গত বছরের ডিসেম্বরে বাংলাদেশ ঘুরতে এসেছিলো রোবট সোফিয়া। সোফিয়ার কথা নিশ্চয়ই মনে আছে, ২০১৭ সালের ডিসেম্বরে বাংলাদেশ মাতিয়ে গিয়েছিল এই কৃত্রিম মানবী। প্রযুক্তিপ্রেমিরা তো বটেই, কৃত্তিম বুদ্ধিমত্তাসম্পন্ন রোবটটি আগ্রহের কমতি ছিলো না সাধারণ মানুষের মাঝেও।
তখন অনেকেই বলেছিলেন দেশে কি এমন রোবট তৈরি সম্ভব নয়? তাদের উত্তর হয়ত দিতে যাচ্ছে দেশের কৃত্তিম বুদ্ধিমত্তা বা আর্টিফিশিয়াল ইন্টিলিজেন্সসমৃদ্ধ প্রথম রোবট টিভেট।
ঢাকা পলেটেকনিক্যালের দুই শিক্ষার্থী ফরিদ হোসেন এবং রাহাদ উদ্দিন। তাই তো তাদের হাতেই ডেভেলপমেন্ট হলো দেশের প্রথম কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার রোবট মানুষ, যার নাম মি. টিভেট। শনিবার (১৫সেপ্টেম্বর) আইডিইবির ২২তম সম্মেলনে প্রধানমন্ত্রীর প্রশ্নের মুখোমুখি হবে মি. টিভেট।
ইনস্টিটিউট অব ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার্স বাংলাদেশের সহযোগিতায় এর আইসিটি এবং ইনোভেশনের সেলের তত্ত্বাবধানে আধুনিকায়ন করা হয়েছে মি. টিভেটকে। তাই দেশের কারিগরি শিক্ষা ও প্রশিক্ষণের ব্র্যান্ডিং হিসেবে ‘টেকনিক্যাল অ্যান্ড ভোকেশনাল এডুকেশন অ্যান্ড ট্রেইনিং’ হতে রোবটটির নামকরণ করা মি. টিভেট।
মি. টিভেট নিজে নিজে মানুষের সঙ্গে কথা বলতে পারে এবং মানুষের মুখে নির্দেশ শুনে কাজ করতে পারে। রয়েছে ৪২ রকমের শারীরিক এক্সপ্রেশন করার ক্ষমতা। তাই সে শরীরকে বিভিন্নভাবে নাড়াতে পারে এবং কথা বলার সময় মানুষের মুখের মতোই মুখ নড়াচড়া করতে পারে ।
চোখে রয়েছে উন্নত প্রযুক্তির থ্রিডি ক্যামেরা, যার সাহায্যে সে সামনে থাকা কোনো বস্তুকে দেখে তার গতিবিধি নির্ধারণ করতে পারে। বর্তমানে ৫০০ গ্রাম ওজনের যেকোনো বস্তু বহনে সক্ষম টিভেট তার সামনে থাকা কোনো বস্তু বা মানুষকে দেখেও তার স্মৃতি সংরক্ষণ করতে পারে।