনুপ্রাণিত হবেন।
এই নিয়ে টানা তৃতীয় বছরে ডিটিজি-তে অংশগ্রহণ করল এপিআর, যা বাংলাদেশের টেক্সটাইল ও গার্মেন্ট শিল্পের ধারাবাহিক উন্নয়নের প্রতি তাদের প্রতিশ্রুতি ও দায়বদ্ধতার পরিচয় দেয়। বাংলাদেশের ভিসকোজ ফাইবার বাজারের ৫০ শতাংশেরও বেশি হিস্যা এপিআরের। প্রতিষ্ঠানটি প্রদর্শনীতে বাংলাদেশের ঐতিহ্যবাহী পোশাক, যেমন কুর্তা ও শাড়ির পাশাপাশি থ্রি-পিস স্যুটের জন্য তৈরি লায়োসেল বাই সাটেরির অনন্য গুণাবলীও বিশেষভাবে তুলে ধরবে।
এশিয়া প্যাসিফিক রেয়নের হেড অব কমার্শিয়াল শচীন মালিক বলেন, “এবারের আয়োজনে আমরা গর্বের সাথে প্রদর্শন করবো, কীভাবে সাটেরির লায়োসেল স্বাচ্ছন্দ্য, স্থায়িত্ব এবং নান্দনিকতার অনন্য সমন্বয় তৈরি করে, যা বাংলাদেশের ঐতিহ্যবাহী পোশাকেগুলোর জন্য বিশেষভাবে উপযোগী। বাংলাদেশকে টেকসই টেক্সটাইলের একটি প্রধান কেন্দ্র হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করার ক্ষেত্রে লায়োসেল রীতিমতো গেম-চেঞ্জার হবে বলেই আমাদের বিশ্বাস।”
প্রতিষ্ঠানের মার্কেটিং ও ডাউনস্ট্রিম ডেভেলপমেন্টের ভাইস প্রেসিডেন্ট তপন সান্নিগ্রাহী যোগ করেন, “সাটেরির লায়োসেল ফাইবারের বহুমুখিতা কীভাবে গুণগত মান, স্বাচ্ছন্দ্য ও স্টাইলের সর্বোচ্চ মান বজায় রেখে গোটা শিল্পকে আরো টেকসই অনুশীলনে অনুপ্রাণিত করতে পারে, আমরা তা দেখাতে আগ্রহী রয়েছি। এছাড়াও, স্থানীয় উৎপাদনকারীদের সাথে একযোগে কাজ করার সুযোগ অনুসন্ধানের জন্যও ডিটিজি একটি গুরুত্বপূর্ণ প্ল্যাটফর্ম।”
লায়োসেলে বাই সাটেরির টেকসই উপকরণ এবং এর বহুমুখী প্রয়োগ সম্পর্কে আরও জানতে ডিটিজি’তে এপিআরের বুথে সকলের আমন্ত্রণ; হল নম্বর ৩-১২৫। এপিআর সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্যের জন্য ভিজিট করুন: https://www.aprayon.com/en/