তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক আমাদের তরুণ প্রজন্ম অত্যন্ত মেধাবী উল্লেখ করে বলেন
তাদের উদ্ভাবনী শক্তিকে সঠিকভাবে এগিয়ে নিতে দেশের প্রতিটি বিশ্ববিদ্যালয়ে স্পেশালাইজড ল্যাব প্রতিষ্ঠা করা হবে।
তিনি বলেন ডিজরাফটিব টেকনোলজি তথা ভবিষ্যৎ তথ্য প্রযুক্তিনির্ভর পৃথিবীর চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় এখন থেকে প্রস্তুতি
নিতে হবে।
প্রতিমন্ত্রী আজ রাজধানীর বসুন্ধরায় ইন্ডিপেন্ডেন্ট ইউনিভার্সিটি মিলনায়তনে "দ্বিতীয় স্পেস ইনোভেশন সামিট ২০১৯"
উদ্বোধন উপলক্ষে প্রধান অতিথির বক্তৃতা করছিলেন
প্রতিমন্ত্রী বলেন এ আই,আইওটি, রোবটিক্স, ব্লকচেইন ,বিগডাটার মত নতুন প্রযুক্তি তথা চতুর্থ শিল্পবিপ্লব উপযোগী
করে আমাদের তরুণদের তৈরি করতে হবে, না হলে আমরা পিছিয়ে পড়বো। এ ব্যাপারে সরকার সর্বাত্মক সহযোগিতা
করবে বলে তিনি উল্লেখ করেন।
তিনি বলেন ইনোভেশন মানুষের জীবনের গতিকে সহজ , গতিশীল ও তরুণদের মেধার বিকাশ ঘটাতে উল্লেখযোগ্য
ভূমিকা পালন করে। তিনি বলেন তরুণ উদ্যোক্তাদের উদ্ভাবনী কাজে সহযোগিতা করতে আই সি টি বিভাগ
এন্টারপ্রেনিয়ার্স ডিজাইন একাডেমী প্রতিষ্ঠান করছে । এছাড়াও আর্থিকসহ বিভিন্ন সহযোগিতা প্রদান করা হচ্ছে বলে তিনি
জানান। তিনি জ্ঞানভিত্তিক, মেধানির্ভর তথা ডিজিটাল বাংলাদেশ বিনির্মাণে এগিয়ে আসতে তরুণ প্রজন্মসহ সকলের প্রতি
আহ্বান জানান। দুদিন ব্যাপী আয়োজিত উক্ত সম্মেলনে আই ইউ বি এর ট্রেজারার খন্দকার ইফতেখার হায়দার এর
সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের সদস্য ডক্টর সাজ্জাদ হোসেন ,বাংলাদেশ ইনোভেশন ফোরাম নাসা
বিডি এর প্রতিষ্ঠাতা আরিফুল হাসান অপু বক্তব্য রাখেন।
দেশে মহাকাশ বিষয়ক শিক্ষার আগ্রহ তৈরি করতে, মহাকাশ গবেষণা যন্ত্রপাতি নিয়ে রকেট টেকনোলজির দক্ষতা বৃদ্ধি,
গ্রাউন্ড স্টেশনের বিভিন্ন কার্যক্রম সম্পর্কে সচেতনতা বাড়াতে দেশে দ্বিতীয়বারের মতো স্পেস ইনোভেশন সামিট
আয়োজন করছে বাংলাদেশ ইনোভেশন ফোরাম এবং নাশা সাইন্টিফিক প্রবলেম সলভার বাংলাদেশ ।সম্মেলনে বিভিন্ন
শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান থেকে প্রায় ১৫০০ শিক্ষার্থী অংশগ্রহণ করছে। দুই দিনের এই আয়োজনে ১৬ টি টেকনিক্যাল সেমিনার এবং
হাতে-কলমে প্রশিক্ষণ দেয়ার জন্য দুইটি ওয়ার্কশপ অনুষ্ঠিত হবে।
দেশের প্রতিটি বিশ্ববিদ্যালয়ে স্পেশালাইজড ল্যাব প্রতিষ্ঠা করা হবে
previous post